ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কর্তারপুর যাচ্ছেন না সুষমা স্বরাজ

প্রকাশিত: ০৬:৩১, ২৬ নভেম্বর ২০১৮

 কর্তারপুর যাচ্ছেন না  সুষমা স্বরাজ

পাক-ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের সীমান্তে অবস্থিত কর্তারপুর করিডর পাকিস্তান ভারতের শিখ ধর্মাবলম্বীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাকে দু’দেশের মানুষের সম্পর্কের সেতু বলে অভিহিত করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেটি সবার জন্য খুলে দেয়ার অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন না পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দ সিং। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ও ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মোহাম্মদ কোরেশির আমন্ত্রণের জবাবে তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি লিখেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। সুষমা জানান, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচীর জন্য তিনি সেখানে যেতে পারছেন না। তবে পাকিস্তানে যাচ্ছেন দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণমন্ত্রী হরষিমরাত কউর বাদল এবং আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি। এদিকে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র জানান, তিনি পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় মদদে সন্ত্রাসী হামলার সমর্থনের জন্য সেখানে যাচ্ছেন না। এছাড়া পাক সেনাবাহিনী অব্যাহতভাবে ভারতীয় সেনাদের ওপর হামলা চালিয়ে জানমালের যে ক্ষতি করছে তার প্রতিবাদে তিনি সেখানে যাবেন না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাকিস্তানের আমন্ত্রণে বহুদিন পর যে দুই মন্ত্রীকে পাঠানো হচ্ছে তা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। আগামী দিনে দু’দেশের সম্পর্কের উন্নতির ক্ষেত্রে এটি ইতিবাচক। পাঞ্জাবের গুরুদাসপুর জেলার ডেরা বাবা নানক থেকে পাক-পাঞ্জাবের কর্তারপুর সাহিব পর্যন্ত ওই করিডর চালু হবে আগামী বছর। বুধবার তার আইনী প্রক্রিয়া শুরুর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ওই অনুষ্ঠানে হাজির থাকার জন্য শনিবার বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ, ভারতের পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মোহাম্মদ কোরেশি। পরে এক টুইটে পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী কোরেশি জানান, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও ওই অনুষ্ঠানে হাজির থাকার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিং ও কংগ্রেস নেতা সাবেক ক্রিকেটার নভজ্যোত সিং সিধুকে। সিধু জানিয়েছেন, তিনি কর্তারপুরের ওই অনুষ্ঠানে যাবেন। কর্তারপুর সাহিব একটি ঐতিহাসিক স্থান। শিখদের উপাসনার জায়গা। জনশ্রুতি রয়েছে, জীবনের শেষ ১৮টি বছর গুরু নানক কাটিয়েছিলেন এই কর্তারপুরের দরবার সাহিবেই। দেশ ভাগের পর যা এখন পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের নারওয়াল জেলায়, রবি নদীর তীরে অবস্থিত। উপাসনার জন্য প্রতিবছর শিখ ধর্মাবলম্বীরা সীমান্ত পেরিয়ে যান পাক-পাঞ্জাবের কর্তারপুর সাহিবে। তাই পাক-ভারত সীমান্তের ওই এলাকায়, পাঞ্জাবের গুরুদাসপুর জেলার ডেরা বাবা নানক থেকে পাক-পাঞ্জাবের কর্তারপুরে দরবার সাহিব পর্যন্ত একটি করিডর বানানোর দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। যার দূরত্ব চার কিলোমিটার। ডেরা বাবা নানক থেকে পাক-ভারত সীমান্ত পর্যন্ত ওই করিডর বানানোর প্রস্তাবটি গত বৃহস্পতিবার অনুমোদিত হয় কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রিসভায়।
×