ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মিরপুর টেস্টে শেষ পর্যন্ত খেলছেন না তামিম ইকবাল

প্রকাশিত: ০৪:২০, ২৮ নভেম্বর ২০১৮

মিরপুর টেস্টে শেষ পর্যন্ত খেলছেন না তামিম ইকবাল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ ওপেনার তামিম ইকবালের জন্য অপেক্ষা ছিল। যদি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট খেলার মতো ফিট হয়ে ওঠেন। কিন্তু তিনি শেষ পর্যন্ত পারেননি। আর তাই মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ৩০ নবেম্বর শুরু হতে যাওয়া টেস্টে তামিম নেই। টেস্টটিতে নেই আরেক ওপেনার ইমরুল কায়েসও। তাকে ছাড়াই দ্বিতীয় টেস্টের জন্য মঙ্গলবার দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ৬৪ রানে জিতে বাংলাদেশ। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়েও গেছে। মিরপুর টেস্টে জিতলেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করবে বাংলাদেশ। ম্যাচটি হারলে হবে সিরিজ ১-১ ড্র। আর টেস্টটি ড্র করলে ১-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতবে বাংলাদেশ। ২০০৯ সালের পর আবারও সিরিজ জয় ও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করার হাতছানি দিচ্ছে। এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররাও। নির্বাচকরা নতুন কাউকে এ টেস্টের জন্য বিবেচনা করেননি। এক ইমরুল ছাড়া প্রথম টেস্টের সবাই আছেন দ্বিতীয় টেস্টে। প্রথম টেস্টের ১৪ সদস্যের দল থেকে একজন বাদ পড়ায় ১৩ সদস্যের দল হয়ে গেল। ইমরুলকে বিশ্রামে রাখা হয়েছে। ইমরুল এমনিতেও ব্যর্থ হয়েছেন। গত বছর শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ১১ টেস্টের ২২ ইনিংসে তার ব্যাট থেকে নেই কোন হাফ সেঞ্চুরির মতো ইনিংস। প্রথম টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৪৪ রান করলেও পরের ইনিংসে রানের খাতা খোলার আগেই আউট হয়ে গেছেন। তবে ইমরুল ইনজুরিতেও আছেন। প্রথম টেস্টে কাঁধে ও গোড়ালিতে চোট পেয়েছেন। তাকে দলের বাইরেই রাখা হয়েছে। সাকিব অধিনায়ক। তিনি টেস্টে থাকবেন এটাই স্বাভাবিক। মুশফিকুর রহীম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মুমিনুল হক, মেহেদী হাসান মিরাজ, মুস্তাফিজুর রহমান, তাইজুল ইসলাম স্বাভাবিকভাবেই বিবেচনায় থাকেন। প্রথম টেস্টে অভিষেকেই অসাধারণ বোলিং নৈপুণ্য দেখানো স্পিনার নাঈম হাসানও যে দ্বিতীয় টেস্টে থাকছেন তা নিশ্চিতই ছিল। দলে উইকেটরক্ষক দুইজন। মুশফিক ও মোহাম্মদ মিঠুন। যদি কোন কারণে মুশফিক উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব পালন করতে না পারেন তখন মিঠুনকেই লাগবে। মিঠুনও দলে আছেন। জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৭ রান করা মিঠুন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে একটু ভিন্ন অভিজ্ঞতার স্বাদই পেয়েছেন। দুই ইনিংসে ৩৭ রান (২০ ও ১৭ রান) করেছেন মিঠুন। এবার তার কাছ থেকে বড় ইনিংসই আশা করা হচ্ছে। প্রথম টেস্টে ব্যর্থ হওয়া, দুই ইনিংস মিলিয়ে ১১ রান (০ ও ১১ রান) করা সৌম্য সরকার টিকে গেছেন। ওপেনার সঙ্কটে তিনি ছাড়া আর কোন পথ নেই। ওপেনার সঙ্কটে প্রথম টেস্টের দলে শেষ মুহূর্তে যোগ হওয়া সাদমান ইসলামও দ্বিতীয় টেস্টের দলে আছেন। যেহেতু সৌম্য ও সাদমান ছাড়া আর কোন স্পেশালিস্ট ওপেনার নেই, তাই ঘরোয়া লীগে দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখাতে থাকা সাদমানের টেস্টে অভিষেক হওয়া নিশ্চিতই বলা চলে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুইদিনের প্রস্তুতি ম্যাচে ৭৩ রানের ইনিংস খেলেন সাদমান। সর্বশেষ জাতীয় ক্রিকেট লীগে (এনসিএল) সর্বোচ্চ ৬৪.৮০ গড়ে ৬৪৮ রান করেন সাদমান। আবার টানা দুই ম্যাচে দুই সেঞ্চুরি ও দুই হাফ সেঞ্চুরিও রয়েছে সাদমানের। মিঠুনও ওপেনিংয়ে খেলেন। তবে সাদমানের মিরপুর টেস্টে অভিষেক হয়ে গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। চট্টগ্রাম টেস্টে পেসারদের আধিক্য ছিল না। তাই এক পেসার (মুস্তাফিজ) নিয়ে খেলে বাংলাদেশ। মিরপুর টেস্টেও স্পিনার বেশি নিয়েই খেলতে পারে সাকিববাহিনী। তাতে করে মুস্তাফিজ ও প্রথম টেস্টে একাদশে না থাকা সৈয়দ খালেদ আহমেদের মধ্যে একজনকেই দেখা যেতে পারে। আর আরিফুল হককে হয়তো আবারও একাদশের বাইরেই মিলতে পারে। টেস্ট শুরু হতে এখনও দুইদিন বাকি। শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টায় টেস্ট শুরু হওয়ার আধঘণ্টা আগেই একাদশ মিলে যাবে। তবে টেস্ট শুরুর তিনদিন আগে ইমরুলকে ছাড়া দল ঘোষণা হয়ে গেছে। তামিমকে নিয়ে আশা দেখা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ফিট হতে পারেননি তামিম। তাই দলে নেই এ দেশসেরা ওপেনার। দল ॥ সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ মিঠুন, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহীম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, মুস্তাফিজুর রহমান, তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান, আরিফুল হক, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, সাদমান ইসলাম।
×