ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রথম একসঙ্গে সুবর্ণা-মৌ

প্রকাশিত: ০৩:৫৮, ২৯ নভেম্বর ২০১৮

প্রথম একসঙ্গে সুবর্ণা-মৌ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের প্রখ্যাত অভিনয়শিল্পী সুবর্ণা মুস্তাফা। বিশেষ করে বাংলাদেশের নাট্যজগতে অন্যতম স্থান অধিকার করে আছেন তিনি। আশির দশকে তিনি ছিলেন দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় টিভি অভিনেত্রী। বিশেষ করে আফজাল হোসেন এবং হুমায়ুন ফরিদীর সঙ্গে তার জুটি ব্যাপক দর্শক সমাদর লাভ করে। প্রচুর মঞ্চ নাটক এবং চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন তিনি। এ প্রজন্মের অভিনয়শিল্পীরা আদর্শ হিসেবেই সামনে রাখেন তাকে। অন্যদিকে বাংলাদেশের অন্যতম একজন মডেল সাদিয়া ইসলাম মৌ। একজন সফল নৃত্যশিল্পীও। ‘চিত্রাঙ্গদা’, ‘শ্যামা’, ‘মায়ার খেলা’, ‘চ ালিকা’, ‘নকশীকাঁথার মাঠ’ প্রভৃতি নাটকে অভিনয় করে দেখিয়েছেন অভিনয়ের কারিশমা। মজার বিষয় হচ্ছে এ দুই তারকা একে অপরের ভক্ত। এক অনুষ্ঠানে দেখা হয়েছে অনেক। আড্ডাও হয়েছে। শুধু হয়নি একসঙ্গে কাজ করা। এবার সেটাও হলো। ফ্যাশন হাউস বিশ্বরঙের কর্ণধার বিপ্লব সাহার উদ্যোগে বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশ্বরঙের ফটোশূটে অংশ নিলেন তারা। কাজের মাধ্যমে প্রথমবার একফ্রেমে বন্দী হলেন দেশী শোবিজের এ দুই আইকন। প্রথমবার একসঙ্গে কাজের অনুভূতি জানিয়ে সুবর্ণা মুস্তাফা বলেন, আমি মৌ’য়ের একজন ভক্ত। ওর মডেলিং, নৃত্য ও সৌন্দর্য সবই আমাকে মুগ্ধ করে। অবাক হলাম ওর সঙ্গে আমার কোন কাজ হয়নি! বিশ্বরঙের কল্যাণে প্রথমবার কাজ হলো আমাদের। পোশাকের ফটোশূট হলেও এখানে আমাদের দেশের পতাকাকে প্রেজেন্ট করা হয়েছে। কনসেপ্টটা দারুণ ছিল। সময়টাও দারুণ কেটেছে। দীর্ঘ সময় আমরা প্রাণবন্ত আড্ডা দিয়েছি। বিপ্লব সাহাকে ধন্যবাদ এমন একটি কাজের জন্য। মৌ’য়ের পছন্দের তালিকায়ও শীর্ষে রয়েছেন সুবর্ণা মুস্তাফা। পছন্দের মানুষের সঙ্গে প্রথম কাজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে মৌ বলেন, সুবর্ণা আপা আমাদের লিজেন্ড অভিনেত্রী। আমার পছন্দের মানুষ। প্রথমে বিপ্লব সাহা যখন তার সঙ্গে কাজের অফার দেয়। আমার অন্যরকম ভাল লাগা কাজ করেছিল। শটে যাওয়ার আগে বলেছিলাম আমরা কাজ করব না গল্প করব। যদি ভাল লাগে তাহলে কাজে সময় দেব। বিপ্লব দাদা রাজি ছিল তাতেই। কারণ আমি সুবর্ণা আপার সঙ্গে দীর্ঘ সময় আড্ডা দেয়াটা হাতছাড়া করতে চাইনি। সবশেষে আড্ডাও হয়েছে কাজও হয়েছে। এটা আমার জন্য স্মরণীয় মুহূর্ত হয়ে থাকবে। এ দুই তারকা এক করা প্রসঙ্গে বিপ্লব সাহা বলেন, দুইজনই আমাদের মিডিয়ার উজ্জ্বল নক্ষত্র। তাদের একসঙ্গে করে বিশ্বরঙে কাজ করেছে এটা আমারও গর্ব। আমিতো দেশের অনেক মডেল নিয়েই কাজ করি। তবে তাদের মতো বড় মাপের মডেল নিয়ে কাজ করতে নানা অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হই। কজের প্রতি তাদের ডেডিগেশন দেখে মুগ্ধ না হয়ে পারি না। এতো বড় মাপের আর্টিস্ট হয়েও সেটে আমাদের আগে পৌঁছে যান তারা। কত কেয়ার্ফুল হয়ে কাজ করেন। দুইজনের কাছেই আমি কৃতজ্ঞ।
×