ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

গ্রামাঞ্চলে সামাজিক বিবর্তন॥ কচুয়া উপজেলা

প্রকাশিত: ০৫:২৭, ২৪ নভেম্বর ২০১৮

 গ্রামাঞ্চলে সামাজিক বিবর্তন॥ কচুয়া উপজেলা

(শেষাংশ) যে সব গ্রামে গ্যাস সংযোগ নেই সেসব গ্রামে এলএনজির সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রয় ও ব্যবহার হচ্ছে, কাঠখড়ির ব্যবহার সীমিত হয়ে যাচ্ছে, খড় ও শুকনো পাতার জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার দর্শনীয়ভাবে কমে গেছে। ঘরে ঘরে টেলিভিশন আছে, প্রথাগত তক্তপোষের বাইরে পলিশকৃত কাঠের বা স্টিলের আসবাব পত্র প্রায় ঘরেই বিদ্যমান, এমনকি ফ্রিজও বেশ কিছু গ্রামবাসীর ঘরে শোভা পাচ্ছে। গ্রামে দালান কোঠার বাসগৃহ নির্মিত হচ্ছে, কুঁড়ে ঘর স্মৃতি হয়ে বিলীন হয়ে যাচ্ছে, নতুন টিনের ঘরের মেঝে পাকা হচ্ছে এবং পুরনো টিনের ঘর পাকা ঘরে উন্নীত হচ্ছে। সম্প্রতি এ উপজেলায় ২১৬ জন গৃহহীনকে সরকারের তরফ হতে জনপ্রতি ১,২০,০০০ টাকা দিয়ে গৃহনির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। পাকা বাসগৃহ নির্মাণে সর্বাগ্রে রয়েছেন বিদেশে কর্মরত শ্রমিক ও পেশাজীবীরা। গত ১০ বছরে এই উপজেলা থেকে বিদেশে বিশেষত মালদ্বীপ, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব অমীরাতে কর্মরত শ্রমিকের সংখ্যা চোখে পড়ার মতো বেড়েছে। বিদেশ থেকে ফিরে আসা এসব শ্রমিক তাদের সঞ্চিত অর্থ দিয়ে পাকা বাসগৃহের বাইরে নতুনতর ধারণা ও লাগসই প্রযুক্তি নিয়ে ব্যবসাবাণিজ্য ও শিল্প গড়ায় এগিয়ে আসছেন বলে দেখা যাচ্ছে। গ্রামাঞ্চলের শিক্ষিত তরুণ-তরুণীরা সমকালে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, অধিদফতর, পরিদফতর, স্বায়ত্ত্বশাসিত সংস্থায়, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আগের চেয়ে অনেক বেশি সংখ্যায় কর্মরত আছেন। বেকারত্ব দর্শনীয়ভাবে কমে গেছে। গ্রামের বাজারে মাছ তরকারি ও দুধের খোলা কেনাবেচার বাইরে ফলফলাদির দোকান, রুটি-পরোটা চায়ের স্টল, জুতা-জামার সমারোহ চোখে পড়ছে, এসব বাজারে সাবানের চহিদা ও লভ্যতা বেশ বেড়েছে। ফল-ফলাদির মধ্যে আমদানিকৃত আঙ্গুর ও আপেল গ্রামের বাজারে দেখা যাচ্ছে। অবশ্য কয়েক যুগ আগের কচুয়ার খ্যাতি কুড়ানো বরইয়ের উৎপাদন উফশী বীজের অনুপস্থিতিতে কমে গেছে। কচুয়ার ৩ প্রধান বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে যে, প্রতিমাসে এই উপজেলায় প্রায় ৬০০ ফ্রিজ বিক্রয় হয়। দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থানরত লোকগোষ্ঠী আমাদের হিসাব মতে জাতীয় গড়ের (২১%) চেয়ে নিচে ১৮% ভাগে নেমে এসছে ; চরম দারিদ্র্যসীমার নিচে আবদ্ধ লোকগোষ্ঠীর সংখ্যা তেমনি ৯ ভাগে (জাতীয় গড় ১২.৯%) নেমে এসেছে বলে অনুমিত হয়েছে। গ্রামে ভিক্ষুক নেই বললেই চলে। ৪ বছর আগে স্থানীয় জরিপ অনুযায়ী সারা উপজেলায় ৬৩৮ জন ভিখারী ছিল। এখন এ সময়ে জরিপে ধরা ভিখিরীর সংখ্যা ২০০ তে নেমে এসেছে। এদের মধ্যে অতি বৃদ্ধ ও বিকলাঙ্গদের বাদ দিলে লাভজনক কর্মসংস্থানের সন্ধানে পূর্র্ণ বয়স্ক ও শারীরিকভাবে সুস্থ ভিখিরীর সংখ্যা ১০০ তে নেমে এসেছে বলা চলে। এসব ভিখিরীকে স্বাবলম্বী কর্মীর পর্যায়ে উন্নীত করার একটি সারথী প্রকল্প স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে গ্রহণ করা হয়েছে। এ উপজেলায় এখন ৮৬৬ জন বয়স্ক ভাতা, ২১৬ জন বিধবা ভাতা, ২৮৪ জন প্রতিবন্ধী ভাতা পাচ্ছে। এ যুগের লোকজন হাঁটেন কম, রিকশা, সিএনজি বাস-মিনি ট্রাক চোখে পড়ছে, গ্রামের হাটবাজারে চায়ের দোকানে বাড়তি ভিড় দেখা যাচ্ছে। আয়ের বৃদ্ধি যে মানুষের জীবনে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য এনে দেয় তার তর্কাতিত প্রতিফলন প্রতিনিয়ত দেখা যাচ্ছে। এসব উন্নয়নের সূচক ও প্রতিফলক বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা প্রায় সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নমুখী ও প্রগতিশীল সামাজিক বিবর্তন লক্ষ্য করেছি। আমরা সন্তোষের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি যে যোগাযোগের বিস্তৃতি ও সকল সম্প্রদায়ের মাথা পিছু আয় বাড়ার ফলশ্রুতি হিসাবে সাম্প্রদায়িকতা ও গোষ্ঠীগত হীনম্মন্যতা কচুয়া থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। মুসলমান, হিন্দু এবং সাধারণ মানুষ ও ধর্ম-কর্মের এককালীন সারথীরা একে অন্যের কাছ থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন না কিংবা পারস্পরিক জানাশোনার বাইরে থাকার চেষ্টা করছেন না। সবচেয়ে তাৎপর্যমূলক বিবর্তন ঘটেছে লিঙ্গ সমতা অর্জনে। কচুয়ার নারীরা এখন কয়েক যুগের আগের গৃহস্থালীর বন্দীদশা থেকে সমাজ ব্যবস্থাপনায় সমান অধিকার ও অংশীদারিত্ব নিয়ে বেরিয়ে এসেছেন। নারী শিক্ষার হার বেড়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ৬-১৪ বায়োবর্গের সকল শিশুরা বিনামূল্যে পাঠ্য পুস্তকসহ একই মানের অবৈতনিক শিক্ষা পাচ্ছে, শারীরিক বা মানসিক প্রতিবন্ধী ব্যতীত কোন শিশু প্রাথমিক শিক্ষার আবরণ থেকে বাদ পড়ছে না, মাধ্যমিক পর্যায়ে সকল শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫২% বালিকা বা কিশোরী বলে জরিপে দেখা গেছে। ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা সমাপণ করে বালকরা বালিকাদের তুলনায় বেশি সংখ্যায় লাভজনক পেশায় প্রবেশ করছে বলে মাধ্যমিক শিক্ষার পর্যায়ে বালিকাদের সংখ্যা বেশি হয়ে দাঁড়িয়েছে। নতুন পাঠক্রম প্রচলনের সঙ্গে মাদ্রাসায় বালিকাদের অন্তর্ভুক্তি চোখে পড়ছে। স্থান ভেদে এদের পর্দানসীন রাখার প্রবণতা অবশ্য নজরে আসছে। লিঙ্গ সমতা প্রসারণের ফলে কচুয়ায় নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে না, বাল্যবিবাহ বন্ধ হয়ে গেছে, যৌতুক প্রথা প্রায় বিলীন হয়ে গেছে। শাড়ির স্থানে সেলোয়ার কামিজ এবং লুঙ্গির বদলে শার্ট প্যান্টের ব্যবহার বাড়ছে। সম্পত্তির ওপর বিধবা, বোন, মা ও স্ত্রী আগের তুলনায় অধিকতর কার্যশীল অবয়বে অধিকার বলবৎ করতে পারছেন। কেবল হিন্দুদের ক্ষেত্রে আইনের অপূর্ণাঙ্গতার কারণে নারীদের সম্পত্তির অধিকার এখনও প্রায় অনুপস্থিত বলে সমাজপতি ও প্রশাসনের দৃষ্টিতে এসেছে। হিন্দু নারীদের ক্ষেত্রে অবশ্য পর্দা প্রথা অনেক আগ থেকেই প্রচলিত ছিল না। এদিক থেকে এ উপজেলায় মুসলমান নারীদের তুলনায় হিন্দু নারীরা সমাজের সামনে এগিয়ে ছিলেন এবং আছেন। সমকালে এ ক্ষেত্রে তারা মুসলিম নারীদের পারস্পরিক মেলামেশার মাধ্যমে অধিকতর সপ্রতিভ ও সাবলীল হতে সন্দিপীত করছেন। কচুয়ায় এখন মোটরসাইকেল চড়া নারীদের পথে ঘাটে দেখা যাচ্ছে। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষারত বালিকারা সাইকেলে চড়ে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করছে বলে নজরে আসছে। কচুয়ায় বিশ বছর আগে দেখা সামাজিকভাবে অনাদরনীয় বেদে সম্প্রদায়ের বিলুপ্তি ঘটেছে। প্রবৃদ্ধির মই ধরে এরা এখন নৌকার বাস তুলে হাট-বাজারে দোকান খুলেছেন, কৃষি ও সেবা ক্ষেত্রে মালিক শ্রমিক হিসেবে কাজ করছেন এবং সবচেয়ে গুরুত্বের কথা এদের সন্তানরা এখন স্থির ও নির্দিষ্ট আবাসনের বলে স্থানীয় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। প্রযুক্তির বিবর্তনে কামার ও কুমোর পৃথক সম্প্রদায় হিসেবে বিলুপ্ত হয়ে গেছেন, যেমনি হয়েছেন পেশাজীবী হিসেবে শনাক্তীয় মাঝি, মাটি কাটার শ্রমিক ও হিন্দু জেলেরা। সড়ক নির্মাণ, পুকুর, জলাশয় খনন, বাড়ির ভিটা তৈরি করণে বুলডজার, এক্সকেভাটর, রোলার, প্রতিনিয়ত ব্যবহৃত হচ্ছে। হিন্দু জেলেদের সঙ্গে এখন সংখ্যাগরিষ্ঠ সংখ্যায় মুসলমানরা এই পেশায় এসে জেলে ও বাণিজ্যিকভাবে মাছ উৎপাদনকারী এবং মাছের আড়ৎদার ও ব্যবসায়ী হিসেবে যোগ দিয়ে আগের দিনের ‘জাইল্যা’ অভিহিত অস্পৃশ্যতা সরিয়ে দিয়েছে। মিয়ারা ও চৌধুরীরা এখন আধুনিক পন্থায় গ্রামে গ্রামে বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ করছেন। কচুয়া থেকে প্রতিরাতে ৩ ট্রাক মাছ ঢাকা ও চট্টগ্রামে পাঠানো হচ্ছে। ক্ষেতে বিলে আগের দিনের মতো পেক কাদার মাছ ধরার চাড়াল এখন চোখে পরে না। নাইলনের জাল সর্বক্ষেত্রে সুতোর জালকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে। শবদাহের ও পরিষ্কারকের পেশায় অস্পৃশ্য চন্ডালরা এখন পৃথক শ্রেণীর লোক বলে বিবেচিত এমনকি শনাক্তকৃত হচ্ছেন না। কৃষি যন্ত্রায়নের ফলে এখন কৃষি মজুরদের পৃথক অবহেলিত গোষ্ঠীর পরিচিতি উঠে গেছে। হাতুড়ে ডাক্তার-বৈদ্য, পানি পড়া-ফুক দেয়া ধর্ম ব্যবসায়ীরা আধুনিক চিকিৎসার কাছে হার মেনে সমাজের অন্যক্ষেত্রে উৎপাদনশীল নাগরিকের ভূমিকায় চলে গেছেন। আধুনিক চিকিৎসার অভিগম্যতা বাড়ার ফলে প্রসূতি ও নবজাতকদের মৃত্যুর কথা ও সংখ্যা এখন আর ভীতিকর ঘটনা বা তথ্য হিসেবে শোনা যায় না। এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগীয় কর্মীরা কৃতকার্যতার পরিচয় রাখছেন। নাপিত ও ধোপারা গ্রামের সঙ্গে লেগে থাকা পৃথক ও পেছনের বাস ছেড়ে বাজারে দোকান খুলেছেন, পরিবহনকর্মী ও কৃষি মজুরের পেশায় অন্যদের সঙ্গে সমসারী হয়েছেন। এই এলাকায় খাদ্যাভাসে পরিবর্তন লক্ষণীয়। এলাকাবাসীরা প্রথা লালিত ৩ বেলা ভাত খাওয়ায় প্রান্তিক পরিবর্তন এনেছেন বলে মনে হয়। সকালে আটা রুটি খাওয়ার প্রচলন বেড়েছে, শাক সবজি, ডাল মাছ মাংসের (মুরগি-গরু) আগের তুলনায় খাওয়া বেড়েছে, শুঁটকি-ভর্তা-মরিচ দিয়ে ভাত মাখার ও পান্তা ভাত খাওয়ার প্রচলন কমে যাচ্ছে। বোতলজাত পানি বেশ বিক্রি হচ্ছে, প্রক্রিয়াজাত চিনি গুড়ের বিক্রয় চোখে পড়ছে, বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত মসলা বাড়ির মহিলারা পছন্দ করছেন, ঢেঁকির ব্যবহার চালের কলের বিস্তৃততে বিলীন হয়ে গেছে, গৃহস্থালীতে কুলা চালুনীর ব্যবহার তেমন দৃষ্ট হয় না, মাটির পাতিল সানকি-বাসন আর দেখা যাচ্ছে না। পিতল, কাসার তৈজসপত্র বিলুপ্ত হয়ে গেছে। একটি ক্ষেত্রে গ্রামের অবশ্য এসব ইতিবাচক বিবর্তন থমকে গেছে। মাছের চাষের বিস্তৃতির ও সেচের জন্য ভূগর্ভস্থ পানির উত্তোলন এবং আর্সেনিকমুক্ত পানির স্তরের ক্রমাগত নিচে চলে যাওয়া নিরাপদ পানির লভ্যতা বিঘিœত করছে বলে দেখা যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে যথা প্রয়োজন প্রযুক্তি ও পদ্ধতিমূলক প্রয়োগ ও সংশোধনের দিকে আশু দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন বলে মনে হচ্ছে। এই প্রয়োজন মেটানো হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আমাদের গ্রামগুলো শহরাঞ্চলের মতো সামনে আরও বেগে এগিয়ে যাবে, আমাদের গ্রামগুলো যুক্তরাজ্য বা ফ্রান্সের গ্রামগুলোর মতই উন্নত ও আকর্ষণীয় হবে। এসব পরিবর্তন শেখ হাসিনার সরকারের ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, বিশেষতঃ মধ্য মেয়াদী সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতি (২০১৮-১৯ থেকে ২০২০-২১) অনুগামী ঘটছে বা অর্জিত হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে অধিকতর গতি ও বিস্তৃতির আনয়ন এবং শাণিত করণের জন্য এখন প্রয়োজন হবে : ১. বিদ্যুৎ ও সড়ক সংযোগের যথা প্রয়োজন সংরক্ষণ; ২. প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চতর পর্যায়ে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের অধিকতর গুণগত উৎকর্ষ বিধান; ৩. গ্রামাঞ্চলে বিনিয়োগ, বিশেষতঃ ক্ষুদ্র বিনিয়োগ বাড়ানো এবং এই লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানীয় উৎসাদি বিস্তৃতকরণ; ৪. গ্রামীণ সঞ্চয় বাড়ানোর জন্য নতুনতর ও অধিকতর লাগসই আর্থিক হাতিয়ারসমূহের প্রবর্তন; এবং ৫. জনপ্রতিনিধি সংবলিত সমাজ- প্রশাসন সুসংহতকরণ। আমাদের সংবিধানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু স্বাধীন সত্তায় সমৃদ্ধি অর্জনকে এই প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠাকরণের মৌল সূত্র হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। সাম্প্রতিককালে গ্রামাঞ্চলের বিবর্তন সমৃদ্ধির পথে দ্রুত বেগে এগিয়ে যাওয়ার দ্যোতনা। গণতন্ত্রকে সমুন্নত রেখে, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার সংরক্ষণ ও বিস্তৃত করে আমরা সমৃদ্ধির সঙ্গে স্বাধীন সত্তার ভিতকে অধিকতর মজবুত করে এগিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা পাচ্ছি তারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা থেকে। লেখক : সংসদ সদস্য, সাবেক মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ নেতা
×