ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

এসএমই খাতে জাপানী বিনিয়োগের শীর্ষ গন্তব্য বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৬:৩৫, ২০ নভেম্বর ২০১৮

  এসএমই খাতে জাপানী বিনিয়োগের শীর্ষ গন্তব্য বাংলাদেশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ জাপানী অর্থনীতির ৯৯ ভাগই আসে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প- এসএমই খাত থেকে। তা সত্বেও দক্ষ জনবল সঙ্কট বা ব্যবসার খরচ বেড়ে যাওয়ায় এ খাতের উৎপাদন থেকে সরে আসছে সরকার। বিনিয়োগ বাড়াতে খোঁজা হচ্ছে, দক্ষিণ এশিয়ায় বিনিয়োগ গন্তব্য। সে দেশের বাণিজ্য সংস্থার তথ্য বলছে, এসএমই খাতের বিনিয়োগ গন্তব্যে শীর্ষে অবস্থানে বাংলাদেশ। যাকে বিশ্লেষকরা দেখছেন অপার সম্ভাবনা হিসেবে। বেসরকারীখাতের বিনিয়োগ আর নিত্যনতুন শিল্পোদ্যাগে ভর করে ঘুরে দাঁড়াতে খুব একটা সময় লাগেনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিধ্বস্ত জাপানের। গুণগতমানের ব্র্যান্ড আইটেম পণ্যে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার আর শ্রমিকের দক্ষতায় মাত্র এক দশকের ব্যবধানেই বিস্ময়কর গতি আসে হেলে পড়া অর্থনীতিতে। দেশ হয়ে উঠে শিল্পোন্নত। জাপানের অর্থমন্ত্রণালয় বলছে, এসএমই খাতে ভর করেই দেশটির প্রায় ৫ লাখ ডলারের অর্থনীতি। প্রায় ৪ লাখ বর্গকিলোমিটারের দ্বীপ-উপদ্বীপে ছড়িয়ে রয়েছে ৩৮ লাখ ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান। যার মধ্যে সরাসরি উৎপাদনে নিয়োজিত কোম্পানি ৪ লাখ। কিন্তু বিশ্বজনীন প্রতিযোগিতায় নিজের আসন পাকাপোক্ত করতে এসএমই খাতের উৎপাদন থেকে সরে আসছে বিশ্ব অর্থনীতির তৃতীয় বৃহত্তম এই দেশটি। যে খাতে বিনিয়োগের নতুন সম্ভাবনা বাংলাদেশ। জাপান সরকারের বাণিজ্য সংস্থা জেট্রো বলছে, শ্রমিকের স্বল্প মজুরি, সাশ্রয়ী উৎপাদন ব্যয়, কম ব্যয়ে ব্যবসা উপযোগী বাংলাদেশ। যেখানে পণ্য উৎপাদনের খরচ জাপানের তুলনায় অর্ধেক। জেট্রো বলছে, ৭১ সূচক নিয়ে জাপানী ব্যবসায়ীদের কাছে ব্যবসার আস্থা সূচকে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে ওপরে অবস্থান বাংলাদেশের।
×