ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শেষ হলো শচীন দেববর্মণের সুরের সৌরভ

প্রকাশিত: ০৫:১১, ২৬ নভেম্বর ২০১৮

শেষ হলো শচীন দেববর্মণের সুরের সৌরভ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রঙ্গিলা রঙ্গিলা রঙ্গিলা রে/আমারে ছাড়িয়া বন্ধু কই গেলারে। সঙ্গীতাসর শুরুর আগে গোধূলিলগ্নে আকুল করা সুরটি ভেসে বেড়ায় উৎসব আঙ্গিনায়। অল্প কিছু নিমগ্ন শ্রোতা রেকর্ডিং করা গানের মাঝেই যেন খুঁজে পাচ্ছিলেন ভাললাগার অনুভব। সঙ্গীতানুষ্ঠানটি শুরু পর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে শ্রোতার সমাগম। শচীন দেববর্মণের গানে গানে স্নিগ্ধ রূপ পায় শাহবাগের সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান মিলনায়তন। এখানে শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া শচীন দেববর্মণ সঙ্গীত উৎসবের সমাপনী দিন ছিল রবিবার। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় পঞ্চমবারের মতো এ উৎসবের আয়োজন করেছে বহ্নিশিখা। বাকি দু’দিনের মতো তৃতীয় দিনেও অসংখ্য সুর রসিক শচীনের সুরের মোহে ছুটে এসেছেন উৎসব প্রাঙ্গণে। প্রাণ-মন ভরে শুনেছেন কিংবদন্তি শিল্পীর কালোত্তীর্ণ সব গান। নৃত্য-গীতের সম্মীলনে শুরু হয় সমাপনী আয়োজন। ‘বাজে না বাঁশি গো’ ও ‘হায় কি যে করি মন নিয়া’ গানের তালে নাচ করে বহ্নিশিখার নৃত্যশিল্পীরা। নৃত্য পরিচালনায় ছিলেন সাহিদা রহমান সুরভী। এরপর শুরু হয় একক গানের পালা। কণ্ঠের মোহময়তায় আবিদা রহমান সেতু গেয়ে শোনানÑ বাঁশি শুনে আর কাজ নাই সে যে ডাকাতিয়া বাঁশি/সে যে দিন-দুপুরে চুরি করে রাত্রিরেতে কথা নাই ...। এই শিল্পীর পরের গানের শিরোনাম ছিল- ‘তুমি আর নেই সে তুমি’। শ্রোতার হৃদয়স্পর্শী সেই সুরটি থামতেই আসিফ ইকবাল সৌরভ গেয়ে শোনান ‘তুমি এসেছিলে পরশু কাল কেন আসোনি’ ও ‘নিশিতে যাইও ফুল বনে রে ভোমরা’। পরের পরিবেশনায় পশ্চিমবঙ্গের শিল্পী কমলিকা চক্রবর্তী গেয়ে শোনান ‘বর্ণে গন্ধে ছন্দে গীতিতে।’ দরদীয় কণ্ঠে দিলবাহার গেয়ে শোনান ‘তুমি জেগে আছো বকুল ফুল বিছানো পথে।’ তানসেন রহমান গেয়েছেন ‘কালো সাপে দংশে আমায়।’ এছাড়াও একক কণ্ঠে সঙ্গীত পরিবেশন করেন অনিমা মুক্তি গোমেজ ও শাহানা আকতার পাপিয়া। এছাড়া ভারতের আমন্ত্রিত শিল্পী হিসেবে সমাপনী সঙ্গীতাসরে ভারতের ত্রিপুরার শিল্পী তনুজা দেববর্মণ, সুব্রত দেবনাথ, সুপর্ণা দেবনাথ ও ছোট্ট সাহা। তারা শচীন দেববর্মণের লোক, আধুনিক ও চলচ্চিত্রের গান গেয়ে শোনান। গানের ফাঁকে স্পন্দনের নৃত্যশিল্পীরা ‘ঝিলমিল ঝিলমিল ঝিলের জলে’ ও ‘নিটোল পায়ের রিনিক ঝিনিক’ গানের সুরে নৃত্য পরিবেশন করে। চলচ্চিত্রকার হীরালাল সেনের ১৫০তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন ॥ উপমহাদেশের চলচ্চিত্র ভুবনে অনন্য এক নাম হীরালাল সেন। ভারতের প্রথম চলচ্চিত্র নির্মাতাদের একজন হিসেবে গণ্য করা হয় এই বাঙালী চলচ্চিত্রকারকে। রবিবার উদ্্যাপিত হলো বরেণ্য এই ব্যক্তিত্বের ১৫০তম জন্মজয়ন্তী। এদিন বিকেলে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশ (এফএফএসবি)। একই আয়োজনে এফএফএসবির প্রতিষ্ঠার ৪৫ বছর পূর্তিও বছর উদযাপিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক চলচ্চিত্র নির্মাতা ও লেখক বেলায়াত হোসেন মামুন। আলোচনা শেষে ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশের উদ্যোগে ও দেশে ক্রিয়াশীল চলচ্চিত্র সংসদসমূহের আয়োজনে ২০১৭ সালে বছরব্যাপী আয়োজিত ৪টি ফিল্ম এ্যাপ্রিসিয়েশন কোর্সের শিক্ষার্থীদের সনদপত্র প্রদান করা হয়। সবশেষে দেখানো হয় শৈবাল চৌধুরী নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য কাহিনী চলচ্চিত্র ‘ভূমিকম্পের পরে’।
×