ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পরীক্ষা শুরু ১৭ ডিসেম্বর

সরকারী হাইস্কুলে ভর্তির নীতিমালা জারি, ঢাকায় এলাকা কোটা ৪০ ভাগ

প্রকাশিত: ০৪:২২, ২৭ নভেম্বর ২০১৮

সরকারী হাইস্কুলে ভর্তির নীতিমালা জারি, ঢাকায় এলাকা কোটা ৪০ ভাগ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সারাদেশে সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে আগামী শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালা জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ঢাকা মহানগরীর স্কুলে পার্শ্ববর্তী শিক্ষার্থীদের জন্য ৪০ শতাংশ এলাকা কোটা সংরক্ষণ করার বিধান রেখে জারি করা হয়েছে এ নীতিমালা। সারাদেশে একযোগে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ১৭ ডিসেম্বর। শেষ হবে ২০ ডিসেম্বর। এর আগে ১ ডিসেম্বর থেকে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করা যাবে। এদিকে রাজধানীর স্কুলগুলোতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১৭, ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর। প্রথম শ্রেণীর লটারি ২০ ডিসেম্বর। সোমবার ভর্তি নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ভোটের আগের দিন বিকেল থেকে ভোট কেন্দ্রে অবস্থান করবেন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা। এ ছাড়া ৭ থেকে ১৫ ডিসেম্বর এবং ১৮ থেকে ২৩ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ নেয়া হবে। প্রশিক্ষণের জন্যও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করা হবে। নির্বাচন কমিশনের এ সিডিউল সামনে রেখেই এখন ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার সূচী নির্ধারণ করা হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান বলেন, চিঠির বাইরে ইসির সঙ্গে আমাদের মৌখিক আলাপ হয়েছে। ১৮-২৩ ডিসেম্বর প্রশিক্ষণের কথা থাকলেও মূলত শুক্র ও শনিবার প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। তাই ১৭-২০ ডিসেম্বর পরীক্ষা নিতে ও লটারি করতে কোন সমস্যা হবে না বলেই মনে হচ্ছে। নির্বাচনের কারণে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ নিয়ে অনিশ্চয়তায় ছিল। পরে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নীতিমালা অনুসারে ঢাকাসহ সারাদেশেই লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীর তালিকা করার পাশাপাশি শূন্য আসনের সমান সংখ্যক অপেক্ষমাণ তালিকাও প্রস্তুত রাখতে হবে। ভর্তি কমিটি নির্ধারিত তারিখে নির্বাচিত শিক্ষার্থী ভর্তি না হলে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে পর্যায়ক্রমে ভর্তি করা হবে। এবার ঢাকার ৪১ হাইস্কুলে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। হাইস্কুলগুলো তিন গ্রুপে ভাগ করে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা হবে। ৪১টি হাইস্কুলের মধ্যে ‘ক’ও ‘খ’ গ্রুপে ১৪টি করে এবং ‘গ’ গ্রুপে ১৩টি হাইস্কুল আছে। এর মধ্যে ৩৮টি হাইস্কুলে ১২ হাজার ৩৬৬টি আসন আছে। এর মধ্যে ১৭ হাইস্কুলে প্রথম শ্রেণী রয়েছে। প্রথম শ্রেণীতে শিক্ষার্থী নেয়া স্কুলগুলোর মধ্যে আছে- আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল এ্যান্ড কলেজ, ধানম-ি গভ. ল্যাবরেটরি উচ্চবিদ্যালয়, ধানম-ি গভ. বয়েজ উচ্চ বিদ্যালয়, ধানম-ি গভ. বয়েজ উচ্চ বিদ্যালয়ের ফিডার শাখা, তেজগাঁও বালক উচ্চবিদ্যালয়, তেজগাঁও বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, শেরেবাংলা নগর সরকারী বালক উচ্চবিদ্যালয়, শেরেবাংলা নগর সরকারী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, মতিঝিল বালক উচ্চবিদ্যালয়, খিলগাঁও সরকারী হাইস্কুল, খিলগাঁও সরকারী হাইস্কুলের ফিডার শাখা, নারিন্দা সরকারী উচ্চবিদ্যালয়, বাংলাবাজার সরকারী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, সরকারী বিজ্ঞান কলেজ সংযুক্ত উচ্চবিদ্যালয়, মোহাম্মদপুর সরকারী উচ্চবিদ্যালয় ও গণভবন সরকারী উচ্চবিদ্যালয়। ভর্তি নীতিমালা অনুসারে সকল মহানগরী, বিভাগীয় শহর ও জেলা সদরের গভ সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। উপজেলা সদরেও অনলাইন পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা বাধ্যতামূলক। তবে বিশেষ কোন কারণে অনলাইনে না করা গেলে কেবল উপজেলার ক্ষেত্রে ম্যানুয়ালি করা যাবে। দ্বিতীয়-অষ্টম শ্রেণীর শূন্য আসনে লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে মেধাক্রম অনুসারে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। নবম শ্রেণীর ক্ষেত্রে জেএসসি/জেডিসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট বোর্ডের প্রস্তুত করা মেধাক্রম অনুসারে নিজ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির পর অবশিষ্ট শূন্য আসনে অন্য বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য নির্ধারিত ভর্তি কমিটির বাছাই করতে হবে। ভর্তির ফরম বিদ্যালয়ের অফিসে এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর, ডিসি অফিস, বিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। দ্বিতীয়-তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত পূর্ণমান-৫০, এর মধ্যে বাংলা-১৫, ইংরেজী-১৫, গণিত-২০ নম্বর। ভর্তি পরীক্ষার সময় ১ ঘণ্টা। চতুর্থ-অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পূর্ণমান-১০০। এর মধ্যে বাংলা-৩০, ইংরেজী-৩০, গণিত-৪০ নম্বর থাকবে। ভর্তি পরীক্ষার সময় ২ ঘণ্টা। নীতিমালায় বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগরীর স্কুলে পার্শ্ববর্তী শিক্ষার্থীদের জন্য ৪০ শতাংশ এলাকা কোটা সংরক্ষণ করা হবে। প্রথম শ্রেণীতে ভর্তির জন্য আবশ্যিকভাবে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করতে হবে। কোটা সংরক্ষণ ॥ ঢাকা মহানগরীতে সরকারী বিদ্যালয় এলাকায় ওই এলাকার ৪০ শতাংশ কোটা রেখে অবশিষ্ট ৬০ শতাংশ আসন গভার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তির ক্ষেত্রে মোট আসনের ১০ শতাংশ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণী উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বা সন্তানদের ছেলে-মেয়ের জন্য ৫ শতাংশ, প্রতিবন্ধীদের জন্য ২ শতাংশ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তান এবং সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য আরও ২ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ থাকবে। শিক্ষার্থীদের সুবিধা/অসুবিধা বিবেচনা করে পরীক্ষা কমিটি বিদ্যালয়গুলোকে বিভিন্ন ক্লাস্টারে বিভক্ত করতে পারবে। শিক্ষার্থীরা আবেদন ফরমে পছন্দক্রম উল্লেখ করে দেবে। ভর্তির আবেদন ফরমের মূল্য ধরা হয়েছে ১৭০ টাকা। সেশন চার্জসহ ভর্তি ফি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত থেকে বেশি হবে না। মাউশি পরিচালক অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, আবেদন কার্যক্রম পরিচালিত হবে টেলিটকের মাধ্যমে। িি.িফংযব.মড়া.নফ এবং িি.ি ঃবষবঃধষশ.পড়স এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। প্রথম শ্রেণীর ভর্তিতে শিক্ষার্থীর বয়স জানুয়ারিতে ছয় বছরের বেশি হতে হবে।
×