ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ঝলক

প্রকাশিত: ০৬:১৩, ২৩ নভেম্বর ২০১৮

ঝলক

মঙ্গলে ছিল নদী ও জলাশয় মঙ্গল গ্রহের লাল ভূপৃষ্ঠে এক সময় অনেক নদী আর বিশাল জলাশয় ছিল, স্যাটেলাইটের ছবিতে তেমনটাই প্রমাণ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। মঙ্গলপৃষ্ঠে সব গর্ত আর গভীর খাদ তারই প্রমাণ দিচ্ছে। বিজ্ঞানীরা আরও বলেছেন, মঙ্গলের ভূ-অভ্যন্তরে পানি আছে। আর বেশিরভাগ পানি বরফে জমাট বাঁধা আছে। স্যাটেলাইটভিত্তিক নতুন এক গবেষণার মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, সেসব নদী কয়েক সপ্তাহেই বিশাল সব গভীর খাদ তৈরি করেছে। পৃথিবীতে যেখানে হাজার হাজার বছর সময় লেগেছে বড় সব নদীর গভীর খাদ তৈরি করে গতিপথ সৃষ্টিতে, সেখানে মঙ্গলে কয়েক সপ্তাহেই তৈরি হয়েছিল বিশাল সব খাদ ও শত শত গর্ত। বড় সব গর্ত দেখে বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হলে বড় সব লেক বা জলাশয়ের পানি উপচে বিশাল খাদ তৈরি হয়। সেই ভয়াবহ বন্যার সাক্ষী হয়েই মঙ্গলের পৃষ্ঠে দেখা যাচ্ছে গভীর সব খাদ। বন্যার কারণে সৃষ্ট এসব গভীর খাদের অস্তিত্ব কয়েক শ’ কোটি বছর পরও দেখা যাবে, বলছেন বিজ্ঞানীরা। টেক্সাস ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা মঙ্গলের ভূপৃষ্ঠে বন্যাসহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের প্রমাণ পেয়েছেন। মূল গবেষক ড. টিম গজ বলেছেন, মঙ্গলের শুকিয়ে যাওয়া বিশাল ওই জলাশয়গুলোর কোন কোনটি অনেক বড়। মঙ্গলে ভয়াবহ বন্যার মতো যে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটেছে, তা গ্রহটির উপরিভাগ গড়ে উঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলেও ধারণা করছেন বিজ্ঞানীরা। আগে বিজ্ঞানীরা ধারণা করতেন মঙ্গলের ওইসব গভীর খাদ লাখ লাখ বছর আগে ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছে। নতুন গবেষণায় নাসা’র মার্স রিকোননেইসেন্স অরবিটার স্যাটেলাইটের মাধ্যমে হাই রেজুলেশন ছবি তোলা হয় মঙ্গল পৃষ্ঠের। গবেষকরা ওই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ২৪টি গর্ত ও গভীর খাদের ওপর গবেষণা চালান। সে সবের মধ্যে জেজেরো ক্রেটার নামের একটি প্রাচীন হ্রদও আছে। মঙ্গলে আগে প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কিনা, তা জানার জন্য সেখানে ২০২০ সালে নাসা আবারও মহাকাশযান পাঠাবে। -ডেইলি মেইল সূর্যবিহীন ৬৫ দিন আলাস্কার উত্তরাঞ্চল উতকিয়াগভিক, যা মূলত ‘বারোউ’ নামেই বেশি পরিচিত। সেখানে গত রবিবারই শেষ সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত হয়েছে। এখানে শেষ বলার কারণ হলো শহরটিতে আগামী দুই মাস সূর্য দেখা যাবে না। অবিশ্বাস্য হলেও এটাই সত্যি। শহরটিতে গত রবিবার থেকে ‘পোলার নাইট’ বা মেরু রাত শুরু হয়েছে। আর এ কারণেই টানা ৬৫ দিন সেখানে সূর্য দেখা যাবে না। ফলে শহরটির চার হাজার বাসিন্দাকে এখন থেকে অন্ধকারেই কাটাতে হবে। শহরটিতে রবিবার দুপুর ১টা ৪৩ মিনিটে আনুষ্ঠানিকভাবে সূর্যাস্ত হয়। আগামী বছরের ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত আর সূর্য উদিত হবে না এই শহরে। আবহাওয়াবিদ জুডসন জোনস বলেন, ‘পোলার নাইট বা মেরু রাতের মানে হলো সেখানে ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সূর্যোদয় হবে না।’ বিষয়টি আরও ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে এই আবহাওয়াবিদ বলেন, ‘এটি প্রতি বছরই ঘটে। আপনি যদি সুমেরু বৃত্তের ঠিক ওপরের দিকে বসবাস করেন, তাহলে শীতকালে সূর্যবিহীন একটি দিন অবশ্যই পাবেন। তবে ভাল খবর হচ্ছে, গ্রীষ্মকালে কিন্তু এই অবস্থা পুরোপুরি উল্টো, সে সময় সূর্য কয়েক দিনের জন্য অস্ত যায় না।’ তবে শুধু উতকিয়াগভিক শহরের মানুষকেই এমন অন্ধকারে সময় কাটাতে হয়, ব্যাপারটা এমন নয়। আলাস্কার আরও কয়েকটি শহরের মানুষ এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন। তবে উতকিয়াগভিকের সর্ব উত্তরের শহরগুলোর একটি হওয়ায় সেখানকার বাসিন্দারা সবার আগে ‘পোলার নাইট’ পান। কাকটোভিক, পয়েন্ট হোপ এবং আনাকটুভুক পাস শহরের বাসিন্দারাও এক থেকে দুই মাস অন্ধকারে কাটাবেন। এসব শহরে সর্বশেষ সূর্যাস্ত হবে নবেম্বরের শেষদিক বা ডিসেম্বরের শুরুর দিকে। -সিএনএন
×