এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে নাগরিক অধিকারের জন্য সবচেয়ে বেশি সুখ্যাতি থাকা সত্ত্বেও তাইওয়ানের জনগণ সমলিঙ্গের বিয়ের বৈধতায় আপত্তি জানিয়েছে। শনিবার এ সংক্রান্ত গণভোটে তাইওয়ানের সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগরিক সমলিঙ্গের বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। খবর বিবিসি।
২০১৭ সালের মার্চে তাইওয়ানের সর্বোচ্চ আদালত দেশটিতে সমলিঙ্গের বিয়ের পক্ষে রায় দিয়েছিল।
এ সংক্রান্ত আইন প্রণয়ন ও পুরনো আইনগুলোর সংশোধনে সরকারকে দুই বছরের সময়ও বেঁধে দিয়েছিল তারা।
গণভোটের ফল ওই রায়ের ওপর কী প্রভাব ফেলবে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। শনিবার দেশটিতে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি) ভরাডুবিরও খবর পাওয়া গেছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে যে ১৩টি শহর ও কাউন্টিতে দলটি বিজয়ী হয়েছিল, এবার তার অর্ধেকেরও বেশি এলাকায় তাদের প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছেন।
ফল মেনে নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ পদ ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন। ২০১৬ সালে সাই ক্ষমতায় বসার পর থেকেই চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের টানাপোড়েন বাড়তে থাকে। ডিপিপির নেত্রী ১৯৯২ সালে দুই পক্ষের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তিকে স্বীকৃতি দিতে রাজি না হওয়ায় বেজিং তার সঙ্গে কোন ধরনের আলোচনায় অস্বীকৃতি জানায়। ওই চুক্তিতে দুটি ভূখন্ডই ‘এক চীনের’ অন্তর্ভুক্ত বলে স্বীকার করে নেয়া হয়েছিল।