ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

‘আমরা চাই ২-০তেই জিততে’

প্রকাশিত: ০৬:৪০, ৩০ নভেম্বর ২০১৮

‘আমরা চাই ২-০তেই জিততে’

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আজ দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট খেলতে নামবে বাংলাদেশ। এ টেস্টে জিতলেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করবে সাকিববাহিনী। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আজ ম্যাচটি শুরু হওয়ার আগে বৃহস্পতিবার ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে জেতার আশার কথাই জানালেন টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ২-০তে জিততে চান অধিনায়ক। তা যে স্পেশাল হয়ে ধরা দেবে। সংবাদ সম্মেলনে সাকিবের বলা কথাগুলোর সারসংক্ষেপ এখানে তুলে ধরা হলো। * ২-০ কতটা স্পেশাল? সাকিব ॥ বাংলাদেশের জন্য স্পেশাল হবে যদি আমরা মনে করি ২-০তে জিততে পারি। আমরা চাই ২-০তে জিততে। তারজন্য যা কিছু করা দরকার, যেভাবে প্রস্তুতি নেয়া দরকার আমরা সেভাবেই নিচ্ছি। যদি সেটা কোনভাবে না হয় তাহলে আমাদের অবশ্যই লক্ষ্য যেন ১-০তে সিরিজ জিতি, কারণ আল্টিমেট লক্ষ্য সিরিজ জেতা। কিন্তু আমরা ডিফেন্সিভ ওয়েতে সিরিজটা জিততে চাই না। আমরা চাই পজিটিভ ফ্রেম অব মাইন্ড নিয়ে সিরিজটা জিতি এবং ২-০তে জিতি। * অল আউট এ্যাটাক না ডিফেন্সিভ? সাকিব আল হাসান ॥ অবশ্যই জেতার জন্য খেলব আমরা। যদি ওইরকম কোন সিচুয়েশন আসে যেখানে হয়তো ড্র করার সম্ভাবনা আছে, তখন সেটা চেষ্টা করা যেতে পারে। তবে ফার্স্ট টার্গেট অবশ্যই জেতার জন্য খেলা। * উইকেটে মুস্তাফিজের জন্য কিছু থাকবে কি? সাকিব ॥ বলা যায় না, ঢাকার উইকেট সকাল বেলা একটু হলেও পেস বোলারদের সবসময় হেল্প করে। স্পেশালি এমন ওয়েদারে যখন একটু কুয়াশা পড়ে, একটু ঠা-া ঠা-া ভাব থাকে। ঢাকার উইকেটটাতে সবসময় পেস বোলারদের একটু হেল্প থাকে। সেটা আমাদের বিবেচনায় আছে। * শেষ মুহূর্তে লিটনের অন্তর্ভুক্তি... সাকিব ॥ ব্যাকআপ হিসেবে রাখা হচ্ছে লিটনকে। কারণ যদি (মুশফিকের) ব্যথাটা বাড়ে, ফোলা থাকে ওইরকম কোন অসুবিধা হয়, তাহলে আমাদের ব্যাকআপ প্ল্যানটা যেন ঠিক থাকে। এই কারণেই লিটনকে আনা। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমি যতটুকু জানি যে মুশফিক ভাই খেলবেন এবং দুইটাই করবেন। যদি মুশফিক ভাই না কিপিং করতে পারেন খুবই আনলাইকলি যে করতে পারবে না। যদি সেটা না পারে তাহলে লিটন কিপিং করবে। আর কিপিং করে ওপেন করাটা তার জন্য খুবই ডিফিকাল্ট হবে। * অনভিজ্ঞ ওপেনিং জুটি... সাকিব ॥ খেলতে খেলতে এরাই (সৌম্য-সাদমান) একসময় অভিজ্ঞ হয়ে যাবে। পুরো দল সবাই মিলে যেটা ভাল মনে হয়েছে সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। * উইকেট... সাকিব ॥ আসলে উইকেট দেখে সবসময় অনুমান করা যায় না। এটা পৃথিবীর কোন উইকেটই যায় না। বলতে পারবে এরকম হতে পারে, কিন্তু কেউ বলতে পারবে না এরকমই হবে। মিরপুরের উইকেটও সেদিক থেকে একই রকম। সো যখন খেলাটা শুরু হবে তখন গেলে বোঝা যাবে। আরেকটা জিনিস হচ্ছে টেস্ট ম্যাচ পাঁচদিনের খেলা। প্রতিদিন উইকেট চেঞ্জ হয়, প্রতি সেশনে উইকেট চেঞ্জ হয়। আসলে কোন ফিক্সট প্ল্যান মাথায় নিয়ে না খেলাই উচিত। ওপেন মাইন্ডে থাকলে বরং টিমের জন্য ভাল। * ২০০৯ সাল, ২০১৮ সাল... সাকিব ॥ সুযোগ আছে (হোয়াইটওয়াশের)। বাট সুযোগটা কাজে লাগাতে অনেক হার্ডওয়ার্ক করতে হবে। স্বাভাবিকভাবেই উইন্ডিজ দল আরও ভাল করার জন্য এক্সাইটেড থাকবে। ওরা ওদের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করবে যেন ওরা ভাল করতে পারে, জিততে পারে। আমাদের জিততে হলে ওদের থেকে বেটার পারফর্ম করতে হবে। চিটাগংয়ে যে পারফর্মেন্স করেছি তারচেয়েও ভাল পারফর্ম করতে হবে এখানে জিতার জন্য। আমাদের নিজেদের ওপরেও নিজেদের একটা চ্যালেঞ্জ আছে। এই চ্যালেঞ্জটা আমি বিশ্বাস করি আমরা ওভারকাম করতে পারব। তারজন্য আমাদের মেন্টালি অনেক বেশি স্ট্রং হতে হবে। ফিজিক্যালিও আমাদের অনেক টাফ হতে হবে। * ওপেনার সাদমান এবং ওপেনিং জুটি... সাকিব ॥ সাদমান টেস্ট ক্রিকেটের জন্য এক্সাইটিং প্রসপেক্ট। ওর খেলার ধরন আমি যতটুকু দেখেছি এবং শুনেছি, টেস্ট ক্রিকেটের সঙ্গে খুব মানানসই। ও যদি সুযোগ পায় আমি আশা করব সে যেন দলের জয়ে ভূমিকা রাখতে পারে। শুরুটা আসলে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সব ফরমেটেই শুরুটা গুরুত্বপূর্ণ। ওপেনারদের ওপর ব্যাটিং হোক বা বোলিং হোক, বোলিং হলে দায়িত্ব থাকলে একটা ব্রেক থ্রু দেয়ার। আর ব্যাটিং হলে চায় বলটা যেন পুরনো করে দিয়ে আসতে পারে বা একটা ভাল জুটি গড়ে দিয়ে আসতে পারে। তাহলে খেলাটা অনেক সহজ হয়। ওই জায়গাতে আমরা বেশি সফল হয়নি। বোলিংয়ে হয়েছি, ব্যাটিংয়ে হইনি। এ কারণে অনেকগুলো পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের মনে হয়েছে, চেঞ্জ হতে থাকলে একটা না সময় এসে ওরকম কাউকে আমরা পাব, যাদের মনে হবে, এদের একটা জায়গায় রেখে খেলানো সম্ভব হবে। ওই ভরসার জায়গাটা তৈরি করা খুব জরুরী। আমি আশা করব আমরা ওরকম কাউকে যেন পেয়ে যাই যেটাতে আমাদের ভিতটা গড়ে উঠবে। ওপেনিংয়ে একটা ভাল জুটি হলে পরের ব্যাটসম্যানদের জন্য কাজটা সহজ হয়, দলের ভেতর একটা রিল্যাক্সড ফিলিংস চলে আসে। খুব ভাল একটা অবস্থানে আসার জন্য সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ ওপেনিং জুটি। * চার স্পিনার... সাকিব ॥ অবশ্যই এক্সাইটিং। আমরা যে ধরনের পার্টনারশিপে বোলিং করতে পেরেছি। একই সঙ্গে আমার কাছে মনে হয় একটু চ্যালেঞ্জিংও। কারণ স্পিনাররাও সবসময় প্রেফার করে বড় স্পেল করার জন্য। যেটা আমি তাইজুল ছাড়া আর কাউকে দিয়ে করাতে পারিনি। ওটা একটা চ্যালেঞ্জিং জায়গা। বাট একদিক থেকে চ্যালেঞ্জিং হলেও আরেক দিক থেকে অনেক এক্সাইটিং, কারণ সবাই চেষ্টা করছে দলের প্রয়োজনে সবাই একটা উইকেট নিতে বা ভাল বোলিং করার। আর দেখতে আমার কাছে ভাল লেগেছে সবসময় দুইটা এন্ড থেকে এ্যাটাক করতে পেরেছি, যেটা আমার কাছে মনে হয়েছে অনেক ভাল একটা দিক। আমাদের চেষ্টা থাকবে এই টেস্টেও যেন দুইদিক থেকে এ্যাটাক করতে পারি এবং পার্টনারশিপে ভাল বল করতে পারি। এটা আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়। সাধারণত যে উইকেট হয়ে আসছে ওরকম যদি হয় তাহলে পার্টনারশিপটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ হবে।
×