ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

৩ শ’ আসনে প্রার্থী ৩০৫৬

উৎসবমুখর পরিবেশে মনোনয়নপত্র জমা শেষ

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ২৯ নভেম্বর ২০১৮

উৎসবমুখর পরিবেশে মনোনয়নপত্র জমা শেষ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শেষ দিনে সারাদেশে উৎসবমুখর পরিবেশে প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ইসি সচিব হেলাল উদ্দিন আহমদ জানান, সংসদের ৩০০ আসনে ৩ হাজার ৫৬টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। এর মধ্যে অনলাইনে আবেদন হয়েছে ৩৯টি। বুধবার সারাদেশের রিটার্নিং কর্মকর্তা কার্যালয়ে প্রার্থী ও তাদের কর্মী সমর্থকদের ভিড়ে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। অনেক প্রার্থী নিজে আবার কেউ বা প্রতিনিধির মাধ্যমে মনোনয়নপত্র জমা দেন। জমা শেষে দোয়া সমর্থন কামনা করেন প্রার্থীরা। নিজের বিজয়ের বিষয়ে শতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তবে মনোনয়নপত্র জমার সময় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ থাকলেও এদিন আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেনি। মনোনয়নপত্র জমা নিয়ে কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। প্রার্থীরা নিজের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার আগে দলের পক্ষ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। দলীয় মনোনয়নপত্র নিশ্চিত হওয়ার পরই তারা শেষ সময়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে ভিড় করেন। এর আগে গত রবিবার থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের মনোনয়নের চিঠি দেয়া হয় আওয়ামী লীগ এবার ১৪ দলের পাশাপাশি জাতীয় পার্টির সঙ্গে মহাজোটেও নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। ফলে দলের প্রার্থীদের জন্য ২৩৮ আসনে প্রার্থীদের মনোনয়নের চিঠি দেয়া হয়েছে। এছাড়া বাকি আসনে জোটের শরিকদের মনোনয়ন দেয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি বিএনপির পক্ষ থেকে দলের ২৩০ আসনের প্রার্থীদের চিঠি দেয়া হয়েছে। বিএনপি এবার ড. কামালের নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। ফলে বাকি আসন জোটের শরিকদের ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। তবে জোটগত নির্বাচনের কারণে এবার দলের হেভিওয়েট প্রার্থীরা মনোনয়ন বঞ্চিত হচ্ছেন। এদিকে বিএনপির জোটের শরিক জামায়াত এবার ধানের শীষে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হতে জামায়াতের জন্য ২৫ আসন ছেড়ে দিয়েছে বিএনপি। মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিনে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার পক্ষে তিনটি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া হয়েছে। তবে তিনটি আসনের মধ্যে বিকল্প হিসেবে দুটি আসনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া হয়েছে। আদালতের রায়ে দ-াদেশ পাওয়ার কারণে খালেদা জিয়া এবার নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না। ইতোমধ্যে আদালত থেকে এ ধরনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যারা দ-াদেশ প্রাপ্ত আসামি এবারের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল করছেন তাদের মনোনয়নের বৈধতার জন্য তারা আদালতের নির্দেশনা অনুসরণ করবে। এর বাইরে তারা নিজেরা কোন সিদ্ধান্ত নেবে না। এদিকে শেষ দিনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের হেভিওয়েট প্রার্থীরা যেমন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। পাশাপাশি অন্য প্রার্থীরাও তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। শেষ দিনে রংপুরে-৩ আসন থেকে নির্বাচনে নিজের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন জাপা চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ। তার পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা। এ সময় তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান যতবার রংপুর থেকে নির্বাচন করেছেন ততবারই বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন। এবারও তিনি বিপুল ভোটের জয়লাভ করবেন। ঠাকুরগাঁও-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে। দেশে গণতান্ত্রিক একটা ব্যবস্থা চালু করতেই এই নির্বাচনে আসা। বিশ্বাস করি জনগণের ভোটের গণতন্ত্র বিজয় লাভ করবে। স্বৈরশাসনের পতন ঘটবে। জমার শেষ দিনে চারটি আসনে এদিন হেভিওয়েট প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এসব প্রার্থীর মধ্যে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহেমদ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর অব. হাফিজ, আন্দালিব রহমান পার্থসহ ২৩ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। শেষ দিনে কিশোরগঞ্জ-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তিনি অসুস্থ এবং বিদেশে চিকিৎসারত থাকায় তার পক্ষে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন তার ভাই। তিনি বলেন, সৈয়দ আশরাফ আগের চেয়ে কিছটা ভালবোধ করছেন। তার সুস্থতার জন্য তিনি সবার কাছে দোয়া চান। জমার শেষ দিনে নড়াইল-২ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এ সময় দলের নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে ছিলেন। তবে মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিনে যারা দল থেকে মনোনয়ন পাননি এমন অনেক প্রার্থীও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেলেও মানিকগঞ্জ-১ আসনে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে সাবেক এমপি এবিএম আনোয়রুল ইসলাম তার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর পাশাপাশি অনেসক আসরেন বিএনপি থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়নি এমন প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা বলছেন শেষ পর্যন্ত দল তাকে বিবেচনা করে মনোনয়ন দেবে। এদিকে দলের মনোনয়ন পেয়েও শেষ পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে বিএনপির তিন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেননি। এরা হলেন ফেনী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল মিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিবুন্নবী খান সোহেল। এর মধ্যে ফেনী-৩ আসন খেকে মিন্টুকে দলের মনোনয়ন দেয়া হয়। ফেনীর-১ আসনে খালেদা জিয়ার বিকল্প প্রার্থীও ছিলেন তিনি। অপরদিকে বরিশাল-২ আসনে ছিলেন মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। এবং ঢাকা-৮ আসনে মনোনয়ন দেয়া হাবিবুন্নবী খান সোহেলকে। অবশ্য তিনজনের কেউই এসব আসনে তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেননি। তবে কি কারণে তারা মনোনয়নপত্র জমা দেননি দলীয় সূত্র তা নিশ্চিত করতে পারেনি। কমিশনের পক্ষ থেকে আগ থেকে আচরণবিধি সম্পর্কে প্রার্থীদের সতর্ক করে দেয়। ইসির পক্ষ থেকে বলা হয় বুধবার জমার শেষে দিকে অধিকাংশ প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেবেন। কিন্তু সভাসমাবেশ ও শোডাউনের মাধ্যমে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া যাবে না। ইসির এই বিধান লঙ্ঘন করলে ছয় মাসের জেল অথবা ৫০ হাজার টাকার জরিমানার বিধান রয়েছে। তবে ইসির এই বিধান মেনেই অধিকাংশ প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে। সভাসমাবেশ না হলে কর্মী সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্য করার মতো। ফলে মনোনয়নপত্র জমাকে কেন্দ্র করে শেষ দিনে প্রত্যেক রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এবারই প্রথম দলীয় সরকারের অধীনে সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দলীয় সরকারে অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে কমিশনের পক্ষ থেকে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। আগামী ২ ডিসেম্বর রবিবার প্রার্থীদের এসব মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে। ইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে বাছাই যাদের আবেদনপত্র বাতিল হবে তারা রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপীল করতে পারবেন। এছাড়া কমিশনের আপীল দাখিল করতে পারবেন। কমিশনে আপীল খারিজ হলে আদালতে আপীল করতে পারবেন। আদালত প্রার্থীর পক্ষে রায় দিলে তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। ইতোমধ্যে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ যাদের বিরুদ্ধে দ-াদেশ দেয়া হয়েছে তারা এই নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না। যদিও তারা নির্বাচনে প্রার্থী হতে শেষ দিনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ইসি জানিয়েছে যাদের বিরুদ্ধে দ-াদেশ রয়েছে তাদের বিষয়ে আদালত যে সিদ্ধান্ত দেবেন ইসি তা অনুসরণ করবে। এর বাইরে কমিশন এ বিষয়ে নিজস্ব কোন সিদ্ধান্ত দেবে না। বুধবার জমা শেষ দিনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ ইসির নিবন্ধিত অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র নিজ নিচ এলাকায় রিটার্নিং সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন। মনোনয়নপত্র জমা নিয়ে দেশের কোথাও অপ্রীতির ঘটনা ঘটেনি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। অন্যান্য এলাকার মতো ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন এলাকার প্রার্থীরা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে বুধবার মনোনয়নপত্র জমা দেন। এদিন সকাল থেকেই সেগুনবাগিচার বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের ভিড় ছিল। সিটি কর্পোরেশন এলাকার প্রার্থীদের জন্য বিভাগীয় কমিশনারকে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সকাল ৯টা থেকে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া শুরু হয়। বেলা ১১টার দিকে বিভিন্ন দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং তাদের কর্মী-সমর্থকদের উপস্থিতিতে পুরো এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। সিটি কর্পোরেশন এলাকার জন্য আসনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র এই কর্যালয়ে জমা নেয়া হয়। বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-১০ আসনে মনোনয়পত্র জমা দেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। ঢাকা ১২ আসনের বিএনপি প্রার্থী সাইফুল ইসলাম নীরব প্রতিনিধির মাধ্যমে আনোয়ারুজ্জামান নিজে উপস্থিত হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন। ঢাকা-১৮ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাহারা খাতুন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, নির্বাচনে জয়ের বিষয়ে তিনি ‘শতভাগ আশাবাদী’। বেলা পৌনে ১২টায় ঢাকা-১৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাদেক খান এবং বিএনপির আবদুস সালাম মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ আসনে সালামের সঙ্গে আতাউর রহমান ঢালীকেও মনোনয়নের প্রত্যয়ন দিয়ে রেখেছে বিএনপি। ঢাকা-১৪ আসনের আওয়ামী লীগের আসলামুল হক, ঢাকা-১৬ আসনে মোঃ ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, ঢাকা-১১ আসনে একেএম রহমউল্লাহ ঢাকা-১১ মনোনয়নপত্র জমা দেন। ঢাকা-১৩ আসনে মহানগর উত্তরের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, একই আসনে নির্বাচনের জন্য বিএনপি চেয়াপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম মনোনয়নপত্র জমা দেন। এছাড়াও ঢাকা-৮ আসনে আরিফুর রহমান (জাতীয় পার্টি), ঢাকা-১০ শামসুল আলম (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেন। ঢাকা-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ঢাকা-২ আসনে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির দুই প্রার্থী আমান উল্লাহ আমান ও তার ছেলে ব্যারিস্টার ইরফান ইবনে আমান। বেলা ১১টায় এ আসনে আ’লীগের প্রার্থী হিসেবে রিটার্নি কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। এদিকে ঢাকা-২ আসনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জাকির মাহমুদের কাছে জাতীয় পার্টির পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন শাকিল আহমেদ শাকিল। বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন হাফেজী হুজুরের ছোট ছেলে হাফেজ মাওলানা ক্বারী আতাউল্লাহ। ঢাকা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারী খাত বিষয়ক উপদেষ্টা শিল্পপতি সালমান ফজলুর রহমান। ঢাকা বাইরের উৎসবমুখ পরিবেশে প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বিকেল ৫টায় পর্যন্ত নিজ নিজ এলাকার রিটার্নিং সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে তারা নিজে উপস্থিত হয়ে অথবা প্রতিনিধির মাধ্যমে মনোনয়নপত্র জমা দেন। দেশের বিভিন্ন জেলায় মনোনয়নপত্র জমার খবর ॥ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ারর পক্ষে এদিন বগুড়া ফেনীতে তিন মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়েছে। যদিও আদালতের রায়ের তার এবার নির্বাচনের পথ আটকে গেছে। তবে বিকল্প হিসেবে এসব আসনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলসহ অন্যপ্রার্থীরা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তবে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিজের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। খালেদা জিয়ার পক্ষে বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) মনোনয়নপত্র জমা দেয়া হয়েছে। এর বিকল্প হিসেবে রয়েছে গাবতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা মোরশেদ মিল্টন। ফেনী-১ আসনেও খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়েছে। বিকল্প হিসেবে এই আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মজনুর। চট্টগ্রাম অফিস ॥ উৎসবমুখর পরিবেশে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীরা। দলের মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ার পর বুধবার হেভিওয়েট প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেন। চট্টগ্রাম ১০ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডাঃ আফসারুল আমীন, চট্টগ্রাম-১১ আসনের এমএ লতিফ, চট্টগ্রাম-৯ আসনের ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম-৮ আসনের মইনউদ্দিন খান বাদল ও চট্টগ্রাম-৪ আসনের দিদারুল আলম। চট্টগ্রাম-১ আসনে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, চট্টগ্রাম-২ আসনে ১৪ দলীয় জোট প্রার্থী তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, আওয়ামী লীগের এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, চট্টগ্রাম-৩ আসনে মাহফুজুর রহমান মিতা, চট্টগ্রাম-৫ আসনে মহাজোট প্রার্থী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, চট্টগ্রাম-৬ আসনে এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৭ আসনে ড. হাছান মাহমুদ, চট্টগ্রাম-১২ আসনে সামসুল হক চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৩ আসনে সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, চট্টগ্রাম-১৪ আসনে নজরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম-১৫ আসনে ড. আবু রেজা নদভী এবং চট্টগ্রাম-১৬ আসনে মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী। আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের মনোনয়ন আগে ভাগে নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় চট্টগ্রামে কোন ধরনের বিদ্রোহী প্রার্থীর শঙ্কা এবার নেই আওয়ামী লীগে। বিএনপি এবং ২০ দলীয় জোটের প্রার্থীরাও এদিন মনোনয়নপত্র জমা দেন। চট্টগ্রাম-১০ আসনে আবদুল্লাহ আল নোমান, চট্টগ্রাম-১১ আসনে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৮ আসনে এম মোরশেদ খান ও আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম-৯ আসনে ডাঃ শাহাদাত হোসেন ও সামসুল আলম, চট্টগ্রাম-১ আসনে নুরুল আমিন, মনিরুল ইসলাম ইউসুফ ও কামাল উদ্দিন আহমেদ, চট্টগ্রাম-২ ডাঃ খুরশিদ জামিল, চট্টগ্রাম-৩ আসনে মোস্তফা কামাল পাশা, চট্টগ্রাম-৪ আসনে আসলাম চৌধুরী, বোরহান সিদ্দিকী, চট্টগ্রাম-৫ আসনে মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, মীর মোহাম্মদ হেলালউদ্দিন ও ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা, চট্টগ্রাম-৬ আসনে সামির কাদির চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৭ আসনে অধ্যাপক কুতুবউদ্দিন বাহার ও মুহাম্মদ শওকত আলী নূর, চট্টগ্রাম-১২ আসনে গাজী শাহজাহান জুয়েল ও এনামুল হক, চট্টগ্রাম-১৩ আসনে সরওয়ার জামাল নিজাম ও মোস্তাফিজুর রহমান এবং চট্টগ্রাম-১৬ আসনে জাফরুল ইসলাম চৌধুরী। চট্টগ্রামের রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসে বিএনপির সব বিকল্প প্রার্থীরাও মনোনয়নপত্র জমা দেন। এছাড়া জোটের শরিক দল কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম বীর প্রতীক, এলডিপি সভাপতি কর্নেল (অব) অলি আহমদ বীর বিক্রম ও জামায়াতে ইসলামীর আ ন ম শামসুল ইসলামের পক্ষে চট্টগ্রাম-১৪ ও চট্টগ্রাম-১৫ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়েছে। বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী দলের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেননি। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) ও চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনীয়া) আসনে। তবে তার পুত্র বিএনপির প্রার্থী হিসেবে রাউজান আসনেই মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। বাগেরহাট ॥ জেলার ৫ আসনে বিএনপি আওয়ামীসহ বিভিন্ন দলের ১৭ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। চার আসনে জামায়াত নেতাসহ বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে ৮ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। জাতীয় পার্টি, আওয়ামী লীগ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আরও ৫ জন তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। মনোনয়নপত্র দাখিলকারীরা হলেনÑ বাগেরহাট-১ আসনে বিএনপির ইঞ্জিনিয়ার মাসুদ রানা, বিএনপির সাবেক এমপি মুজবিুর রহমান ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোঃ লিয়াকত আলী শেখ, আওয়ামী লীগের শেখ হেলাল উদ্দিন। বাগেরহাট-২ আসনে জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ সালাম, বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন তালিম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির অধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল, আওয়ামী লীগের শেখ তন্ময়। বাগেরহাট-৩ আসনে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ড. ফরিদুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির এ্যাড. আব্দুল ওয়াদুদও বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমাদেন। একই আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাও. শাহজালাল সিরাজী, আওয়ামী লীগের হাবিবুন্নাহার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বাগেরহাট-৪ আসনে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি কাজী খায়রুজ্জামান শিপন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ, জাতীয় পার্টির সোমনাথ দে, আওয়ামী লীগের ডাঃ মোজাম্মেল হোসেন। একই আসনে জেলা জামায়াত নেতা অধ্যক্ষ আব্দুল আলিমও বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। কুড়িগ্রাম ॥ ৪ আসনে বিএনপি ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসকের কাছে এবং উপজেলা পর্যায়ে সহকারী রিটার্নিং অফিসার উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন প্রার্থী ও তাদের প্রতিনিধিরা। কুড়িগ্রাম-২ আসনে সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ, কুড়িগ্রাম-১ আসনে সাইফুর রহমান রানা, কুড়িগ্রাম-৩ আসনে তাসভিরুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম-৪ আসনে মোখলেচুর রহমান ও আজিজার রহমান। এসব আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা হচ্ছেনÑ এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান, পনির উদ্দিন আহমেদ, ডাঃ আক্কাছ আলী, মেজর (অব) আশরাফুর দৌলা তাজ। নড়াইল ॥ জেলার ২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন দলীয় নেতৃবৃন্দ। বুধবার দুপুরে জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক আনজুমান আরার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া হয়। এ আসনে বিএনপি প্রার্থী শরীফ কাসাফুদ্দোজা কাফী, ২০ দলীয় জোট সমর্থিত এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান, এনপিপির (ছালু) প্রার্থী মনিরুল ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। নড়াইল-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তি, মহাজোটের অপর প্রার্থী জাসদের একাংশের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া, বিএনপি প্রার্থী বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম ও জাতীয় পার্টির (এরশাদ) প্রার্থী মিল্টন মোল্যাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। দিনাজপুর ॥ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দানের শেষ দিনে উৎসবমুখর পরিবেশে দিনাজপুরের ৬ সংসদীয় আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন অনেকে। জেলার ১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোরঞ্জনশীল গোপাল বিএনপির প্রার্থী মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু ও ওয়ার্কার্স পার্টি আব্দুল হক। দিনাজপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, ডাঃ মানবেন্দ্র রায় মানব বিদ্রোহী (আওয়ামী লীগ) এবং বিএনপি প্রার্থী সাদিক রিয়াজ পিনাক, অধ্যাপক মঞ্জুরুল ইসলাম বিএনপি, স্বতন্ত্র মোকাররম হোসেন। দিনাজপুর-৩ আসনে ইকবালুর রহিম এমপি এবং বিএনপি প্রার্থী পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম ও এ্যাড. মোফাজ্জল হোসেন দুলাল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতী মুহাম্মদ খাইরুজ্জামান দিনাজপুর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এমপি, বিএনপি প্রার্থী হাফিজুর রহমান সরকার ও আকতারুজ্জামন মিয়া, দিনাজপুর-৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান, বিএনপির রেজওয়ানুল হক, দিনাজপুর-৬ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শিবলী সাদিক এবং বিএনপি প্রার্থী লুৎফর রহমান মিন্টু, ইসলামী আন্দোলনের নুরে আলম সিদ্দিক ও সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী (বিএনপি বিদ্রোহী প্রার্থী) মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মৌলভীবাজার ॥ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার জেলার ৪ আসনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধিন মহাজোট ও বিএনপির নেতৃত্বাধিন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও স্বতন্ত্র মিলে এ পর্যন্ত মোট ১৬ প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন। মৌলভীবাজার-৩ আওয়ামী লীগের নেছার আহমদ, বিএনপির সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম সাইফুর রহমান পুত্র এম নাসের রহমান, নাসের রহমানের স্ত্রী রেজিনা নাসের, মৌলভীবাজার-১ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় হুইপ সাহাবউদ্দিন আহমদ, বিএনপির সাবেক প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট এবাদুর রহমান চৌধুরী ও শিল্পপতি নাসির উদ্দিন মিঠু, মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) বিএনপির ডাকসুর সাবেক ভিপি এবং সাবেক এমপি সুলতান মোঃ মনসুর আহমদ, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধিন মহাজোট থেকে এম এম শাহীন ও এ্যাডভোটে মাহবুবুল আলম শামীম মনোনয়ন জমা দেন। মৌলভীবাজার-৪ (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) আওয়ামী লীগের উপাধক্ষ্য মোঃ আব্দুস শহীদ, বিএনপি থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন হাজী মুজিবুর রহমান মুজিব ও তার পুত্র আশিক মুঈদ চৌধুরী। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জের ৫ আসনে আওয়মী লীগ, বিএনপি জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৬১ প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেয়। সকাল থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে জমা দেয়া হয় প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র। গাইবান্ধার ৫ আসনে বিভিন্ন দলের ৬৭ প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে। নরসিংদীর ৫ আসনে জমা দিয়েছে প্রধান রাজনৈতিক দলের প্রার্থীসহ ৩৫ প্রার্থী। জামালপুরের ৫ আসনে ৫২, হবিগঞ্জের চার আসনে ২৪ জন কুষ্টিয়ার চার আসনে ১১ প্রার্থী, লালমনিরহাটের ৩ আসনে ৩ জন ভিআইপিসহ ২৪ জন, শেরপুরের ৩ আসনে ২২ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬ আসনে ৭১ জন, ঝিনাইদহের চার আসনে ৩৯ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিন আসনে ২৫ জন, পিরোজপুরের ৩ আসনে ৩০ জন, মেহেরপুরের ২ আসনে ২৯ জন, নেত্রকোনার ৫ আসনে ৪৩ জন, রাজবাড়ীর দুটি আসনে ১৮ জন, জয়পুরের ২ আসনে ১৫ জন, ময়মনসিংহের ১১ আসনে বিভিন্ন দলের ৯১ জন, যশোরের ৬ আসনে ৪৭ জন, রাঙ্গামাটির আসনে ১২ জন, ফেনীর তিন আসনে ১৯ জন, বরিশালের ৬ আসনে বিভিন্ন দলের ১১ প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এসব প্রার্থীর মধ্যে বরিশাল ২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে শাহে আলম তালুকদার তার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এছাড়াও পঞ্চগড়ের দুটি আসনে ১৮ প্রার্থী, খাগড়াছড়ির আসনে ১১ প্রার্থী, ঝালকঠির ২ আসনে ১৯ জন, বান্দরবানের আসনে ৯ জন, বগুড়ার ৭ আসনে ৮৫ জন, ভোলার চার আসনে ২৩ প্রার্থী, মাতক্ষীরার ৪ আসনে ৩৯ জন, পটুয়াখালীতে ৪৬ জন, মাগুড়ার দুটি আসনে ১৪ জন, নওগাঁর ৮ আসনে ৪৩ জন, নাটোরের ৪ আসনে ৩৫ জন, মানিকগঞ্জের ৩ আসনে ২৫ জন, চুয়াডাঙ্গার দুটি আসনে ১৯ জন শেষদিনে তাদের তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
×