ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মধুর ক্যান্টিন চলচ্চিত্রের যাত্রা শুরু

প্রকাশিত: ০০:৩৭, ২৬ নভেম্বর ২০১৮

মধুর ক্যান্টিন চলচ্চিত্রের যাত্রা শুরু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ‘আমার ধারণা, ‘মধুর ক্যান্টিন’ চলচ্চিত্র জাতির বিনির্মানে অসাধারণ ভূমিকা রাখবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ নতুন প্রজন্ম ছবিটি দেখার পর তাদের মধ্যেও ৫০ বছর আগে মুক্তিযুদ্ধের সময় এ বিশ্বদিব্যালয়ের অবদানকে গভীরভারে অনুধাবন করতে পারবে। সাথে সাথে আগামী দিনে কিভাবে অবদান রাখবে সে বিষয়ের ধারণা লাভ করবে’ ‘মুধুর ক্যান্টিন’ চলচ্চিত্রের শুভ মহরত ঘোষনার সময় এ কথা বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আখতারুজ্জামান। পরিচালক সাঈদুর রহমান সাঈদ পরিচালিত ‘মধুর ক্যান্টিন’ চলচ্চিত্রের মহরত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন চত্ত্বরে রবিবার বিকেলে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আখতারুজ্জামান, এ চলচ্চিত্রের অভিনয় শিল্পী ওমর সানী, মৌসুমী, পরিচালক সাঈদুর রহমান সাঈদ, ছাত্রনেতা রেজোয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, প্রযোজক কাজী জোছনা, মধুদার ছেলে অরুন কুমার দে প্রমুখ। ‘মধুর ক্যান্টিন’ সিনেমায় মধু দা’র চরিত্রে অভিনয় করছেন চিত্রনায়ক ওমর সানী। এতে সাংবাদিক মৃদুলা চরিত্রে অভিনয় করছেন প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী। সিনেমার গল্পে মধু দা ও মৃদুলা’র অর্থাৎ ওমরসানী মৌসুমীর একে অন্যের সঙ্গে দেখা হবেনা। চলচ্চিত্রটির প্রেক্ষাপট সম্পর্কে নির্মাতা সাঈদুর রহমান সাঈদ বলেন, ‘মধুর ক্যান্টিন’ বিনির্মানের নিচে এক পটভূমি আছে। উনিশশ ষেষট্টি থেকে একাত্তরের ২৬ মার্চ পর্যন্ত আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান জহরুল হক হলে আবাশিক ছাত্র ছিলাম। তখন মধু দার সঙ্গে আমার খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল, যেহেতু আমিও ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম। উনি আমার পিতৃতুল্য ছিলেন। আমার সেই কর্তব্য থেকে আমি ছবিটি নির্মান করার চিন্তা ভাবনা নিয়েছি। মহরত অনুষ্ঠানে ওমরসানী বলেন, মধু দা’র চরিত্রে অভিনয়ের জন্য বিগত বেশ ক’দিন আমি অনেক স্টাডি করেছি। মধু দা’র পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কয়েক দফা বসেছি। মধু দা কেমন ছিলেন, কীভাবে কথা বলতেন এমন কী তার চাল চলন কেমন ছিলো তা রপ্ত করার চেষ্টা করেছি। সাঈদ ভাই শূণ্য হাতে মধুর ক্যান্টিন শুরু করেছেন। তার হাতকে শক্তিশালী করতে ছাত্রদের প্রতি আমার বিশেষ আহ্বান রইলো। আমি খুউব ভালো একজন অভিনেতা নই। কিন্তু আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো মধু দা’র চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে। আর এই সিনেমা শেষ হলে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সিনেমাটি উপহার দেবো। প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী বলেন, কিছুদিন আগেই আমি একটি অনলাইন পোর্টালের সম্পাদক হিসেব কাজ শুরু করেছি। আর ঠিক এমন মুহুর্তেই আমাকে মধুর ক্যান্টিন সিনেমায় একজন সাংবাদিকের ভূমিকায় কাজ করতে হচ্ছে। জীবনের সঙ্গে সিনেমার গল্পের এই যে যোগসূত্র তৈরী হওয়া এটা সত্যিই আমার কাছে একটু অন্যরকম লাগছে।
×