ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ইউপিডিএফে যোগ না দেয়ায় ছাত্রীকে অপহরণের পর নির্যাতন

প্রকাশিত: ০৬:৪০, ২৪ নভেম্বর ২০১৮

 ইউপিডিএফে যোগ না দেয়ায় ছাত্রীকে অপহরণের পর  নির্যাতন

পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি ॥ প্রসীতপহ্নী ইউপিডিএফে যোগ দিতে রাজি না হওয়ায় মিতালী চাকমা নামে এক কলেজছাত্রীকে অপহরণের পর টানা তিন মাস তাদের আস্তানায় আটকে রেখে শারীরিক অত্যাচার ও নির্যাতনের অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় উদ্ধার হওয়া ঐ কলেজছাত্রী শুক্রবার সকালে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে অপহরণকারীদের বিচার ও সরকারের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছেন। পাশাপাশি ইউপিডিএফ (প্রসীত) গ্রুপের হাতে বন্দী আরও দুই নারীকে উদ্ধারের দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রাঙ্গামাটি সরকারী কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের মিতালী চাকমা অভিযোগ করেন, তাকে দীর্ঘদিন করে প্রসীতপহ্নী ইউপিডিএফে যোগ দেয়ার জন্য চাপ দিয়ে আসছিল। এতে রাজি না হওয়ায় গত ১৭ আগস্ট সকাল সোয়া ১০টার দিকে তাকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে একটি অটোরিক্সায় তুলে নিয়ে যায় এবং আটকে রেখে বিয়ে প্রস্তাব দেয়। এতে সে রাজি না হওয়ায় ৩০ আগস্ট তাকে ইউপিডিএফ নেতা অংগ্য মারমা ও শান্তি দেব চাকমার হাতে তুলে দেয়া হলে ইউপিডিএফ কর্মীরা তাকে দফায় দফায় শারীরিক নির্যাতন চালায়। নির্যাতনের এক পর্যায়ে মিতালী চাকমা আত্মহত্যারও চেষ্টা চালান। এক পর্যায়ে গত ১৯ নবেম্বর সেনাবাহিনীর টহল দেখে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলে মিতালী চাকমা সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় উদ্ধার হয়। মিতালী চাকমা জানায়, ডাক্তারি পরীক্ষার পর প্রাণভয়ে সে খাগড়াছড়িতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন। কারণ বাড়িতে গেলে তাকে ইউপিডিএফ (প্রসীত) গ্রুপ মৃত্যুদন্ড দেবে। তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে। তবে ইউপিডিএফের (প্রসীত) গণমাধ্যম শাখার নিরণ চাকমা এমন অভিযোগ অস্বীকার করে ঘটনাটিকে তাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার উদ্দেশে পরিকল্পিত সাজানো নাটক বলে দাবি করেছেন। মিতালী চাকমা, যারা অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে তার জীবনকে দুর্বিষহ করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও একই সঙ্গে তার পিতা-মাতার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান।
×