ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ৩০ নভেম্বর ২০১৮

উবাচ

জামায়াতে মুক্তিযোদ্ধা স্টাফ রিপোর্টার ॥ জামায়াতকে ছাড়তে পারেনি বিএনপি। ঐক্যফ্রন্ট গঠনে ড. কামাল হোসেনের প্রধান শর্তই ছিল জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করতে হবে। কিন্তু বিএনপি শেষ পর্যন্ত সেই সঙ্গ ত্যাগ করতে পারেনি। জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করতে না পারায় বিএনপির সঙ্গ ছেড়ে গেছেন এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। বিএনপির বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ যুদ্ধাপরাধ আর জঙ্গীবাদকে লালন করা। যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে অবস্থান নেয়ার পাশাপাশি এবার জঙ্গীবাদের অভিযুক্ত ব্যক্তিকেও মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি। যখন সারাদেশে বিএনপির এই রাজনৈতিক কৌশল সমালোচিত হচ্ছে তখনই এক বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি যুদ্ধাপরাধীদের দলে নাকি মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের ধানের শীষ দেয়া হবে না, এটা আপনাদের আশ্বস্ত করতে পারি। তাছাড়া, জামায়াতের মধ্যেও অনেক মুক্তিযোদ্ধা আছেন। সত্যিই অসুস্থ! স্টাফ রিপোর্টার ॥ এর আগেও দেখা গেছে, নির্বাচন এগিয়ে এলে জাতীয় পার্টি প্রধান এরশাদ হাসপাতালে ভর্তি হন। এবারও তিনি বেশ অসুস্থ। এরশাদের অসুস্থতা নিয়ে নানা রকম গুঞ্জন ছড়ানোর মধ্যেই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এরশাদ ‘রাজনৈতিকভাবে অসুস্থ নয়, সত্যিকারভাবেই তিনি অসুস্থ।’ তাকে দুই-এক দিনের মধ্যে সিঙ্গাপুর হাসপাতালে নেওয়া হতে পারে। ওবায়দুল কাদের বলেন, এরশাদের ৯০/৯২ বছর বয়স হয়েছে। তিনি অসুস্থ হতেই পারেন, এখানে হাসাহাসির কিছু নেই। যে কেউ যে কোন সময় অসুস্থ হতে পারে। সাকির কোদাল স্টাফ রিরোর্টার ॥ জোনায়েদ আব্দুর রহিম সাকি নামের মাঝের অংশ আব্দুর রহিম, যার বাংলা আভিধানিক অর্থ অতি দয়ালুÑএই অংশ সরিয়ে রেখে তিনি পরিচিত জোনায়েদ সাকি নামেই। রাতে চ্যানেলের টেলিভিশন টকশোর এক পরিচিত মুখ তিনি। এই আব্দুর রহিম গত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ঢাকা উত্তরের মেয়র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন। সব মিলিয়ে ভোট পেয়েছেন সাত হাজার ৩৭০। উত্তর সিটির ২৩ লাখ ৪৫ হাজার ৩৩৪ ভোটের মধ্যে সাকির ভোট প্রাপ্তির হার মাত্র শূন্য দশমিক ৩১ শতাংশ। অর্থাৎ এক ভাগেরও ঢের কম। নিয়ম অনুযায়ী ছয় ভাগের কম ভোট পেলে প্রার্থীর জামানত বাজেয়াফত হয়। সেই হিসেবে জোনায়েদ আব্দুর রহিম সাকি জামানত হারানো এক নেতা। সম্প্রতি মনোনয়ন ফরম কিনে ব্যাপকভাবে আলোচিত হন হিরো আলম নামে। হিরো নিজের এলাকায় যে ইউপি নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন দুই বার; একবারও তার জামানত বাজেয়াফত হয়নি। সঙ্গত কারণে যে কেউ প্রশ্ন করতেই পারেনÑকে বড় নেতা, সাকি না হিরো আলম? উত্তরে নিশ্চই হিরো আলমকেই এগিয়ে রাখতে হবে। আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনে মানুষ অধীর আগ্রহে ভোট দেয়ার জন্য। সারাদেশে এখন নির্বাচনী আমেজ। সাকি বলছেন, দেশের মানুষ নাকি ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে ভয় পাচ্ছেন। শুধু দল নয়, একটি জোটের সমন্বয়ক আব্দুর রহিম বলেছেন, ঢাকা ১২ আসন (তেজগাঁও-বেগুনবাড়ি) থেকে নির্বাচন করব। প্রথমে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলাম। এজন্য তেজগাঁও-বেগুনবাড়ির চার হাজার নাগরিকের সমর্থন ও স্বাক্ষর নিয়েছিলাম। কিন্তু দেখলাম তারা আমাকে সমর্থন দিয়ে ভীতিকর অবস্থায় আছেন। তাই আমি গণতান্ত্রিক বাম জোট থেকে বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কোদাল প্রতীকে নির্বাচন করব। সন্দেহ এখানেইÑ সাকি নির্বাচন করে ২৩ লাখ ৪৫ হাজারের মধ্যে পেলেন মাত্র শূন্য দশমিক ৩১ ভাগ। আর ঢাকা ১২ আসনের তিন লাখ ৩৯ হাজার ৯৩৮ ভোটারের মধ্যে তিনি চার হাজার লোকের সমর্থন আর সই নিয়েছেন। তা কতটা বিশ্বাসযোগ্য! আর সমর্থন দিলে তারা ভয়ইবা পাবেন কেন? কেউ কেউ তো বলছেন, চার হাজার লোকের নিরাপত্তা দিতে না পারলে নেতা হওয়ার কি দরকার!
×