ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে ডাকাতসহ নিহত ২

প্রকাশিত: ০৪:২৯, ২৩ নভেম্বর ২০১৮

টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে  ডাকাতসহ নিহত ২

সংবাদদাতা, টেকনাফ, ২২ নবেম্বর ॥ টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে কুখ্যাত ডাকাত ও ইয়াবা কারবারি নিহত হয়েছে। এসময় ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল হতে অস্ত্র, বুলেট ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার ভোরে সাবরাং হারিয়াখালীর ট্যুরিস্ট জোন সংলগ্ন বেড়িবাঁধ এলাকায় জিরো পয়েন্টে পুলিশ কুখ্যাত নজির ডাকাতের স্বীকারোক্তিতে তার আস্তানায় ইয়াবা বিরোধী অভিযানে গেলে তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। এসময় পুলিশের এসআই খাইরুল আলম, কনস্টেবল রুমন, মংছিং প্রু ও আব্দুস শুক্কুর আহত হয়। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে গুলিবর্ষণ করলে তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়। ইয়াবা কারবারিরা পিছু হঠলে পুলিশ ঘটনাস্থল তল্লাশি চালিয়ে ৪টি দেশীয় অস্ত্র, ২১ রাউন্ড গুলি, ১০ হাজার ১৫০ ইয়াবা ও রক্তাক্ত দুই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। মৃতদেহ দুটি সাবরাং কচুনিয়ার আব্দুর রহিমের পুত্র নজির আহমদ প্রকাশ নজির ডাকাত এবং হ্নীলা জাদিমোরা নয়াপাড়ার আমির হামজার পুত্র আব্দুল আমিন বলে জানা গেছে। সিলেট স্টাফ রিপোর্টার সিলেট অফিস থেকে জানান, দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজার থানার শ্রীরামপুর এলাকায় র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তালিকাভুক্ত মাদক বিক্রতা আব্দুস শহীদ (৪২) নিহত হয়েছে। বুধবার ভোরে এ ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে। নিহত মাদক বিক্রেতা আব্দুস শহীদ দক্ষিণ সুরমার তেলিবাজার আহমদপুর গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান জানান, মাদক বেচাকেনার সংবাদ পেয়ে শ্রীরামপুর এলাকায় অভিযান চালায় র‌্যাব-৯ এর একটি দল। এসময় মাদক বিক্রেতা শহীদ র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি চালালে র‌্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এসময় শীর্ষ ইয়াবা বিক্রেতা শহীদ গুলিবিদ্ধ হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে ভোর ৪টার দিকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মুন্সীগঞ্জ স্টাফ রিপোর্টার মুন্সীগঞ্জ থেকে জানান, টঙ্গীবাড়ি উপজেলার দেউলবাড়ি গ্রামে র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ১৮ মামলার আসামি মাদক কারবারি আবুল হোসেন শেখ (৪৯) নিহত হয়েছে। বুধবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশী পিস্তল, ম্যাগাজিন ও তিন রাউন্ড গুলি এবং ৫শ’ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় দুই র‌্যাব সদস্য আহত হন। তাদের টঙ্গীবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। র‌্যাব-১১ উপ অধিনায়ক মেজর আশিক বিল্লাল জানান, টঙ্গীবাড়িতে মাদক কারবারিদের মিটিং হচ্ছে। মেইন রোডের পাশে আবুল হোসেন তার বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে মিটিং করছিল। সেখানে আমাদের টহল ছিল। হঠাৎ রাত ১টার দিকে আমাদের টহল টিমকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আমরাও পাল্টা গুলি ছুড়ি। পরে আমরা দেখি একজন লোক রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। তাকে আমরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃৎ ঘোষণা করেন। ভালুকা নিজস্ব সংবাদদাতা ভালুকা, ময়মনসিংহ থেকে জানান, মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে উপজেলার নয়নপুর গ্রামে গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে মোবারক হোসেন (৩৮) নামে এক ডাকাত সর্দার নিহত হয়েছে। এ সময় পুলিশ একটি পিস্তল, একটি পাইপগান, চার রাউন্ড গুলি ২৫০ গ্রাম হিরোইন উদ্ধার করেছে। নিহত মোবারক উপজেলার নয়নপুর গ্রামের মৃত মিয়ার উদ্দিনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে মাদক, চুরি, ডাকাতিসহ ১০টির বেশি মামলা রয়েছে। ময়মনসিংহ ডিবি পুলিশ জানায়, উপজেলার নয়নপুর এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে একদল ডাকাত। খবর পেয়ে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র, গুলি ও ২৫০ গ্রাম হেরোইনসহ মোবারক নামে এক ডাকাতকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে ওই ডাকাত স্বীকার করে তার কাছে আরও অস্ত্র, গুলি ও মাদকদ্রব্য রয়েছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারের জন্য ওই এলাকার একটি পতিত জমিতে পৌঁছা মাত্রই ডাকাত দলের অন্যরা মোবারককে ছিনিয়ে নিতে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে কনস্টেবল শফিকুল ইসলাম ও মোজাম্মেল হক আহত হন। এ সুযোগে আটক মোবারক দৌড়ে পালানোর সময় দুই পক্ষের মধ্যে পড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে ভালুকা মডেল থানা পুলিশের সহযোগিতায় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
×