ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দুই সচিবের গোপন বৈঠক- দুই মন্ত্রণালয়ের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা

প্রকাশিত: ০৫:১৩, ২৬ নভেম্বর ২০১৮

দুই সচিবের গোপন বৈঠক- দুই মন্ত্রণালয়ের প্রতিবাদ ও  ব্যাখ্যা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীদের বিজয়ী করতে দুই সচিবের গোপন বৈঠক সংক্রান্ত কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা দিয়েছে জনপ্রশাসন ও বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়। এ সংক্রান্ত পৃথক বিবৃতিতে বলা হয়, এ দুজন সচিবের কেউই ওইদিন অফিসার্স ক্লাবে যাননি। জনপ্রশাসন সচিব ফয়েজ আহমেদ অফিস শেষে পারিবারিক একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। আর বিমান সচিব মুহিবুল হক ওই সময়ে সোনারগাঁও হোটেলের একটি অনুষ্ঠানে ছিলেন। রবিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোঃ মমিনুল হক ও বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত পৃথক পৃথক প্রতিবাদপত্রে এ কথা জানানো হয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী শনিবার বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, ২০ নবেম্বর রাতে ঢাকা অফিসার্স ক্লাবের চারতলার পেছনের কনফারেন্স রুমে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে এক গোপন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রশাসন ও পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে জনপ্রশাসন সচিবও উপস্থিত ছিলেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিবাদপত্রে বলা হয়েছে, ২৪ ও ২৫ নবেম্বর প্রকাশিত বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ায় পুলিশ ও প্রশাসনের কিছু দায়িত্বশীল কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বক্তব্য দেন। কল্পিত ঘটনায় তিনি জনপ্রশাসন সচিব ফয়েজ আহমেদকেও জড়িয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা অসত্য ও বিভ্রান্তিকর। সংবাদে যে তারিখ ও সময়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেই তারিখ ও সময় জনপ্রশাসন সচিব মন্ত্রণালয়ের দাফতরিক কাজ শেষে রাত ৮টায় পারিবারিক একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে অফিস ত্যাগ করেন। ওই দিন তিনি অফিসার্স ক্লাবে যাননি অথচ তাকে জড়িয়ে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হয়েছে- যা তার সুনাম ও সম্মান হানিকর। প্রতিবাদপত্রে সচিব ফয়েজ আহমেদকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, অসত্য বক্তব্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করে প্রশাসনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অধিকার কারও নেই। এ ধরনের অসত্য বক্তব্য দেয়া থেকে বিরত থাকার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ জানান। অপর এক প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, উক্ত কল্পিত খবরে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মহিবুল হককে জড়িয়ে অসত্য ও বিভ্রান্তিকর খবর প্রকাশিত হয়েছে। আসলে ঢাকা অফিসার্স ক্লাব সরকারের বিভিন্ন পদে কর্মরত ও প্রাক্তন উর্ধতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি ক্লাব। অফিস সময়ের পরবর্তীতে অবসর সময়ে ক্লাবের সম্মানীত সদস্যরা এ ক্লাবে খেলাধুলা বিনোদনসহ অন্যান্য সামাজিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন। এ বিষয়টি প্রাত্যহিকভাবে ঘটে থাকে। তাই সন্ধ্যার পর ক্লাবে উপস্থিত থেকে বিনোদন ও সামাজিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের মতো অতি স্বাভাবিক একটি কার্যক্রমকে রাজনৈতিক রং লাগিয়ে প্রকাশ করা চরম বিভ্রান্তিকর এবং একজন ক্লাব সদস্যের জন্য অবমাননাকর। প্রকৃতপক্ষে সচিব মোঃ মহিবুল হক বর্ণিত দিন ২০ নবেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত হোটেল প্যান-প্যাসিফিক সোনারগাঁ-এ হোটেলস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড (হিল) এ নির্ধারিত বার্ষিক সাধারণ সভা ও পরিচালনা পর্ষদের সভায় উপস্থিত ছিলেন। এ ধরনের বিভ্রান্তিকর বক্তব্য প্রদান থেকে বিরত থাকার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ জানিয়েছেন।
×