ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আওয়ামী লীগের উন্নয়ন চিত্রের কাছে বিএনপির তুলে ধরার কিছুই নেই

প্রকাশিত: ০৫:১৭, ২১ নভেম্বর ২০১৮

 আওয়ামী লীগের উন্নয়ন চিত্রের কাছে বিএনপির তুলে ধরার কিছুই নেই

এম শাহজাহান ॥ নির্বাচনী প্রচারে দেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি ও উন্নয়নের চিত্র জনগণের সামনে তুলে ধরা হবে। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের সময় দেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে। বিশ্ববাসীর চোখে বাংলাদেশ এখন ‘উন্নয়নের বিস্ময়’। ওই অর্থে বিএনপি’র অর্জন তেমন নেই বললেই চলে। গত ২০০৫-০৬ সালে বিএনপি যখন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় তখন রফতানি আয় ছিল ১০ বিলিয়ন ডলার। দশ বছরের ব্যবধানে সেই আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৪৪ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। গত কয়েক বছরের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী অর্থনৈতিক সূচকগুলোতে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। রফতানির পাশাপাশি সরকারী বিনিয়োগ, মাথাপিছু আয়, দারিদ্র্যবিমোচন, গড় আয়ু, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, প্রবৃদ্ধি, বাজেটের আকার, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, খাদ্য উৎপদান ও মানবসম্পদ উন্নয়নের মতো সূচকে বড় সাফল্য পেয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য। জানা গেছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে গত দশ বছরের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের একটি সুস্পষ্ট চিত্র দেশের প্রতিটি জনগণের সামনে তুলে ধরা হবে। একই সঙ্গে রূপকল্প-২১ বাস্তবায়ন, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘ ঘোষিত স্থায়ীত্ব উন্নয়ন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রের স্বপ্ন পূরণের দিক নিদের্শনা তুলে ধরার কৌশল নিয়েছে আওয়ামী লীগ। জানা গেছে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে অগ্রযাত্রার দশ বছর শীর্ষক একটি পুস্তিকা প্রকাশ করেছে সরকার। এই বইটিতে দশ বছরে দেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে কি ধরনের উন্নয়ন হয়েছে তার একটি তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারে আওয়ামী লীগ এসব উন্নয়নের কথা দেশের জনগণের সামনে তুলে ধরবে। সুনির্দিষ্ট ও সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি, মাথাপিছু আয়, খাদ্যশস্য উৎপাদন, মূল্যস্ফীতি, আমদানি, রফতানিসহ বিভিন্ন সূচকে ধারাবাহিকভাবে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুফল দেশের জনগণের মধ্যে সুষমভাবে বণ্টন হওয়ায় দ্রুত দারিদ্র্য হ্রাস পেয়েছে। রফতানি বাড়াতে উদ্যোগ ॥ চলতি অর্থবছরে পণ্য খাত থেকে ৩৯ বিলিয়ন ডলার রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত অর্থবছরে এ খাতের লক্ষ্যমাত্রা ছিল প্রায় ৩৭ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে সেবা খাতে এবার প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলারের রফতানি আয় হবে যা গত বছর ছিল সাড়ে ৪ বিলিয়র ডলার। রফতানি লক্ষ্যমাত্রার প্রায় শতভাগ অর্জিত হয়েছে। যা অতীতে ইতোপূর্বে আর দেখা যায়নি। আশা করা হচ্ছে, চলতি অর্থবছরও রফতানির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হবে। পণ্য খাতের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ১১টি পণ্যকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে উৎপাদন বাড়ানোর কৌশল নেয়া হবে। এ প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ সম্প্রতি জনকণ্ঠকে বলেন, রূপকল্প-২১ অনুযায়ী ৬০ বিলিয়ন ডলারের রফতানির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এটা বিবেচনায় রফতানি আয় বাড়ানো হচ্ছে। তিনি বলেন, লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী দেশের রফতানি আয় বেড়ে চলছে। শুধু তাই নয়, রানা প্লাজা ধসের পর পোশাক খাতে ব্যাপক সংস্কার করা হয়। এই সংস্কারের ফলে দেশের গার্মেন্টস খাতে রফতানি আয় প্রতিবছর বাড়ছে।
×