ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ডাঃ মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল)

এখন সময় বাংলাদেশের

প্রকাশিত: ০৪:০৫, ২৩ নভেম্বর ২০১৮

 এখন সময় বাংলাদেশের

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে একটি রাজনৈতিক ঐক্যকে দু’ভাবে বিশ্লেষণ করা সম্ভব- কোয়ালিটেটিভ বা গুণগত আর কোয়ানটিটেটিভ বা পরিমাণগত। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন পড়েছে জোট গঠনের হিড়িক। সঙ্গে নতুন অনুষঙ্গ ছিল নবগঠিত জোট নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ আর গণভবনের আতিথেয়তা গ্রহণ। জোটের রাজনীতি এদেশে নতুন কিছু নয়। যা নতুন তা হলো জোটের ধরন। নির্বাচন যখন ঘরের দুয়ারে, সঙ্গত কারণেই এসব জোট নিয়ে মানুষের আগ্রহও তুঙ্গে। অতএব আমিইবা বাদ যাই কেন? হতে পারি আমি পেশায় চিকিৎসক, কিন্তু বন্ধু-বান্ধবদের মধ্যে দু’চারজন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী নেই? তাদের সঙ্গে আলোচনালব্ধ জ্ঞানই এই লেখার অনুপ্রেরণা। এর মধ্যে যে কয়েকটি রাজনৈতিক জোট গঠিত হয়েছে তাদের মধ্যে আলোচনার শীর্ষে আছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। সাবেক বিরোধী দল বিএনপি জোটটির বৃহত্তম শরিক, কিন্তু জোটটির স্টিয়ারিং জোটের শরিক কিছু বড় নেতার নামসর্বস্ব দলের হাতে। দাবি করা হচ্ছে এই জোটটি নাকি জাতির ঐক্যের প্রতীক আর তাদের কথাবার্তাই নাকি জাতির কণ্ঠস্বর, দেশের প্রত্যাশার প্রতিফলন। সঙ্গত কারণে আগ্রহী হলাম সদ্য অর্জিত রাষ্ট্রবিজ্ঞানের তত্ত¡ প্রয়োগ করে জোটটির দাবিগুলো বিশ্লেষণে। কোয়ানটিটেটিভ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে দেখলাম জোটটির বৃহত্তম শরিক দলটি সর্বোচ্চ দেশের আনুমানিক এক-তৃতীয়াংশ ভোটারের প্রতিনিধিত্বের প্রত্যাশা করতে পারে। জোটের আর যারা শরিক তাদের সবার ভোট যোগ দিয়েও তো টেনেটুনে এই সংখ্যাটিকে চৌত্রিশ শতাংশ পার করানো যাচ্ছে না। কাজেই দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটারের প্রতিনিধিত্বের দাবিদার এই জোটটির অসার দাবিটি তো সংখ্যাতত্তে¡র হিসেবেই বাতিল হয়ে যায়। এর জন্য রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জ্ঞান নিষ্প্র্রয়োজন। তার ওপর কোয়ালিটেটিভ বিশ্লেষণে যে তেত্রিশ শতাংশ ভোট বিএনপির বাক্সে হিসাব করছি তাও তো অনেক পুরনো হিসাবের জায়গা থেকে। গত দশটি বছরের লম্বা সময়ে এ দেশের যে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, প্রতিটি সেক্টরে যে বিপুল-বিশাল অগ্রগতি আর সর্বোপরি ‘একজন শেখ হাসিনার’ যে পর্বতসম ব্যক্তিত্ব ও অর্জন, তাতে যুক্তিবাদী মন বলছে এই সংখ্যাটি চৌত্রিশ নয়, বরং চৌদ্দ কিংবা উদারভাবে হিসাব করলে সর্বোচ্চ চব্বিশ হতে পারে। আরও মনে রাখতে হবে এবারে ভোটারদের এক-তৃতীয়াংশ জীবনে প্রথমবারের মতো তাদের সাংবিধানিক অধিকারটি প্রয়োগ করতে যাচ্ছে। তারা আমাদের মতো ‘দ্য ব্রোকেন স্যুটকেস এ্যান্ড টর্ন টি-শার্ট’ তত্তে¡র ভেল্কিবাজিতে বিভ্রান্ত প্রজন্ম নয়। তারা ডিজিটাল যুগে বেড়ে ওঠা প্রজন্ম, যাদের হাতের মুঠোয় এন্ড্রয়েড ডিভাইস আর ট্যাব। তারা গুগুল সার্চ না করে কোন কিছু গ্রহণ বা বর্জনে অভ্যস্ত নয়। আর আজকের এই অবারিত তথ্য প্রবাহের যুগে কাউকে তথ্যবঞ্চিত রাখা বা রাখার চেষ্টা করা আর ‘বোকার স্বর্গে প্রাসাদ বানানো’ তো একই কথা। তবে আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে জোটটির কোয়ালিটেটিভ বা গুণগত বিশ্লেষণ। ব্যক্তি আক্রমণ শালিনতার পরিপন্থী। তাই লেখার পরবর্তী অংশে ব্যক্তির নাম উহ্য রাখাটাই বোধ করি বাঞ্ছনীয়। ফ্রন্টটির একজন বড় নেতাকে প্রায়শই পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় রাষ্ট্রের সংবিধানের প্রণেতা হিসেবে। ভুলেও কখনও যে ভুলটা সংশোধন করা হয় না তা হলো তিনি ছিলেন ঐ কমিটির অন্যতম, একমাত্র নন। কোনদিনই তিনি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালীন নয়টি মাসে তার ভৌগোলিক অবস্থান পরিষ্কার করেননি। একাত্তরে ঢাকায় কর্মরত পাকিস্তানী জেনারেল মিঠঠা খানের সাম্প্রতিক লেখনিতে জানা যাচ্ছেÑ তিনি তার পাকিস্তানী বংশোদ্ভ‚ত স্ত্রী বড় ভাইয়ের সহায়তায় ঐ জেনারেলের সঙ্গে যোগাযোগ করে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর কাছে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেছিলেন। তাকে পাক সেনা ব্যবস্থাপনায় পিআইএ’র ফ্লাইটে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল। সেখানে তিনি তার আইনজীবী শ্বশুরের জুনিয়র হিসেবে চুটিয়ে আইন ব্যবসায় নিয়োজিত ছিলেন। এসব কথার সত্যি-মিথ্যা জানি না, তবে গত কয়েক বছরে তার বিদেশী বংশোদ্ভ‚ত জামাতার জামায়াতী আচরণ কেন যেন এসব তথ্যকে মেনে নিতে আগ্রহী করে তোলে। এ সমস্ত অভিযোগে প্রকাশ্যে তাকে রাজাকার হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন সুপ্রীমকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত একজন প্রবীণ বিচারপতি আর এসব অভিযোগ খন্ডনে উদ্যোগী না হয়ে প্রবীণ এই আইনজীবী প্রকারান্তরে সত্যটিকেই স্বীকার করে নিয়েছেন। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার পর গঠিত গণতদন্ত কমিশন প্রধান হিসেবে তার রিপোর্টে এই আইনজীবী একদিন তৎকালীন যে সরকার আর সরকারপ্রধানকে ওই ঘৃণ্য হামলার জন্য সরাসরি দায়ী করেছিলেন, ফ্রন্টের নেতা হিসেবে আজ সেই সরকারপ্রধানের মুক্তির দাবিতে তার দেনদরবার শুধুই গন্ধ ছড়ায়। ফ্রন্টের দু’জন নেতা আছেন যারা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বড় নেতা ছিলেন। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পর এরা দু’জনই প্রকাশ্য জনসভায় এই ঘৃণ্য হত্যাকান্ডের জন্য তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর বিচার দাবি করেছিলেন। আজকে অবশ্য দু’জনেরই একদম ইউটার্ন। একজন মুজিবকোট গায়ে জামায়াত-বিএনপির জনসভায় জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে জয় বাংলাকে কলঙ্কিত করছেন এবং আরও লাশের প্রত্যাশায় অন্যজনের আগ্রহ লিক হওয়ায় টেলিফোন সংলাপের সুবাদে এখন অপেন সিক্রেট। তবে এখন জানা যাচ্ছে দ্বিতীয়জনের ব্যাপারে আরও শিউরে ওঠার মতো তথ্য। একাত্তরের নয়টি মাসে তিনি চট্টগ্রাম বেতার থেকে নিয়মিতভাবে একটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করতেন, যেখানে ‘বিপথগামী মুক্তিযোদ্ধাদের’ ‘পাকিস্তানের পতাকাতলে’ ফিরে আসার দাওয়াত দেয়া হতো। রাজনৈতিক বাস্তবতা এমনই যে, বিএনপির সমর্থন ছাড়া তার নির্বাচনী এলাকা থেকে তার নির্বাচিত হওয়ার আশা শুধু দুরাশাই নয়, বরং তার চেয়েও বেশি কিছু। অতীতে দু’দফায় তার নির্বাচনী অংশগ্রহণ এই সত্যকেই প্রতিষ্ঠিত করে। এই ফ্রন্টেরই আরেকজন নেতা সম্প্রতি সংসদের বিরোধী দলকে সম্বোধন করেছেন ‘গৃহপালিত’ হিসেবে। আমরা যারা নব্বই ভুলিনি তাদের স্পষ্টই মনে আছে আওয়ামী লীগ-বিএনপিবিহীন ৮৮’র পার্লামেন্টে একপাল নামসর্বস্ব বিরোধীদলীয় জোটের নেতা হিসেবে তিনি এদেশের রাজনৈতিক অভিধানে ‘গৃহপালিত বিরোধী দল’ শব্দটির প্রচলন ঘটিয়েছিলেন। ফ্রন্টের নেতাদের মধ্যে আছেন ভূমিদস্যুও। বঙ্গবন্ধুর দেয়া জমিতে বঙ্গবন্ধুর দেয়া নামে প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেও সন্তুষ্ট নন তিনি। জমি গিলে খেয়েছেন একের পর এক। ইদানীং হঠাৎ কেমন যেন বেপরোয়া লাগে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন দায়িত্বশীল ব্যক্তি সম্পর্কে উল্টাপাল্টা মন্তব্য করে দেশকে অস্থিতিশীল করার স্বপ্ন দেখছেন। সম্প্রতি লিক হওয়া টেলিফোন সংলাপও এ বিষয়ে তার অতি আগ্রহকে জাতির সামনে স্পষ্ট করে দিয়েছে। তিনি প্রয়োজনে তার কোমলমতি ছাত্রদের ব্যবহার করে দেশটাকে চুলোয় পাঠাতে একটুও দ্বিধান্বিত নন। আর ফ্রন্টের অন্য আরেক বড় নেতা তো বাংলাদেশ রাষ্ট্র সৃষ্টির কোন যৌক্তিকতাই খুঁজে পাচ্ছেন না। টিভি টকশোতে অবলীলায় বলে দিচ্ছেন পাকিস্তান আমল ঢের ভাল ছিল আজকের বাংলাদেশের চেয়ে। বিনা উস্কানিতে টিভি টকশোতে নিকৃষ্ট ভাষায় আক্রমণ করছেন নারী সাংবাদিককেও। কেন কি জানি? তবে জানি এসবের পিছনে ভাল কোন উদ্দেশ্যই থাকতে পারে না। কেমন গন্ধ ছড়াচ্ছে দেখছেন! কোয়ালিটেটিভ বিশ্লেষণে ঐক্যফ্রন্ট আর তার নেতাদের এদেশের রাজনীতিতে কোন জায়গা যে থাকতে পারে না এ নিয়ে বোধ করি আর কোন যুক্তি নিষ্প্রয়োজন। এ সব বিষয়ে আমি যেমন বুঝি, বোঝেন আপনারাও আর তার চেয়ে বেশি বোঝেন ফ্রন্টের নেতারা। তাই সংলাপে বসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের কাছে নিজের বিকল্প জানতে চাইলে তারা ছিলেন নিরুত্তর। একইভাবে বিদেশী ক‚টনীতিকদের সঙ্গে আলোচনার সময়ও এই প্রশ্নের উত্তরে তাদের মুখে রা ফোটেনি। তাদের উদ্দেশ্য আসলে পরিষ্কার। ফ্রন্টে যোগদানকারী নেতারা তো প্রকাশ্যেই বলছেন এটি একটি নির্বাচনী ফ্রন্ট। একে অপরকে আহŸান জানিয়েছেন অন্তত ডিসেম্বরের ত্রিশ তারিখ পর্যন্ত এই অদ্ভুতুড়ে ঐক্যটা ধরে রাখতে। রাষ্ট্র নিয়ে তাদের কোন ভাবনা নেই। তাদের লক্ষ্য শুধুই ক্ষমতা। আসলে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের তত্ত¡ দিয়ে এদেশের রাজনীতিকে যদি পোস্টমর্টেম করেন দেখবেন এদেশে রাজনীতির ধারা আসলে দুটি- একটি প্রো-বাঙালী আর অন্যটি এন্টি-বাঙালী। বাংলাদেশ নামের আজকের এই জনপদটি ঐতিহাসিকভাবেই ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণে জর্জরিত হয়েছে। বাঙালী নিজের ভাগ্য গড়ার সুযোগ পেয়েছিল হাজার বছর আগে পাল শাসনামালে আর তারপর এই সেদিন একাত্তরের বিজয়ের পর বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে। তবে তা ছিল ক্ষণস্থায়ী। কারণ, বাঙালীর হাতে বাঙালীর শাসন ক্ষমতা ন্যস্ত হওয়া মানেই ছিল বাঙালীর কপাল খুলে যাওয়া। আর এই সত্যটি এন্টি-বাঙালী শক্তির কাছে কখনই কোন উপাদেয় বিষয় ছিল না। একদিন বাঙালীর এই ভূ-খন্ডটি ছিল প্রাচীন সিল্করুটের অপরিহার্য অংশ আর আজও তাই আছে। আজও সিল্করুট, বিমসটেক, বিআইবিএম ইত্তাকার যে কোন আঞ্চলিক সহযোগিতাই আমাদের সহযোগিতা ছাড়া অপূর্ণ। আমরা জাগলে জাগে ভারতের সেভেন সিস্টারস, জেগে ওঠে নেপাল, ভুটান আর ইউনানও। আমাদের তাই নিয়ন্ত্রণে রাখায়, আমাদের অগ্রগতিকে নিয়ন্ত্রিত করায় আগ্রহীর তালিকা শুধু দীর্ঘই নয়, বরং তার চেয়েও বেশি কিছু। গত দশ বছরে বাংলাদেশে এমন কিছু ঘটেছে যা ওদের সবার চিন্তার কারণ। বাংলাদেশের বিজয় রথ যে শুধু উর্ধশ্বাসে ছুটছে তাই নয়, বরং বর্তমান সরকার এদেশে স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিটি আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক শক্তিকে ব্যালেন্স করেছে অসাধারণ দক্ষতায়। তাই এই অবস্থার অবসান ঘটাতে আগ্রহী অনেকেই। সামনে তাদের শেষ সুযোগ। ডিসেম্বর ত্রিশ তারিখ তারা যদি এই বিজয় রথের লাগামটা টেনে না ধরতে পারেন তাহলে সর্বনাশ। কারণ, এই সরকার এই দেশের মানুষকে আবারও বশে আনার, নিজেদের স্বার্থে ডানে-বামে ব্যবহার করার শেষ সম্ভাবনাটুকু সেক্ষেত্রে শেষ হয়ে যাবে। তাই তারা সব এক হয়েছে। এক হয়েছে বঙ্গবন্ধু খুনী, একুশে আগস্টের কুশীলব, একাত্তরের ঘাতক আর আমাদের মাঝে ঘাপটিমেরে থাকা বর্ণচোরারা। এক হয়েছে ডান-বাম, উত্তর-দক্ষিণ আর পূর্ব-পশ্চিমের সব অশুভ শক্তি। অতীতের মতো কোন হিসাব কষেই ঐক্যফ্রন্টের হিসাব তাই আর মেলানো যাবে না। সে চেষ্টাও আমি বাদ দিয়েছি অনেক আগেই। আমার কাছে সমীকরণটা খুব পরিষ্কার, একেবারেই সোজাসাপ্টা- ‘হয় ওরা, না হয় আমরা’! এর বাইরে আগামী ত্রিশ ডিসেম্বর আর কোন সমীকরণ নেই। জটিল অঙ্ক কষা নাপিতদের নয়, আজ প্রয়োজন সরল সমীকরণে বিশ্বাসীদের ঐক্য আর নিঃশর্ত সমর্থন। হয়ত ভাবছেন ‘গত দশ বছরে তো পাইনি অনেক কিছুই, পাব কি আগামী পাঁচে’? ভুলে যান- শুধু মনে রাখবেন কিছু না পেলেও যা পেয়েছেন তার সুফল ভোগ করবে আগামী প্রজন্ম, এমনকি আপনার নাতি-নাতনিও। কারণ তারা বাস করবে এমন একটি উন্নত বাংলাদেশে যেখানে থাকবে যোগ্যতার মূল্যায়ন। থাকবে না শুধু বিচারহীনতা আর বিভ্রান্তির বেসাতি। আসুন তাই সেই বাংলাদেশের প্রত্যাশায় সমবেত হই একজন মহীয়সী নারীর পেছনে আর চিৎকার করে বলি- ‘এখন সময় বাংলাদেশের’! লেখক : চিকিৎসক ও গবেষক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়
×