ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

উন্নয়ন হচ্ছে না দ্বিতীয় মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের

প্রকাশিত: ০৪:২৭, ২৯ নভেম্বর ২০১৮

উন্নয়ন হচ্ছে না দ্বিতীয় মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ প্রতি বছরই দেশের দ্বিতীয় মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বরগুনার পাথরঘাটায় বাড়ছে মাছ বিক্রি ও মৎস্যজীবীর সংখ্যা। সে সঙ্গে বাড়ছে সরকারী রাজস্ব আদায়ের পরিমাণও। কিন্তু উন্নয়ন হচ্ছে না মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটির। যার ফলে ভোগান্তি হচ্ছে পাইকার আড়ৎদার ও শ্রমিকদের। মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন বলছে, ধাপে ধাপে পূরণ করা হবে মৎস্যজীবীদের চাহিদা। সমুদ্রের খুব কাছে অবস্থান বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটির। তাই গভীর সমুদ্রে ধরা মাছ খুব সহজে বিক্রি করতে পারায় প্রতিনিয়তই মাছ ভর্তি ট্রলার নিয়ে এখানে ভিড় করেন জেলেরা। মাছ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাইকারি এ বাজারে বেড়েছে আড়ৎদারের সংখ্যাও। শুরু থেকে মাত্র ৩৫০ টাকা ফি দিয়ে ২৭ আড়ৎদার অবতরণ কেন্দ্র ভবনে আড়ৎদারির সুযোগ পাচ্ছেন। আর বাকি ৫১ আড়ৎদার বাজারের আশপাশে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে ভাড়া থাকছেন। এদিকে টলঘরে ঠাসাঠাসি করে আড়ৎদাররা মাছ বিক্রি করলেও কেনা মাছ দেশের বিভিন্নস্থানে পাঠাতে প্যাকেট করার জায়গা নেই পাইকারদের। ২শ’র ওপর পাইকার থাকলেও সম্প্রতি একটি টলঘরে জায়গা হয়েছে মাত্র ৩ পাইকারের। বাকিরা গাছের নিচে বা রাস্তার পাশে মাছ প্যাকেটিং করেন। তবে, আস্তে আস্তে মৎস্যজীবীদের জন্য বাড়ানো হবে সুযোগ-সুবিধা, জানিয়েছেন বরগুনা পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এম নুরুল আমিন। ১৯৮১ সালে দক্ষিণাঞ্চলের মৎস্যজীবীদের জন্য চালু করা হয় এ অবতরণ কেন্দ্রটি। শুরু থেকে এখানে বিক্রীত মাছের মূল্য থেকে ১টাকা ২৫ পয়সা হারে রাজস্ব আদায় করে সরকার। বছর শেষে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ শুরুর দিকে লাখ লাখ টাকা থাকলেও বর্তমানে তা কোটি কোটিতে এসে দাঁড়িয়েছে। বছর প্রতি রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ বাড়লেও রাজস্বের বিপরীতে মৎস্যজীবীদের যে সকল সুযোগ া পাওয়ার কথা তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অধিকাংশ মৎস্যজীবী।
×