ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মধ্য আমেরিকান শরণার্থী সঙ্কট

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তির কথা অস্বীকার মেক্সিকোর

প্রকাশিত: ০৬:৩২, ২৬ নভেম্বর ২০১৮

 যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তির কথা  অস্বীকার মেক্সিকোর

মেক্সিকো শরণার্থী নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোন চুক্তি করার কথা অস্বীকার করেছে। শরণার্থীদের থাকতে দেয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে, ওয়াশিংটন পোস্টে এ খবর ছাপা হওয়ার পর মেক্সিকোর পরবর্তী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তা অস্বীকার করেছেন। গার্ডিয়ান। মেক্সিকোর পরবর্তী সরকার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সঙ্গে শরণার্থী ইস্যুতে ‘রিমেইন ইন মেক্সিকো’ পরিকল্পনার কথা অস্বীকার করছে। পরিকল্পনাটিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের আইনী প্রক্রিয়া চলা পর্যন্ত সময়ে মেক্সিকো তাদের সাময়িকভাবে আশ্রয় দেবে। মেক্সিকোর পরবর্তী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ওলগা সানচেজ কর্ডেরোর দফতর শনিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘মেক্সিকোর পরবর্তী ফেডারেল সরকার এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কোন চুক্তি সম্পাদিত হয়নি। মধ্য আমেরিকান শরণার্থীদের জন্য মেক্সিকো তৃতীয় কোন নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে গড়ে উঠুক।’ শনিবার ওয়াশিংটন পোস্ট খবর দিয়েছিল যে, ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদরের নেতৃত্বাধীন মেক্সিকোর পরবর্তী সরকার ওয়াশিংটন ‘রিমেইন ইন মেক্সিকো’ নামে একটি প্রকল্পে রাজি হয়েছে যার মাধ্যমে শরণার্থীরা মেক্সিকোতে অস্থায়ী আশ্রয় পেতে পারবে। পরবর্তী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ওলগা সানচেজ কর্ডেরোর বরাত দিয়েই ওয়াশিংটন পোস্ট খবরটি প্রকাশ করে। প্রকল্পটি ট্রাম্পের ডিক্রী বলে জারি করা ‘ক্যাচ এ্যান্ড রিলিজ’ কর্মসূচীর সমাপ্তি ঘটাবে। কর্মসূচী অনুযায়ী রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের আইনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাদের আটক করে রাখা হতো। প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর তারা বন্দী অবস্থা থেকে মুক্তি পেত। উল্লেখ্য, ওব্রাদর ১ ডিসেম্বর এনরিক পেনা নিয়েতোর কাছ থেকে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। ওব্রাদর প্রশাসনে স্বরাষ্ট্র উপমন্ত্রী হবেন জো রোবেলদো। তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি নিরাপত্তা জনিত কারণ বা সহিংসতা থেকে রক্ষা পেতে যারা নিজেদের দেশ ছেড়েছেন তারা চাইলে মেক্সিকোতে থাকতে পারবেন।’ ‘রিমেইন ইন মেক্সিকো’ পরিকল্পনাটি মধ্য আমেরিকার দেশগুলো থেকে সহিংসতা ও দারিদ্র থেকে বাঁচতে আসা মানুষদের যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় নেয়ার সুযোগ বাধাগ্রস্ত করবে। আশ্রয়প্রার্থীরা সাধারণত মেক্সিকোকে ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। মেক্সিকোর সীমান্ত শহর তিজুয়ানায় এখন মধ্য আমেরিকা থেকে আসা ৪ হাজারেরর বেশি শরণার্থী অবস্থান করছে। সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ করায় বিভিন্ন পয়েন্টে প্রতিদিন সব মিলিয়ে ৫০ জন বা তার চেয়ে কম শরণার্থী যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকার অনুমতি পাচ্ছে। তিজুয়ানার মেয়র হুয়ান ম্যানুয়েল গাস্তেলুম বর্তমান পরিস্থিতিকে মানবিক বিপর্যয় বলে ঘোষণা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, শরণার্থীদের জন্য যে সহায়তা পাওয়া যাচ্ছে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম।
×