ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মেয়াদ-পেরুনো ওষুধ!

প্রকাশিত: ০৩:৪৮, ২৯ নভেম্বর ২০১৮

মেয়াদ-পেরুনো ওষুধ!

ভেজাল এবং নকল করা আমাদের দেশে একটি বড় সমস্যা। খাদ্যে, বিশষ করে ওষুধে ভেজাল দেয়া, নকল ওষুধ তৈরি করা একটি মারাত্মক অপরাধ। একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী এই মারাত্মক অপরাধের সঙ্গে জড়িত। নকল ওষুধ, ভেজাল ওষুধ সেবন করে মানুষ সুস্থ হওয়ার পরিবর্তে নতুন করে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ে এবং অনেক সময় মৃত্যুবরণ করে। রাজধানী ঢাকা শহরে বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে ছাপিয়ে গড়ে উঠেছে নকল ওষুধের কারখানা। ভেজালবিরোধী অভিযানে মাঝে মাঝে এসব কারখানা ধরা পড়ে। ধরা পড়লে কারখানা সিলগালা করে দেয়া হয় এবং কারখানা মালিকের জেল-জরিমানা হয়। কিন্তু তার পরেও ভেজাল ওষুধ বিক্রি বন্ধ করা যায়নি। নকল ওষুধ সব দোকানে বিক্রি করে না। ওষুধ কেনার ব্যাপারে সাধারণ মানুষ বিপদে পড়ে বেশি। তারা না বুঝেই সে সব দোকান থেকে ওষুুধ কেনে, যারা নকল ওষুধ বিক্রি করে। লোভ মানুষকে কত নিচে নামিয়েছে যে তারা অর্থের জন্য নকল ওষুধ বিক্রি করে মানুষের জীবন নিয়ে খেলা করে। বর্তমানে বেশিরভাগ ওষুধের দাম কম-বেশি বেড়ে গেছে। কিছু ওষুধ যেমন, ইনসুলিনের দাম বেড়েছে অনেক বেশি। সমগ্র পৃথিবীতে এখন ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা অনেক। বাংলাদেশে ৯০ লাখ লোক ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। সংখ্যার দিক দিয়ে পৃথিবীতে বাংলাদেশ দশম স্থান। একজন সাধারণ ডায়াবেটিস রোগী যখন এই ব্যয়বহুল ওষুধটি ক্রয় করে জানতে পারে যে ওষুধটি ভেজাল, তখন তার দুর্দশার সীমা থাকে না। আজকাল বাজারে নকল ও ভেজাল ট্যাবলেট এবং এ্যান্টিবায়োটিকও প্রচুর বিক্রি হচ্ছে। শুধু যে নকল ও ভেজাল ওষুধ মানুষকে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলেছে তাই নয়, এই সঙ্গে আরও কিছু কারণও দায়ী। যেমন, ওষুধের ক্রমবর্ধমান মূল্য বৃদ্ধি, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ, ওষুধ সেবনে অসুখ বেড়ে গিয়ে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে যায়। এ ছাড়া ভুল চিকিৎসাতেও অনেক লোকের মৃত্যু ঘটে। অন্যদিকে বেশ কিছু লাইসেন্সবিহীন অবৈধ ক্লিনিক গড়ে উঠেছে। এসব ক্লিনিক কম অর্থে চিকিৎসা করানোর কথা বলে সাধারণ মানুষকে প্রলুব্ধ করে, তাদের সেখানে ভর্তি করিয়ে দ্বিগুণ অর্থ আদায় করে রোগীকে সর্বস্বান্ত করে ছেড়ে দেয়। এ ছাড়া কিছু চিকিৎসক তেমন প্রয়োজন না থাকলেও রোগীকে এক গাদা টেস্ট করতে বলেন এবং টেস্টগুলো তাদের নির্দিষ্ট ল্যাবে করতে বাধ্য করেন। উল্লেখ্য, প্রায় সব চিকিৎসক এমনভাবে প্রেসক্রিপশন লেখেন যা পাঠ করতে অনেক সময় ওষুধ বিক্রেতাও পারেন না। এতেও অনেক সময় চিকিৎসায় বিভ্রাট ঘটে। স্পষ্ট হস্তাক্ষরে প্রেসক্রিপশন লেখার সরকারী নির্দেশনা থাকলেও অনেক চিকিৎসক তা মানেন না। মিরপুর, ঢাকা থেকে
×