ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কমিশনের লোভে বাড়তি বিলের অভিযোগ

চুক্তির মেয়াদ শেষেও বেসরকারী খাত প্রকল্পের মাধ্যমে পানির বিল আদায়

প্রকাশিত: ০৬:৫৫, ২৪ নভেম্বর ২০১৮

 চুক্তির মেয়াদ শেষেও বেসরকারী খাত  প্রকল্পের মাধ্যমে  পানির বিল  আদায়

স্টাফ রিপোর্টার ॥ চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও বেসরকারী খাত প্রোগ্রাম ফর পারফরম্যান্সের মাধ্যমে পানির বিল আদায় করছে ঢাকা ওয়াসা। চুক্তি অনুযায়ী বিল থেকে পাওয়া একটি নির্দিষ্ট কমিশনের টাকা আদায়ের লক্ষ্যে পিপিআই বাড়তি বিল আদায় করে গ্রাহকদের হয়রানি করছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। সঙ্কট নিরসনে দ্রুত সরকারকে পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংগঠন। এক ভোক্তা বলছিলেন, আগে পানির বিল আসত ৮ হাজার টাকা। সেখান থেকে বেড়ে হয়েছে ১৫ হাজার টাকা। এখন তা দাঁড়িয়েছে ১৭ থেকে ১৮ হাজার টাকায়। এ যেন শুভঙ্করের ফাঁকি। ঢাকার শেওড়াপাড়ার বাসিন্দা ওয়ালিউল্লাহ। আগে যেখানে তার ভবনে পানির মাসিক বিল গড়ে আসতো ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা, এখন তা ২০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। রাজধানীর মিরপুর, মহাখালী, উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা যায় কয়েক মাস ধরেই ওয়াসার ভুতুড়ে বিলের শিকার হচ্ছেন ভোক্তারা। ওয়াসার সিস্টেম লস কমাতে ২০০৯ সালে রাজস্ব আদায় কার্যক্রম পিপিআই প্রকল্পের আওতায় বেসরকারী খাত ঢাকা ওয়াসা শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নকে দেয়া হয়। ভোক্তাদের কাছ থেকে আদায় করা অর্থের ১০ শতাংশ কমিশন পায় পিপিআই কর্তৃপক্ষ ও ইউনিয়নের সদস্যরা। এর পর থেকে শুরু হয় ওয়াসার বিল নৈরাজ্য। আর সম্প্রতি তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে কয়েকগুণ। এ নিয়ে প্রকাশ হয় সংবাদও। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেন ওয়াসা কর্তৃপক্ষ। ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, অসম্ভব। বিল বাড়বে কী করে? এটার কোন সুযোগই নাই। মিটার আপনার বাসায়, আপনি মিটার দেখতে পারেন না? পিপিআই এর কমিশন বাণিজ্যই এই সংকটের কারণ উল্লেখ করে ভোক্তা অধিকার সংগঠন বলছে, দ্রুত একটি নিরপেক্ষ কমিটি গঠন করে ভোক্তাদের দুর্ভোগ নিরসনের উদ্যোগ নিতে হবে সরকারকেই। ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, ‘তাদের বাড়তি ১০ শতাংশ কমিশনের সুযোগ দেয়া হয়েছে। এখন বিলের পরিমাণ বেড়ে গেছে। এই সমস্যা নিরসনে একটি কমিটি গঠন করা দরকার। সেখানে ওয়াসার লোকও থাকবে এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটও থাকতে পারেন।’ অনেক আগেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও পিপিআইয়ের মাধ্যমে ওয়াসা বিল আদায়ের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তবে চুক্তিভিত্তিক এই কার্যক্রম আইনসম্মত কিনা তা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন।
×