ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা

পুঁজিবাজারে লেনদেন কমেছে ৪.৯০ শতাংশ

প্রকাশিত: ০৪:১২, ২৫ নভেম্বর ২০১৮

পুঁজিবাজারে লেনদেন কমেছে ৪.৯০ শতাংশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৪.৯০ শতাংশ। এদিকে ডিএসই প্রধান মূল্য সূচক বেড়েছে ১.১৭ শতাংশ। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও লেনদেন কমেছে। গত সপ্তাহে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে উভয় শেয়ারবাজারের লেনদেন বন্ধ ছিল। বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে ২ হাজার ৬২৯ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে ২ হাজার ৭৬৪ কোটি ৭৯ লাখ ১৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন করেছিল। এ হিসেবে লেনদেন কমেছে ৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। এদিকে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১ দশমিক ১৭ শতাংশ বা ৬১ দশমিক ৩২ পয়েন্ট। ডিএসই শরীয়াহ সূচক কমেছে ১ দশমিক ৬১ শতাংশ বা ১৯ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট। আর ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে দশমিক ৬৯ শতাংশ বা ১২ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৪৯টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৬৩টির, কমেছে ১৫৪টির আর অপরিবর্তীত ছিল ২৯টির দর। অন্যদিকে মোট লেনদেনের ৮২.৮৭ শতাংশ ছিল এ ক্যাটাগরির, ১ দশমিক ৪০ শতাংশ বি ক্যাটাগরির, ১২ দশমিক ৪৬ শতাংশ এন এবং ৩ দশমিক ২৬ শতাংশ ছিল জেড ক্যাটাগরিরর কোম্পানির দখলে। গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বস্ত্র খাতের শেয়ার। গত সপ্তাহে এ খাতটির গড়ে প্রতিদিন ১৪৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লংকা বাংলা সিকিউরিটিজ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বিদায়ী সপ্তাহে গড়ে ১১৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। আর ৯৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিদ্যুত এবং জ্বালানি খাত। লেনদেন হওয়া অন্য খাতগুলোর মধ্যে-প্রকৌশল খাতে ৬৪ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এছাড়া ব্যাংক খাতে ৪৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা, বিবিধ খাতে ৩৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, তথ্য প্রযুক্তি খাতে ৩৭ কোটি ২০ লাখ টাকা, খাদ্য ও বিবিধ খাতে ৩৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী খাতে ২২ কোটি ৪ লাখ টাকা, বীমা খাতে ১৬ কোটি ৪৪ লাখ টাকা, ট্যানারি খাতে ১৬ কোটি ২৬ লাখ টাকা, সিমেন্ট খাতে ১১ কোটি ৮৪ লাখ টাকা, সিরামিক খাতে ১১ কোটি ৫০ লাখ টাকা, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ১০ কোটি ৪ লাখ টাকা, টেলিকমিউনিকেশন খাতে ৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকা, পেপার এ্যান্ড প্রিন্টিং খাতে ৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা, পাট খাতে ৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকা, সেবা ও আবাসন খাতে ৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা এবং মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ১ কোটি ৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
×