ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

যুক্তরাষ্ট্রকে চীন

উইঘুর নিয়ে নিষেধাজ্ঞার পাল্টা ব্যবস্থা নেব

প্রকাশিত: ০৩:৪৯, ২৯ নভেম্বর ২০১৮

উইঘুর নিয়ে নিষেধাজ্ঞার পাল্টা ব্যবস্থা নেব

চীন যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছে, উইঘুর ইস্যুতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে তারাও অনুরূপ পাল্টা ব্যবস্থা নেবে। চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে সেখানকার কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি বিবেচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। ইয়াহু নিউজ। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত সুই তিয়ানকাই মঙ্গলবার এক সাক্ষাতকারে বলেন, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে চীনের লড়াইকে যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে দেখছে তাকে দ্বৈত নীতি বলা যায়। তিনি উইঘুরদের বিষয়ে চীনের পদক্ষেপকে সিরিয়া ও ইরাকে মার্কিন বাহিনীর কর্মকা-ের সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি প্রশ্ন রাখেন জঙ্গী গ্রুপ আইসিসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য মার্কিন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে তা কেমন হবে, যুক্তরাষ্ট্র এখন কাজটি আমাদের সঙ্গে করতে যাচ্ছে। সুই বলেন, ‘এ রকম কিছু করা হলে আমরা অবশ্যই পাল্টা পদক্ষেপ নেব।’ চীন কী ধরনের ব্যবস্থা নিতে পারে সেটি অবশ্য সুই বিস্তারিত জানাননি। এদিকে বেজিং যেভাবে উইঘুরের লাখ লাখ জনগোষ্ঠীকে বন্দী করে রেখে পুনর্শিক্ষণের নামে তাদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে তার বিরুদ্ধে মানবাধিকার কর্মী থেকে শিক্ষাবিদ, বিদেশী সরকার ও জাতিসংঘ অধিকার বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। উইঘুর মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর মুসলিমদের কঠোর নজরদারির আওতায় রেখেছে। আগস্টে জাতিসংঘ মানবাধিকার প্যানেল জানিয়েছিল তারা বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানতে পেরেছে যে, লাখ লাখ উইঘুর মুসলিমকে গোপন স্থানে বন্দী করে রাখা হয়েছে। মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, সংখ্যালঘু মুসলিম জনগোষ্ঠীর সঙ্গে নির্যাতনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চীনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বিবেচনা করছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। যেসব চীনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে তাদের মধ্যে জিনজিয়াং পার্টি সেক্রেটারি চেন কোয়ানগুও রয়েছেন। তিনি দেশটির ক্ষমতাসীন দলের পলিটব্যুরোর সদস্য। সুই বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রের মতো ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে মানুষ হত্যা করি না, আমরা তাদের পুনর্শিক্ষণ দিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি।’ তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যে পদক্ষেপই নিক আমরা সেটি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। অনুরূপ পদক্ষেপ আমরাও নেব। মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে পদক্ষেপ গ্রহণ ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য বিরল একটি দৃষ্টান্ত হবে। চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে বাণিজ্য লড়াইয়ে লিপ্ত। অন্যদিকে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে পরমাণু ইস্যুতে সৃষ্ট অচলাবস্থা কাটাতে বেজিংয়ের সহযোগিতা ওয়াশিংটনের প্রয়োজন।
×