ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মহাজোটে থেকেও ২শ’ আসনে প্রার্থী দিল জাপা

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ২৯ নভেম্বর ২০১৮

মহাজোটে থেকেও ২শ’ আসনে প্রার্থী দিল জাপা

রাজন ভট্টাচার্য ॥ আগামী নয় ডিসেম্বরের আগে কোন জোটেরই আসন বণ্টন নিশ্চিত হচ্ছে না। ইতোমধ্যে সব দলের পক্ষ থেকে প্রার্থী মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। কিন্তু আসন বণ্টন চূড়ান্ত না হওয়ায় জোটের তালিকা প্রকাশ করেনি বড় দলগুলো। নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী মহাজোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আসন ভাগাভাগি নিয়ে অনেকটা বেকায়দায় আছে। দুই জোটের শরিক দলগুলোও আছে মহাটেনশনে। প্রার্থীসহ শরিক নেতাদের ভাবনা একটাই শেষ পর্যন্ত কত আসন মিলবে। তবে সব দলের শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, নয় ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। এর মধ্যেই শরিকদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি ফাইনাল হবে। তারপর চূড়ান্ত প্রার্থী ছাড়া অন্যদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের সবুজ সঙ্কেত দেয়া হবে। এর মধ্য দিয়েই সব দলের আসন পরিষ্কার হবে বলে জানিয়েছেন তারা। এদিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে ২২০ প্রার্থীর হাতে মনোনয়নপত্র তুলে দেয়া হয়েছে। তারা প্রত্যেকেই মনোনয়নপত্র জমাও দিয়েছেন। জানা গেছে, ৩০০ আসনে দলটি একক প্রার্থী চূড়ান্ত করেছিল। কৌশলগত কারণে বাকি এক শ’ আসনে মনোনয়নপত্র দেয়া হয়নি। মনোনয়নপত্র দেয়া নিয়ে লোকচুরি খেলছে দলটি। অনেকটা গোপনীয়তা রক্ষা করেই অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীদের হাতে মনোনয়নপত্র তুলে দেয়া হয়। তাছাড়া আওয়ামী লীগের সঙ্গে মহাজোট গঠনের মধ্য দিয়ে দলটি কত আসন পেল তাও পরিষ্কার করা হচ্ছে না। ইতোমধ্যে জাপার মনোনয়ন বঞ্চিতদের অনেকেই ভিড় করছেন এরশাদের বনানী কার্যালয়ের সামনে। সেখানে মনোনয়নের নামে দলের শীর্ষ নেতাদের বিপুল পরিমাণ টাকা দেয়ার অভিযোগ করছেন তারা। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আসন বণ্টন নিয়ে শরিকদের সঙ্গে কোন মতবিরোধ নেই। আলোচনা চলছে। দলের পক্ষ থেকে যারা মনোনয়ন পেয়েছেন তারা জমা দিয়েছেন। শরিকদের সঙ্গে আলোচনার পর সবকিছু ঠিক হবে। আমরা একটু ধীরে চলার চেষ্টা করছি। আশাকরি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আগেই সবকিছু পরিষ্কার হবে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আসন নিয়ে আমাদের মধ্যে কোন মতবিভেদ নেই। কৌশলগত কারণে জোটের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। আশাকরি দ্রুত সময়ের মধ্যে সবকিছু পরিষ্কার হবে। বুধবার ২৮ ডিসেম্বর ছিল মনোনয়ন জমা দেয়ার শেষ দিন। শেষ দিনে এরশাদের পক্ষে ঢাকা ও রংপুর দুটি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া হয়েছে। এছাড়া দলের শীর্ষ নেতাদের সবাই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। দলের পক্ষ থেকে কারা মনোনয়ন পেয়েছেন তা পরিষ্কার না হলেও সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে অনেকেই শেষ দিনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার কথা জানা গেছে। জমা দেয়া প্রার্থীদের মধ্যে মহাজোটের আসন বণ্টনের পর তাদের নাম থাকবে কিনা এ নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তাছাড়া অসুস্থতার কথা বলে জাপা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এখন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এই বাস্তবতায় প্রার্থীরা অনেকটাই দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভুগছেন। তারা রওশন এরশাদ, জিএম কাদের ও রুহুল আমিন হাওলাদারের কাছে বারবার যাচ্ছেন দলের সর্বশেষ অবস্থান সম্পর্কে জানতে। বুধবার রাত পর্যন্ত জাপার পক্ষ থেকে মহাজোটের শরিক হিসেবে প্রার্থী তালিকা বা কত আসন তা নিশ্চিত করা হয়নি। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মতো কৌশলী অবস্থান নিয়েছে তারাও। দলের শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, আগামী ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। এর মধ্যে দলের পক্ষ থেকে যাদের মনোনয়নপত্র দেয়া হয়েছে তাদের জমা দেয়ার সবুজ সঙ্কেতও দেয়া হয়েছে। মনোনয়নপত্রের সঙ্গে প্রত্যাহারের কপিও রাখা হয়েছে দলের কাছে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে সর্বশেষ আলোচনার পর আসন নিশ্চিত হবে। তারপর মনোনয়ন প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয়া হবে দলের হাইকমান্ড থেকে। অর্থাৎ জাতীয় পার্টি কত আসন পেল বা কোন কোন আসনে তাদের দলের প্রার্থী চূড়ান্ত হয়েছে তা ৯ ডিসেম্বরের আগে জানা যাচ্ছে না। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাপা চেয়ারম্যান এরশাদ প্রথমে আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ১০০ আসন চেয়ে তালিকা দেন। এরপর দলের পক্ষ থেকে সর্বশেষ চাওয়া হয় ৭০টি আসন। কিন্তু আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বারবার বলে আসছিলেন জোটের শরিকদের জন্য সর্বোচ্চ ৭০টি আসন ছাড় দেয়া হতে পারে। এই হিসাব করেই ২৩০টি আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র তুলে দেয়া হয়েছে। কিন্তু কৌশলগত কারণে মহাজোটের শরিক দলগুলোর প্রার্থী তালিকা কোন পক্ষ থেকেই প্রকাশ করা হয়নি। প্রার্থী তালিকা প্রকাশের জন্য আওয়ামী লীগ ও জাপার পক্ষ থেকে প্রেস কনফারেন্স ডাকা হলেও শেষ মুহূর্তে তা বাতিল করা হয়। উভয় দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কৌশলী অবস্থার উভয় পক্ষের। সময় হলেই তারা আনুষ্ঠানিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে। জানতে চাইলে জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেছেন, ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় মহাজোটের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। বুধবার জাপা চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে ব্রিফিং করে সাংবাদিকদের তনি বলেন, মহাজোটের কথা বিবেচনা করে অনেক আসনে ছাড় দিতে হচ্ছে। তাই অনেকেই মনোনয়ন না পেয়ে, ক্ষোভে অসত্য এবং বানোয়াট অভিযোগ তুলছেন। মনোনয়ন না পেয়ে একটি মহল বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। পার্টির শীর্ষ নেতাদের চরিত্র হননের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি বলেন, ২২০ আসনে দলের প্রার্থীদের কাছে মনোনয়নের চিঠি তুলে দেয়া হয়েছে। রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, মহাজোটের বিষয়টি আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে অনেক দূর এগিয়েছে। মহাজোটে কোন বিভ্রান্তি নেই। জাতীয় পার্টি মহাজোটের অংশ হিসেবেই নির্বাচনে অংশ নেবে। তিনি আরও বলেন, ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় মহাজোটের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। এ সময় জানা যাবে মহাজোটের কোন দল কতটি আসন পেয়েছে। তার আগে আসন নিয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না। দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রথমে জাপাকে ৩৫টি আসন দেয়ার প্রস্তাব করা হয়। এর কারণ হিসেবে জানা গেছে, এবার মহাজোটে নতুন কয়েকটি দল ও মোর্চা যুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ডাঃ বি চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্ট, ইসলামী ঐক্যজোট, ইসলামিক ডেমোক্র্যাটিক এ্যালায়েন্সসহ সাবেক বিএনপি নেতা নাজমুল হুদার জোট। এর বাইরে ১৪ দলের শরিকরা তো আছেই। আসন নিয়ে ইতোমধ্যে জাপার সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক হয়েছে কয়েকদফা। কিন্তু তৃণমূল নেতাদের চাপ থাকায় দু’পক্ষ কিছু কিছু আসন ছাড় দিতে নারাজ। সর্বশেষ জাতীয় পার্টিকে ৪০টি আসন দেয়া হতে পারে। তবে জাপা চায় ৪৫টি। দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ফয়সল চিশতী বলেন, বেশকটি আসন উন্মুক্ত থাকার আশায় দল ১৫০ আসনে মনোনয়ন দিচ্ছে। অন্য প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আবদুস সবুর আসুদ জানান, আমি ঢাকা-৫ আসন থেকে দলীয় মনোনয়নপত্র পেয়েছি। আশাকরি মহাজোটের শরিক হিসেবে এই আসনটি শেষ পর্যন্ত জাপার জন্য ছাড় দেয়া হবে। ২ হাজার ৮৬৫টি মনোনয়নপত্র বিক্রির পর সেখান থেকে ৭৮০ জনকে মনোনয়নের জন্য বাছাই করা হয় দ্বিতীয় ধাপে। তারপর সেখান থেকে ৩০০ প্রার্থীকে বাছাই করা হয় চূড়ান্ত মনোনয়নের জন্য। প্রার্থী নির্বাচনে ১৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি পার্লামেন্টারি বোর্ড গঠন করা হলেও তাতে সদস্যদের ভূমিকা ছিল নগণ্য। চূড়ান্ত মনোনয়ন দিতে এরশাদ নিজেই সিদ্ধান্ত নেবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেয়ার কথা বলা হলেও দল সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসায় মনোনয়ন প্রত্যাশী অনেকেই হতাশ হয়ে পড়েছেন। তাছাড়া সম্ভাব্য ছেড়ে দেয়া আসনগুলোতেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী দেয়ার জাপায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। শুধু তাই নয় বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের আসনেও প্রার্থী দেয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে। দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী শফিকুর রহমান সেন্টু বলেন, আমার আসন থেকে মহাজোট ইতোমধ্যে সাদেক খানের নাম ঘোষণা করেছে। আমার প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা কম। পরবর্তী করণীয় নিয়ে ভাবছি। নওগাঁ-৩ আসনে (বদলগাছি-মহাদেবপুর) প্রার্থী হতে ইচ্ছুক দলের যুগ্ম-মহাসচিব মোঃ তোফাজ্জ্বল হোসেন বলেন, এলাকায় জাতীয় পার্টির অবস্থান খুব ভাল ছিল। এবার আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কেউ আমাদের হারাতে পারত না। এখন অপেক্ষা করছি, আসনটি যদি উন্মুক্ত রাখা হয়। তিনি ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে জাপার হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য এনাম জয়নাল আবেদীন বলেন, তিনজন থেকে বাছাই করে দল আমাকেই শেষ পর্যন্ত মনোনীত করেছে। যদিও আমার আসন থেকে মহাজোটের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়ে গেছে। আসনটি উন্মুক্ত থাকলে সেখানে আওয়ামী লীগ, বিএনপির সঙ্গে জাতীয় পার্টির হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। এদিকে চেয়ারম্যান এরশাদ যে তিনটি আসন থেকে নির্বাচন করতে আগ্রহী, তার দুটি ঢাকা-১৭ এবং সাতক্ষীরা-৪ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে। নারায়ণগঞ্জ-১ আসন থেকে এরশাদের জন্য মনোনয়ন চাওয়া হলেও সেখানে গোলাম দস্তগীর গাজীকে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। আসনটি নিয়ে দেন-দরবার করা হতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন দলটির কজন প্রেসিডিয়াম সদস্য। দলের মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারের পটুয়াখালী-১ আসনটিতেও আওয়ামী লীগ প্রার্থী দিয়েছে। আসনটি যেন উন্মুক্ত রাখা হয় তার জন্য জাপা চেষ্টা করবে। এছাড়াও ঢাকা-১ আসনে জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য সালমা ইসলামের আসনে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে। চট্টগ্রাম-৯ আসনে গতবারের সাংসদ ও জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলুর আসনে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকে। মহাজোট প্রার্থী দেয়ার পর এসব আসন থেকে জাপা মনোনয়ন দেবে কিনা- তার জবাব মেলেনি নেতাদের কাছ থেকে। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে দলের মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমাদের আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা চলছে। জাপার অনেক আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আলোচনার মাধ্যমে সকল সমস্যার সমাধান হবে বলে বিশ^াস করি। সঙ্কট সমাধান হলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে এক হয়ে মহাজোটের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার কথাও জানান তিনি। ১১০ আসনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ॥ মহাজোটের অন্যতম শরিক হিসেবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অংশ নিতে ১১০ জনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে জাতীয় পার্টি। এরই মধ্যে ২২০ জনের হাতে চিঠি দেয়া হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। মহাজোটের নেতৃত্বে থাকা আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি চূড়ান্ত হলে এ তালিকা আরও ছোট হয়ে আসবে। তবে ১১০ জন প্রার্থীর নাম পাওয়া গেছে। প্রাথমিক তালিকায় যারা রয়েছেন- রংপুর-৩ ও ঢাকা-১৭ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, ময়মনসিংহ-৪ ও ৭ রওশন এরশাদ, পটুয়াখালী-১ এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, চট্টগ্রাম-৫ ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, ঢাকা-৬ কাজী ফিরোজ রশিদ, কক্সবাজার-৩ জিয়া উদ্দিন বাবলু, রংপুর-১ মশিউর রহমান রাঙা, কিশোরগঞ্জ-৩ মজিবুল হক চুন্নু, বরিশাল-৬ নাসরিন জাহান রতœা, নীলফামারী-৪ আদেলুর রহমান, কুড়িগ্রাম-৩ ড. আক্কাস আল সরকার, গাইবান্ধা-১ ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, কুড়িগ্রাম-১ একেএম মোস্তাফিজুর রহমান, বগুড়া-২ শরিফুল হক জিন্নাহ, বগুড়া-৬ নুরুল ইসলাম ওমর, পিরোজপুর-৩ রুস্তম আলী ফরাজী, ময়মনসিংহ-৫ সালাউদ্দিন আহমেদ মুক্তি, ময়মনসিংহ-৮ ফখরুল ইমাম, ঢাকা-৪ সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, নারায়রগঞ্জ-৩ লিয়াকত হোসেন খোকা, নারায়নগঞ্জ-৫ সেলিম ওসমান, সুনামগঞ্জ-৪ পীর ফজলুর রহমান মেজবাহ, সিলেট-৫ সেলিম উদ্দিন, কুমিল্লা-২ আমির হোসেন ভূইয়া, কুমিল্লা-৮ নুরুল ইসলাম মিলন, লালমনিরহাট-৩ গোলাম মোহাম্মদ কাদের, খুলনা-১ সুনীল শুভরায়, ফেনী-৩ লে. জে. (অব) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, বরিশাল-২ মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা/ ক্যাপ্টেন এ. মোয়াজ্জেম হোসেন, হবিগঞ্জ-১ আলহাজ আতিকুর রহমান, গাইবান্ধা-৩ ব্যারিস্টার দিলারা খন্দকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, কুড়িগ্রাম-২ পনির উদ্দিন আহমেদ, কুষ্টিয়া-১ শাহরিয়ার জামিল, নাটোর-১ মোঃ আবু তালহা, দিনাজপুর-৬ দেলোয়ার হোসেন, কুড়িগ্রাম-৪ আশরাফ-উদ-দৌলা, নোয়াখালী-১ মাওলানা আবু নাসের ওয়াহেদ ফারুক (ইসলামী জোট), রাজশাহী-৫ আবুল হোসেন, সাতক্ষীরা-২ আজাহার হোসেন, ঢাকা-১৩ সফিকুল ইসলাম সেন্টু, বরগুনা-২ আলহাজ মিজানুর রহমান, চট্টগ্রাম-১৬ মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, লালমনিরহাট-১ মেজর (অব) খালেদ আখতার, খাগড়াছড়ি- সোলাইমান আলম শেঠ, নীলফামারী-১ জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, ঠাকুরগাঁও-৩ মোঃ হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, গাইবান্ধা-৫ এইচএম গোলাম শহীদ রঞ্জু, নালফামারী-৩ ফারুক কাদের, ঝালকাঠি-১ এমএ কুদ্দুস খান, কক্সবাজার-১ হাজী মোঃ ইলিয়াস, টাঙ্গাইল-৫ শফিউল্লাহ আল মনির, বাগেরহাট-৪ সোমনাথ দে, খুলনা-৬ মফিকুল ইসলাম মধু, নাটোর-২ মজিবুর রহমান সেন্টু, নরসিংদী-২ মোঃ আজম খান, কুমিল্লা-৪ ইকবাল হোসেন রাজু, যশোর-৪ এ্যাডভোকেট জহিরুল হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ দিদারুল আলম দিদার, নড়াইল-১ মিল্টন মোল্লা, হবিগঞ্জ-২ শংকর পাল, টাঙ্গাইল-৭ জহিরুল ইসলাম জহির, রংপুর-৪ মোস্তফা সেলিম বেঙ্গল, নওগাঁ-৩ এ্যাডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন, ঢাকা-৫ আব্দুস সবুর আসুদ, জয়পুরহাট-২ আবুল কাশেম রিপন, কক্সবাজার-২ মোঃ মহিবুল্লাহ, শেরপুর-১ মোঃ ইলিয়াছ উদ্দিন, নরসিংদী-৪ মোঃ নেওয়াজ উদ্দিন ভূইয়া, টাঙ্গাইল-৮ কাজী আশরাফ সিদ্দিকী, সাতক্ষীরা-১ সৈয়দ দিদার বখত, রংপুর-২ আসাদুজ্জামান চৌধুরী শাবলু, রংপুর-৫ এসএম ফখর উজ জামান, জয়পুরহাট-১ আ.স.ম মোক্তাদির তিতাস, বগুড়া-১ গোলাম মোস্তফা বাবু, গাজীপুর-৫ রাহেলা পারভীনি শিশির, নওগাঁ-৪ ডাঃ মোঃ এনামুল হক, নাটোর-৪ আলাউদ্দিন মৃধা, মুন্সিগঞ্জ-২ শেখ মোঃ সিরাজুল ইসলাম, রাজশাহী-৩ শাহাবুদ্দিন বাচ্চু, রাজবাড়ী-১ মোঃ আশরাফুজ্জামান হাসান, ঝিনাইদহ-৩ ব্যারিস্টার কামরুজ্জামান স্বাধীন, ঢাকা-৯ অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, নোয়াখালী-৪ মোবারক হোসেন আজাদ, জামালপুর-২ মোস্তফা আল মাহমুদ, দিনাজপুর-২ এ্যাডভোকেট জুলফিকার হোসেন, বাগেরহাট-৩ সেকান্দার আলী মনি, ঢাকা-১৪ মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক, নেত্রকোনা-৩ জসীম উদ্দিন ভূইয়া, নোয়াখালী-৩ ফজলে এলাহী সোহাগ, সিলেট-৩ ওসমান আলী, সাতক্ষীরা-৩ আব্দুস সাত্তার মোড়ল, মানিকগঞ্জ-৩ জহিরুল আলম রুবেল, মানিকগঞ্জ-১ এমএ মান্নান, ঢাকা-৭ তারেক আহমেদ আদেল, বরিশাল-৩ গোলাম কিবরিয়া টিপু/ফখরুল আহসান শাহজাদা, চাঁদপুর-৪ মনিরুল ইসলাম মিলন, নোয়াখালী-২ হাসান মঞ্জুর, কুমিল্লা-৭ লৎফর রেজা খোকন, দিনাজপুর-১ মোঃ শাহীনুর ইসলাম, নোয়াখালী-৬ এ্যাডভোকেট নাসিম উদ্দিন বায়োজিদ, পটুয়াখালী-৩ মাওলানা সাইফুুল ইসলাম, পটুয়াখালী-৪ আনোয়ার হোসেন, বরিশাল-৫ এ্যাডভোকেট একেএম মর্তুজা আবেদিন, পঞ্চগড়-১ আবু সালেহ, গাইবান্ধা-৪ কাজী মশিউর রহমান। দলের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে ২০০ আসনে প্রার্থী দেয়ার কথা জানিয়ে প্রেসিডিয়াম সদস্য আসুদ জানান, ২০০ আসনে প্রার্থীদের কাছে মনোনয়নপত্র দেয়া হয়েছে। তবে মহাজোটের আসনগুলো এখন উহ্য রাখা হবে। সবাই দলের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল গতকাল ২৮ নবেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই ২ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৯ ডিসেম্বর। আর প্রতীক বরাদ্দ ১০ ডিসেম্বর।
×