ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

প্রশাসনিক ব্যবস্থা ভেঙ্গে ফেলতে বিএনপি আজগুবি অভিযোগ করছে ॥ ও. কাদের

প্রকাশিত: ০৫:০৪, ২৫ নভেম্বর ২০১৮

 প্রশাসনিক ব্যবস্থা ভেঙ্গে ফেলতে বিএনপি  আজগুবি অভিযোগ করছে ॥ ও. কাদের

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অভিযোগ করেছেন, বিএনপি প্রশাসনিক ব্যবস্থা ভেঙ্গে ফেলতে পুলিশ প্রশাসনের ব্রিলিয়ান্ট কর্মকর্তাদের নামে আজগুবি-বানোয়াট কথা অপপ্রচার করছে। এর মাধ্যমে দেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থা ভেঙ্গে দিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করে একটি অকার্যকর প্রশাসনিক ব্যবস্থা কার্যকর করতে চাচ্ছে। শনিবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বিএনপি প্রশাসনের বিরুদ্ধে কথা বলছে তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে সিভিল প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনে এখন যে শৃঙ্খলা বিরাজ করছে, পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা একটি কমিটমেন্ট নিয়ে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। বিএনপি যখন জনগণের কাছে পাত্তা পাচ্ছে না। ঠিক সেই মুহূর্তে তারা চাইছে পুলিশ প্রশাসনের বিভিন্ন ব্রিলিয়ান্ট কর্মকর্তার নামে অপপ্রচার করে আজগুবি-বানোয়াট কথাকে প্রচার করে দেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে ভেঙ্গে দিয়ে একটি অকার্যকর প্রশাসনিক ব্যবস্থা কার্যকর করতে। যতই সময় যাচ্ছে নির্বাচনকে সামনে রেখে তাদের এই ঘৃণ্য মতলব ততই পরিষ্কার হচ্ছে। ইভিএম প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ইভিএম ব্যবহারে যেহেতু আমাদের এখনও বিশেযজ্ঞের অভাব আছে। জনগণেরও এ ব্যাপারে অভিজ্ঞতার অভাব আছে। তাই সরকার চাইছে এবারের নির্বাচনে সীমিত পরিসরে সেটি ব্যবহার করা হোক। নির্বাচন কমিশনও সেটি সীমিত আকারে ব্যবহার করতে চায়। কিন্তু বিএনপি ইভিএমকে কেন্দ্র করে যে অপপ্রচার করেছিল, আপনারা দেখুন বাস্তবে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের সঙ্গে তার কোন মিল নেই। মনোনয়ন নিশ্চিতের খবর পেয়ে বিভিন্ন দলীয় প্রার্থীর মিষ্টি বিতরণের বিষয়টির প্রতি ইঙ্গিত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, উদ্দীপনাটা যদি না থাকত তাহলে কি মিষ্টি খাওয়া হতো? মিষ্টি খাচ্ছে খাক না? হয়ত ভেবেছেন মনোনয়ন পেতে পারেন। কিন্তু এখনও তো আমরা ঘোষণা করিনি। দু’একদিনের মধ্যে সবাই জানবেন, কে পেলেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, একেএম এনামুল হক শামীম, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, উপদফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ। তারেকের সাক্ষাতকার গ্রহণ আচরণবিধির লঙ্ঘন- ড. হাছান ॥ দুর্নীতির দায়ে পলাতক দন্ডপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমানের ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাক্ষাতকার নেয়া আচরণবিধির চরম লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, দন্ডিত-পলাতক আসামি কীভাবে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাতকার নেয়? নির্বাচন কমিশনের এটি বন্ধ করা প্রয়োজন ছিল। কারণ দন্ডপ্রাপ্ত-পলাতক আসামি দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী একটি দলের মনোনয়ন ঠিক করে দিতে পারে না। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধা, কবি ও সাংবাদিক ত্রিদিব দস্তিদারের ১৪তম মৃত্যৃবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি বলেন, দ-িত আসামি তারেক রহমান সাক্ষাতকার নিচ্ছেন এবং পার্লামেন্টে কারা নির্বাচন করবেন সেটি ঠিক করে দিচ্ছেন। এটি আইনের শাসনের প্রতি শুধু বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন নয়, আইনের শাসনের জন্যও প্রচ- হুমকিস্বরূপ। তাই আমার মতে, তারেক রহমানের সাক্ষাতকার নেয়া বন্ধ না করা পক্ষপাতদুষ্ট হয়েছে। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখলাম নির্বাচনে জয়লাভ করলে তারেক রহমান নাকি প্রধানমন্ত্রী আর ড. কামাল হোসেন রাষ্ট্রপতি হবেন! কারণ কোন সিদ্ধান্তই ড. কামাল হোসেন নিতে পারেন না, সমস্ত সিদ্ধান্ত নেন তারেক রহমান। অর্থাৎ ড. কামাল হোসেনদের নেতা হচ্ছেন তারেক রহমান। ড. কামাল হোসেনসহ অন্যরা তাদের আজন্ম লালিত চেতনা ও রাজনৈতিক মূল্যবোধ সবকিছুকে বিসর্জন দিয়ে সন্ত্রাসী, জঙ্গীগোষ্ঠী ও দুর্নীতিবাজদের সঙ্গে ঐক্য করে তাদের ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। আয়োজক সংগঠনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ হাসান ইমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, প্রচার সম্পাদক আকতার হোসেন, কবি নাছির আহমেদ, চিত্রনায়িকা নতুন, চিত্রনায়িকা অরুণা বিশ্বাস, কণ্ঠশিল্পী এস ডি রুবেল, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
×