ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সমর্থন চাইলেন মে

প্রকাশিত: ০৬:৩১, ২৬ নভেম্বর ২০১৮

সমর্থন চাইলেন মে

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে তার ব্রেক্সিট পরিকল্পনায় সমর্থন দেয়ার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন চুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য তৈরি হওয়ার সময় জনগণের উদ্দেশে লেখা এক চিঠিতে মে বলেছেন, তার পরিকল্পনাটি যুক্তরাজ্যের জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যত নিশ্চিত করবে। তিনি আরও লিখেছেন, আগামী বছর ইইউ ত্যাগ যুক্তরাজ্যকে নতুন ও সম্ভাবনার পথে চলার সুযোগ এনে দেবে। চুক্তিটি রবিবার ব্রাসেলসে ইইউ নেতৃবৃন্দ অনুমোদন করেন। বিবিসি ও এএফপি। ব্রাসেলসে রবিবার ইইউ নেতৃবৃন্দ মের সঙ্গে একটি বিশেষ শীর্ষ বৈঠক করেন। ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রধান ডোনাল্ড টাস্ক ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদনের জন্য ইইউর প্রতি সুপারিশ করেন। রবিবার অনুষ্ঠিত শীর্ষ বৈঠকে ইইউ ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদিত হয়। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেড্রো সানচেজ জিব্রাল্টার নিয়ে যুক্তরাজ্য সরকারের নিশ্চয়তা পাওয়ার পর চুক্তির পথে অবশিষ্ট বাধা দূর হয়। ইইউ সম্মেলনের আগে লেখা ওই চিঠিতে মে উল্লেখ করেছেন, ‘চুক্তিটি আমাদের জাতীয় স্বার্থ রাক্ষা করবে এবং ব্রিটেনের সব অংশের জন্য কাজে লাগবে। ২০১৯ সালের ২৯ মার্চ ইইউ ত্যাগ আমাদের জাতীয় জীবনে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে। এই উদ্যোগ তখনই সফল হবে যখন ইইউর সঙ্গে থাকার পক্ষে ছিল কে বিপক্ষে ছিল সেই বিতর্ক দূরে সরিয়ে দিয়ে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হব। এ কারণেই আমরা এখন ব্রেক্সিটের দিকে যাচ্ছি। এ চুক্তি সমর্থন করার জন্য আমি সবার প্রতি আহ্বান জানাই।’ রবিবার চুক্তিটি অনুমোদিত হওয়ার পর মাসের পর মাস ধরে চলা ব্রেক্সিট নিয়ে দর কষাকষি শেষ হয়। এর আগে স্পেন শীর্ষ বৈঠক বয়কটের হুঁশিয়ারি দেয়। টাস্ক ইউরোপীয় কাউন্সিলের সদস্যদের কাছে একটি চিঠি দিয়ে রবিবারের সম্মেলনে ব্রেক্সিট চুক্তি সমর্থন করার জন্য আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘এই সঙ্কটজনক সময়ে, ইইউর ২৭টি দেশ ঐক্য ও সংহতির পরীক্ষায় পাস করেছে।’ কারণ জিব্রাল্টার নিয়ে কোন সমঝোতা না হলে রবিবারের শীর্ষ বৈঠক বয়কট করার হুমকি দিয়েছিলেন সানচেজ। কিন্তু যুক্তরাজ্য সরকারের নিশ্চয়তা পাওয়ার পর তিনি বৈঠকে যোগ দিতে রাজি হন। ২০১৬ সালের জুনে অনুষ্ঠিত গণভোটে ইইউ ছাড়ার পক্ষে ৫১ দশমিক নয় শতাংশ ভোট পড়ার পর যুক্তরাজ্য ইইউ ছাড়ার শর্তগুলো নিয়ে আলোচনা শুরু করে। তবে ইইউ যদি চুক্তিটি অনুমোদনও করে, তারপরও এটিকে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের অনুমোদন পেতে হবে। অনেক পার্লামেন্ট সদস্য খোলাখুলিভাবে চুক্তির বিরোধিতা করেছেন। সাবেক ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন চুক্তির সমালোচনা করে বলেছেন এটি ব্রিটেনকে ইইউয়ের ‘অধীন রাজ্যে’ পরিণত করবে। ইইউ ছাড়ার পর ইউকে - ইইউ সম্পর্ক বিশেষ করে বাণিজ্য ও নিরাপত্তার বিষয়টি কি রকম হবে সেটি নির্ধারণ করাই এ চুক্তির উদ্দেশ্য। ইইউ চুক্তিটি অনুমোদন করলে মে তখন নিজ দেশের এমপি ও নিজের দলকে বোঝানোর উদ্যোগ নিতে হবে। ইউরোপীয় কমিশন ও পার্লামেন্টকেও চুক্তিটি অনুমোদন করতে হবে। ৫৮৫ পৃষ্ঠার চুক্তির দুটি পৃথক অংশ রয়েছে। প্রথম অংশটি ইউনিয়ন থেকে প্রত্যাহার বা ডিভোর্স ডিল নামে পরিচিত। দ্বিতীয় অংশটি ডিভোর্স সেটেলমেন্ট।
×