ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ভবিষ্যত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন ও পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা

প্রকাশিত: ০৪:৫০, ২৪ নভেম্বর ২০১৮

 ভবিষ্যত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন ও পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রথমবারের মতো দেশের তরুণদের মুখোমুখি হয়ে তাদের ভবিষ্যত স্বপ্নের বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে বিভিন্ন উদ্যোগ, পরামর্শ ও চাওয়া-পাওয়ার কথা শুনলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে বর্তমান প্রজন্মের সঙ্গে ভবিষ্যত বাংলাদেশ গড়ে তোলার স্বপ্ন ও পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা করেন তিনি। সেই সঙ্গে তরুণদের কাছ থেকে গ্রহণ করেন দেশ গঠনে তাদের পরিকল্পনা ও পরামর্শের কথাও। শুক্রবার রাজধানীর একটি মিলনায়তনে সেন্টার ফর রিসার্চ এ্যান্ড ইনফর্মেশন (সিআরআই) আয়োজিত ‘লেট’স টক উইথ শেখ হাসিনা’ অনুষ্ঠানে তরুণদের মুখোমুখি হয়ে প্রধানমন্ত্রী মনোযোগসহকারে দেশের ভবিষ্যত প্রজন্মের কথা শোনেন। ‘ভবিষ্যতে কেমন বাংলাদেশ দেখতে চায় তরুণরা’ অথবা ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হলে কোন্ কোন্ সমস্যার সমাধান করবে তারা’ এমন অনেক বিষয়েও আলোচনা হয় এবারের লেট’স টক-এ। সারাদেশ থেকে আসা ১৫০ অংশগ্রহণকারী তরুণের সঙ্গে দেশের বিভিন্ন নীতিনির্ধারণী বিষয়ে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। পেশাজীবী, চাকরিজীবী, উদ্যোক্তা, শিক্ষার্থী, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকা-ের সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং দেশ গঠনে উদ্যমী তরুণ প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন এই আয়োজনে। সেখানে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী তরুণদের মুখোমুখি হয়ে তাদের বেশ কিছু প্রশ্নের জবাব দেন। তরুণদেরও বেশ কিছু প্রশ্ন করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে বর্তমান প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা দিতে প্রধানমন্ত্রী তার কৈশোর ও তারুণ্যের সময়ে ঘটে যাওয়া অজানা অনেক তথ্য তুলে ধরেন অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে। এছাড়া ব্যস্ততার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত জীবন এবং নিজস্ব চিন্তাভাবনা নিয়েও তরুণদের সঙ্গে কথা বলেন জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনা। একটি রাজনৈতিক পরিবারে বড় হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তার কৈশোর এবং তারুণ্য কি অন্যদের চেয়ে আলাদা ছিল? কি রকম দুরন্ত সময় পার করেছেন তিনি? এমন অনেক প্রশ্নেরই উত্তর ছিল ‘লেট’স টক’ অনুষ্ঠানে। এছাড়া কৈশোর ও তারুণ্যে রাজনীতিতে যোগদান, স্কুলের ক্লাস ফাঁকি দিয়ে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে আন্দোলনে যোগদান, মুক্তিযুদ্ধকালে তাঁর অবরুদ্ধ জীবন, ’৭৫ সালে দেশের বাইরে তার পরিবারের কঠিন জীবনযাপন, ১৯৮০ সালে লন্ডনে যাওয়া, রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তনের অনুপ্রেরণা, দেশের মানুষের কাছে ফিরে আসা এমন অনেক বিষয়ে অজানা তথ্য তরুণদের জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তরুণদের কাছ থেকে আসা এমনসব আকর্ষণীয় প্রশ্ন ও তাঁর উত্তর নিয়ে ‘লেট’স টক উইথ শেখ হাসিনা’ অনুষ্ঠানটি ডিসেম্বরের মাঝামাঝি প্রচার হবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে। তরুণরা যাতে দেশের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে খোলামেলাভাবে আলোচনা করতে পারেন এবং নিজেদের ভাবনা ও সমস্যার কথা নীতিনির্ধারকদের কাছে পৌঁছাতে পারেন সেজন্য সিআরআই নিয়মিত আয়োজন করে আসছে ‘লেট’স টক’। প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে এর আগে বেশ কয়েকবার ‘লেট’স টক’ আয়োজন করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার বাংলাদেশের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে আয়োজন করা হলো ‘লেট’স টক উইথ শেখ হাসিনা’।
×