ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সাজা বাতিল না হলে বেগম জিয়া ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না

প্রকাশিত: ০৫:৩৮, ২০ নভেম্বর ২০১৮

 সাজা বাতিল না হলে বেগম জিয়া ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না

বিকাশ দত্ত ॥ দুর্নীতির দায়ে দ-িত বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম জিয়া আদৌ নির্বাচন করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে জনমনে চলছে নানামুখী জল্পনাকল্পনা। একাদশ সংসদ নির্বাচনে খালেদা জিয়া ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৭ থেকে তিনটি মনোনয়নপত্র নিয়েছেন। তবে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর আদৌ তিনি নির্বাচন করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে আইন বিশেষজ্ঞদের মধ্যে চলছে চুলচেরা আইনী বিশ্লেষণ। এরই মধ্যে তিনি দুটি মামলায় দ-িত হয়েছেন। দুই মামলায় তাকে (খালেদা জিয়াকে ১৭ বছর কারাদন্ড) দেয়া হয়েছে। এ কারণে দুর্নীতির দায়ে দ-িত খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন না। যতক্ষণ পর্যন্ত সাজা বাতিল না হয়। তাকে আপীল করে সাজা বাতিল ও সাজার কার্যকারিতা স্থগিতের রায় পেতে হবে। সংবিধানে স্পষ্ট বলা আছে , যদি কেউ নৈতিক স্খলনজনিত কোন ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অন্যূন দুই বছরের দ-ে দ-িত হন এবং তার মুক্তিলাভের পর পাঁচ বছরকাল অতিবাহিত না হয়ে থাকে, তবে তিনি এমপি থাকার যোগ্য হবেন না। অবশ্য খালেদার আইনজীবীরা বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন। এর আগেও অনেকের সাজা হয়েছিল কিন্তু তারা নির্বাচন করেছেন, এমপি-মন্ত্রী হয়েছেন। কাজেই খালেদা জিয়ার নির্বাচন করতে কোন বাধা নেই। আপীল করায় নিম্ন আদালতের রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্থগিত হয়ে গেছে। এখন এ মামলার কারণে খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণে বাধা নেই। গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ে দন্ডিত হওয়ার পর থেকে খালেদাকে রাখা হয়েছে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে। ওই মামলায় বিচারিক আদালতের দেয়া সাজা (৫ বছর কারাদন্ড) থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করে হাইকোর্ট। এ ছাড়া জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায়ও বিচারিক আদালতেও সাত বছরের দন্ড পেয়েছেন খালেদা। এরই মধ্যে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালাস চেয়ে ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার দন্ড স্থগিত চেয়ে আপীল করা হয়েছে। এদিকে আরও তিন দুর্নীতি মামলাসহ মোট ৩৪ মামলা চলমান রয়েছে। দুর্নীতির মামলায় দন্ডিত হওয়ায় বেগম জিয়া আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। এমনই আভাস দিয়েছেন বর্তমান ও সাবেক আইনমন্ত্রীসহ আপীল বিভাগের সাবেক বিচারপতি ও আইন বিশেষজ্ঞরা। সংবিধানেও বলা আছে, সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) অনুচ্ছেদে সংসদে নির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতা ও অযোগ্যতার বিষয়ে বলা হয়েছে, যদি কেউ নৈতিক স্খলনজনিত কোন ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অনুচ্চ দুই বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত হন এবং তার মুক্তিলাভের পর পাঁচ বছর পরে না হয়ে থাকে, তবে তিনি এমপি থাকার যোগ্য হবেন না। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আমাদের সংবিধানে স্পষ্ট বলা আছে নৈতিক স্খলনের জন্য দুই বছরের অধিক সময় যদি কারও সাজা হয় তাহলে তিনি সংসদ নির্বাচন করতে পারবেন না। হাইকোর্ট ও সুপ্রীমকোর্টের দুটি রায় আছে, যেখানে এ বিষয়ে কিন্তু সুনিশ্চিত বলা হয়েছে- আপীল যতক্ষণ পর্যন্ত শেষ না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত এই মামলা পূর্ণাঙ্গ স্থানে যায়নি সেজন্য দ-প্রাপ্ত হননি সেজন্য ইলেকশন করতে পারবেন, আবার আরেক মামলার রায়ে আছে ‘পারবেন না’। এখন তার ব্যাপারে আপীল বিভাগ ও স্বাধীন ইসি কি সিদ্ধান্ত নেবে সেটা তাদের ব্যাপার। ৩০ অক্টোবর হাইকোর্ট জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে কারাবন্দী দুই আসামি কাজী সলিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের ১০ বছরের কারাদন্ড বহাল রাখে। এ ছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান পলাতক থাকায় নিম্ন আদালতের দেয়া ১০ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড বহাল রয়েছে। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করে। এর আগে ৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালতের বিচারক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান টানটান উত্তেজনার মধ্যে এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়। অন্যদিকে বিএনপির সিনিয়ার ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ৫ আসামিকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়। একই সঙ্গে তাদের সবার ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী (পলাতক) ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়ার ভাগ্নে মমিনুর রহমান (পলাতক)। একই সঙ্গে তাদের সবার ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা করে জরিমানা করা হয়। অন্যদিকে ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় প্রায় সোয়া তিন কোটি টাকা আত্মসাত করার অভিযোগে বেগম জিয়াসহ চার আসামির সবাইকে সাত বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। খালেদা জিয়াসহ প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। মামলার অপর তিন আসামিকেও ৭ বছরের কারাদন্ডসহ প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। এ ছাড়া ট্রাস্টের নামে কেনা ৪২ কাঠা জমি বাজেয়াপ্ত করে তা রাষ্ট্রের অনুকূলে নেয়ার আদেশ দেয়া হয়েছে। ’৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় এটিই সর্বোচ্চ শাস্তি । একই সঙ্গে দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় আসামিদের শাস্তি দেয়া হয়। এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, দুর্নীতির দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ৭ বছর ও ১০ বছর কারাদন্ড হওয়ার ওই সাজা বাতিল না হলে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না । জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সাজা ৫ বছর বাড়িয়ে ১০ বছর করেছে হাইকোর্ট। মাহবুবে আলম বলেন, কেউ সাজাপ্রাপ্ত হলে নিশ্চয়ই পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত সাজা বাতিল না হয়। সাজার দুই রকম ব্যাখ্যা রয়েছে। প্রথমত, আপীল করে সাজা বাতিল করা এবং দ্বিতীয়ত, সাজার কার্যকারিতা স্থগিত করা। এখানে আমার অভিমত হলো, কেউ নির্বাচন করতে চাইলে সাজা বাতিল করতে হবে। তবে সাজা সাময়িক স্থগিত করে নির্বাচন করতে পারবে না। ফলে খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। আপীল শুনানি অবস্থায় থাকলেও হবে না, যে পর্যন্ত সাজা বাতিল না হয়। এর আগেও অনেকেই সাজা স্থগিত রেখে নির্বাচন করেছেন, সেক্ষেত্রে খালেদা জিয়া সাজা স্থগিত রেখে নির্বাচন করতে পারবেন কিনা তার জবাবে এ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এটা অনেকেই আইনের নানান ফাঁকফোকর দিয়ে করতে পারেন। কিন্তু আমার ব্যাখ্যা হলো, কেউ যদি দন্ডপ্রাপ্ত হন, সেক্ষেত্রে তার দন্ড যতক্ষণ না বাতিল হবে, সে পর্যন্ত তিনি মুক্ত মানুষ হিসেবে পরিগণিত হতে পারেন না। আবার সাজা স্থগিত হলে আপাতত জেল খাটা থেকে হয়ত অব্যাহতি পেতে পারেন, কিন্তু নির্বাচন করতে পারবেন না। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের দন্ড স্থগিত চেয়ে আপীল আবেদনের পর খালেদা জিয়ার আইনজীবী আমিনুল ইসলাম বলেন, আপীল করায় নিম্ন আদালতের রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্থগিত হয়ে গেছে। এখন এ মামলার কারণে খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশগ্রহণে বাধা নেই। এদিকে দুটি রায়ে বেগম খালেদা জিয়া দন্ডিত হবার পর সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ জনকণ্ঠকে বলেছেন, ফৌজদারি মামলায় দন্ডপ্র্রাপ্ত হলে, সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার ক্ষেত্রে একটি সাংবিধানিক বার (বাধা) রয়েছে। ন্যূনতম ২ বছর দন্ডপ্রাপ্ত হলে এবং তার পর ৫ বছর অতিবাহিত না হলে সে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। হাইকোর্ট যদি সাজা স্থগিত করে এবং আসামিকে জামিন দেয়, সেক্ষেত্রে পারবে কিনা জানতে চাইলে সাবেক এই আইনমন্ত্রী বলেন, সাজা স্থগিত করলে তো সাজা বাতিল হলো না। সাজা খাটা হলো না। সেক্ষেত্রেও পারবে না। তবে ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, দন্ডিত যদি উচ্চ আদালতে আবেদন করে এবং আবেদনের যুক্তি দেখে আদালত সন্তুষ্টি সাপেক্ষে মনোনয়নপত্র দাখিলের অনুমতি দেয়, সেক্ষেত্রে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে। আপীল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক জনকণ্ঠকে বলেন, যেহেতু দুটি মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা হয়েছে। তাই যে দিন নমিনেশন পেপার সাবমিট করতে হবে সেদিন মুক্ত না হলে তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না। নির্বাচনের আগে হাইকোর্ট থেকে নিরপরাধ বলে গণ্য না হন, তা হলে বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনের অযোগ্য হবেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া জনকণ্ঠকে বলেছেন, যেহেতু জিয়া চ্যািরটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাটি হাইকোর্টে আপীল পেন্ডিং আছে সেহেতু তিনি নির্বাচন করতে পারবেন। আপীল করায় নিম্ন আদালতের রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্থগিত হয়ে গেছে। এখন এ মামলার কারণে খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণে বাধা নেই। আমাদের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। খালেদা জিয়ার নির্বাচনী ফর্মের বিষয়ে আরও কিছু প্রক্রিয়া আছে। আমি মনে করি ম্যাডামের নির্বাচন করতে কোন বার নেই। তিনি আরও বলেন, এর আগে অনেকেরই সাজা হয়েছে। কিন্ত তারা নির্বাচন করতে পেরেছেন। মন্ত্রী, এমপি হয়েছেন। এখন আমাদের বেলায় অসুবিধাটা কোথায় ? আপীল বিভাগের সাবেক বিচারপতি ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম জনকণ্ঠকে বলেন, এ মামলার রায় স্থগিত হবার আগ পর্যন্ত আমার মতে তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না। শুধু এই সাজা শেষ হলে অথবা উনি খালাসপ্রাপ্ত হলে নির্বাচন করতে পারবেন। তবে সন্তুষ্ট হলে তিনি নির্বাচন করতে পারবেন কিন তা নিয়েও দ্বিমত আছে। খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল জনকণ্ঠকে বলেন, আদালতের দুই রকম জাজমেন্ট আছে। একটায় বলা হয়েছে সাজা হলে ৫ বছরের আগে নির্বাচন করতে পারবে না। আরেকটিতে বলা হয়েছে নির্বাচন করতে পারবে। আমাদের ধরে নিতে হবে খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল জনকণ্ঠকে বলেছেন, বেগম জিয়া নিন্দনীয় অপরাধ করেছেন। সংবিধানের অনুচ্ছেদ অনুয়ায়ী খালেদা জিয়া নির্বাচন করার অযোগ্য। কারণ ‘সংবিধান অনুযায়ী নৈতিকতা স্খলনের দায়ে কেউ যদি দুই বছরের জন্য দন্ডিত হন, তাহলে পরবর্তী ৫ বছর না যাওয়া পর্যন্ত তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না। কাজেই সংবিধানের ৬৬ (২) ডি অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচনের প্রশ্নই আসে না। আপীল করলেও তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না। কারণ, এখানে দুইটি আদালতের রায় হয়ে গেছে। খালেদা জিয়ার দুর্নীতির দুটি মামলার রায় হবার পরও আরও মামলা রয়েছে। সেগুলো হলো নাইকো দুর্নীতি মামলা, গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা, বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা, নাশকতার বিভিন্ন অভিযোগে দারুস সালাম থানায় ১১ মামলা। এছাড়াও হত্যা ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে যাত্রাবাড়ী থানায় ৪ মামলা, রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা, গুলশানে বোমা হামলার অভিযোগে মামলা, খুলনায় অগ্নিসংযোগের অভিযোগে মামলা, হত্যা, অগ্নিসংযোগসহ নাশকতার অভিযোগে কুমিল্লায় ৩ মামলা, ‘মিথ্যা’ জন্মদিন পালনের অভিযোগে মামলা,মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের নিয়ে কটাক্ষ,স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান প্রশ্নবিদ্ধ করার অভিযোগে মামলা, বাংলাদেশের মানচিত্র,জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃতির অভিযোগের মামলা,সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে ‘মিথ্যা’ মন্তব্য করায় ঢাকায় মানহানির দুই মামলা, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও জাতিগত বিভেদ সৃষ্টির অভিযোগে মামলা,নড়াইলে মানহানির এক মামলা, ৪২জনকে হত্যার অভিযোগে মামলা, হত্যা ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে পঞ্চগড়ে মামলা,বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের সমালোচনা ও মানহানির মামলা।
×