স্টাফ রিপোর্টার ॥ আজ বুধবার গুলশান থানায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোস্তাক আহমেদ জানান, রাজধানীর গুলশানে পাকিস্তান হাইকমিশনের এসি, কম্পিউটারের সিপিইউ ও ইউপিএস চুরির ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার এবং খোয়া যাওয়া এসি বাদে সব মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন সজল ওরফে কালু (২২), মোস্তফা (৩৫), দুলাল মিয়া (৩৪), জাহাঙ্গীর আলম (৪৫), নিমাই বাবু (৪২) ও সেকুল ইসলাম (৩৫)।
ডিসি মোস্তাক বলেন, গুলশান এলাকায় বোতল কুড়ান কালু (২২)। ওই এলাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের পেছনের দেয়াল ঘেঁষা এলাকায় নিয়মিত যাতায়াত ছিল তার। সেই সুবাদে হাইকমিশনের পেছনে যাওয়ার পর দেখতে পান দেয়ালের কিছু অংশ ভাঙা। ওই অংশ দিয়ে ভেতরে একটি এসি দেখতে পান তিনি। এ কারণে কুবুদ্ধি চাপে তার মাথায়, কয়েক জনের সঙ্গে সেই এসি চুরির বুদ্ধি আঁটেন। এরপর পরিকল্পনা অনুসারে কালু ও তার সহযোগিরা সেই এসি সরাতেই দেখেন ফাঁকা অংশ দিয়ে হাইকমিশনের ভেতরে যাওয়া যায়। তখন ভবনের ভেতরে ঢুকে ৩টি সিপিইউ ও ৪টি ইউপিএস চুরি করেন তারা।
এ ঘটনায় ২৫ নবেম্বর গুলশান থানায় অভিযোগ করে পাকিস্তান হাইকমিশন কর্তৃপক্ষ। এর ভিত্তিতে বিষয়টি তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চুরির মূল হোতা কালুসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি বলেন, পুরো এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে আমরা একজনের চেহারা শনাক্ত করতে পারি। তারপর সেই ছবিটি এলাকার সুইপারদের দেখালে তারা একে কালু বলে চিহ্নিত করেন। তখন কালুর বাসায় গিয়ে তাকে গ্রেফতার করলে পুরো ঘটনা বেরিয়ে আসে।
হাইকমিশনের নিরাপত্তার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ ঘটনার পর হাইকমিশনকে দেয়াল ঠিক করতে এবং সিসিটিভি বাড়িয়ে নিরাপত্তা আরও জোরদার করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।