ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

খালেদাকে বীরের বেশে জেলমুক্ত করবে ২০ দল ও ঐক্যফ্রন্ট

প্রকাশিত: ০৪:১৯, ২৫ নভেম্বর ২০১৮

 খালেদাকে বীরের বেশে জেলমুক্ত করবে ২০ দল ও ঐক্যফ্রন্ট

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামী নির্বাচনে ভোটযুদ্ধে জিতে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে বীরের বেশে জেল থেকে মুক্ত করে আনতে চান ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। তারা বলছেন, খালেদা জিয়াকে জেল থেকে মুক্ত করা ও তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতেই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। কারণ দেশবাসী চায় বিএনপি ফের ক্ষমতায় আসুক। শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত ‘৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ ও আমাদের বাংলাদেশ, আসন্ন নির্বাচনে রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রত্যাশা এবং করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তারা এসব কথা বলেন। সভায় এলডিপি চেয়ারম্যান কর্নেল (অব) অলি আহমেদ বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য হয় সমগ্র জাতিকে একত্র করে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করব, নয়তো ভোটযুদ্ধে গিয়ে ভোটে জিতে বীরের বেশে জেল থেকে তাকে মুক্ত করে আনব। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। কারণ আমরা বসে বসে কলা খাওয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করিনি।’ নির্বাচনে প্রার্থী দেয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি বিএনপিকে বলেছি জোটের প্রার্থী দেয়ার ক্ষেত্রে বানরের পিঠা ভাগ করার মতো করবেন না। যোগ্য প্রার্থীদের অবশ্যই মূল্যায়ন করবেন। তিনি বলেন, আসন নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলেন। আমার দলেও ৪৬ প্রার্থী ছিল। কিন্তু আমি তাদের বলেছি যোগ্য প্রার্থীই কেবল নমিনেশন পাবে। বিএনপির পিঠে সওয়ার হয়ে এমপি হওয়ার সুযোগ নেই। যারা নমিনেশন পাবে তাদের অবশ্যই নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার যোগ্যতা থাকতে হবে। বিএনপি, ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের মধ্যে পার্থক্য থাকতে পারে। কিন্তু দেশের ব্যাপারে সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় এলে সরকারী কোন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেব না। কারণ আপনারা বিপদে পড়ে সরকারের সঙ্গে কাজ করেছেন। কিন্তু নির্বাচনের সময় নির্ভয়ে কাজ করেন। সত্যের পক্ষে থাকেন। সত্য প্রতিষ্ঠা করেন। প্রশাসনের কর্মকর্তারা অনেকেই আমাদের অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করছে জানিয়ে অলি বলেন, তারা সুযোগ খুঁজছে সত্যের পক্ষে থাকার জন্য। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব) হাফিজ উদ্দিন বীর বিক্রম বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচন হবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও পুলিশের মধ্যে। আওয়ামী লীগ মাঠে থাকবে না। আমরা অনেক ছাড় দিয়েছি। পুলিশ ও আওয়ামী গু-া বাহিনীর জন্য বাড়িতে থাকতে পারি না। নিজের এলাকায় যেতে পারি না। নেত্রীকে জেলে রেখে আমরা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি, আর নয়। এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীকে বলব আপনার বাবা বঙ্গবন্ধু। আপনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা হয়ে দেশকে আর ধ্বংস করবেন না। আমরা মুক্তি চাই। কোন দেশের কাছে আমরা পরাধীন থাকতে চাই না। পাকিস্তানের দিকে তাকিয়ে দেখুন, সেখানে গণতন্ত্র না থাকায় দেশটার কি অবস্থা হয়েছে। আমাদেরও তাই হবে। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমাকে রাস্তায় নামতে দেবে না। পুলিশ আছে। এসব ম্যানমেনে কথা বলার কোন সুযোগ নেই। আমি এমন কথা শুনতে চাই না। বাতাস অন্যদিকে বইছে দেখছেন না?’ ‘ঢাকার মিটিং, রাজশাহীর মিটিংয়ে দেখেননি? সমস্ত রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। তার পরও মানুষ হেঁটে সমাবেশে চলে এসেছে। ৬০-এর দশকে মাওলানা ভাসানীর ডাকে মানুষ যেভাবে এসেছে। এখনও সেভাবে মানুষ আসছে। যাদের ভয় করেন, সেই বেনজির ও আসাদুজ্জামান মিয়ারা যোগাযোগ শুরু করেছে। তারা কোন পথে যাবে সেটার জন্য যোগাযোগ করছে। যখন বেনজির ও আসাদুজ্জামান মিয়ারা যোগাযোগ শুরু করেছে তখন ভয়ে সকারারের হাঁটু কাঁপা শুরু হয়েছে।
×