ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

জলবায়ু তহবিল দক্ষতার অভাবে ক্ষতির অর্থ আদায়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৮:৩৭, ২৩ নভেম্বর ২০১৮

জলবায়ু তহবিল দক্ষতার অভাবে ক্ষতির অর্থ আদায়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে ‘দূষণ বৃদ্ধিকারী’ উন্নত রাষ্ট্রগুলো থেকে অর্থ আদায়ে দর কষাকষি ও প্রযুক্তিগত দক্ষতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পিছিয়ে রয়েছে। ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানে উন্নত দেশগুলো ‘দূষণকারী কর্তৃক পরিশোধযোগ্য’ নীতি অনুসরণের প্রতিশ্রæতি দেয়। সবুজ জলবায়ু তহবিলের (জিসিএফ) আওতায় সাতটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক মহলে অর্থ আদায়ের জন্য সমঝোতার দক্ষতার অভাব রয়েছে। তবে আমরা আগের থেকে ভাল করছি। বৃহস্পতিবার ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে ট্রান্সপ্যারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। পোল্যান্ডের কাতোভিতসেতে আসন্ন কপ-২৪ সম্মেলনে প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা কাঠামো সংবলিত চ‚ড়ান্ত রূপরেখা প্রণয়ন ও প্রতিশ্রæত জলবায়ু অর্থায়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি নিশ্চিতের দাবিতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে টিআইবি। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান জানান, ২০০৯ সালে কোপেনহেগেন চুক্তির আওতায় উন্নয়ন সহায়তার অতিরিক্ত এবং নতুন হিসেবে ’২০ সাল নাগাদ প্রতি বছর একশ’ বিলিয়ন ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত দেশসমূহের প্রতি ততটা গুরুত্ব দেয়া হয়নি। একই সঙ্গে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের মধ্যে সমন্বয়হীনতার বিষয়টিও বেশ লক্ষণীয়। বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত তিনটি প্রকল্পের জন্য জিসিএফ থেকে মাত্র ৮৫ মিলিয়ন ডলার তহবিল অনুমোদন পেয়েছে। ’১৩ সাল হতে শিল্পোন্নত দেশসমূহ বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন রেজিলিয়েন্স তহবিলে (বিসিসিআরেএফ) নতুন কোন অর্থায়ন করেনি। অথচ শুধু অভিযোজনের জন্যই প্রতিবছর কমপক্ষে ২.৫ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন বাংলাদেশের। এ অবস্থায় উন্নত দেশগুলোর কাছ থেকে অর্থ আদায়ে বাংলাদেশের সমঝোতা দক্ষতার অভাব রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, উন্নত বিশ্বের কাছ থেকে অর্থ আদায়ে সমঝোতা ও কৌশলগত দক্ষতা বাড়ানো প্রয়োজন।
×