ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শেখ হাসিনার ছোট ছোট গল্পগুলো এক সুতোয় বেঁধেছি ॥ পিপলু

প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ২০ নভেম্বর ২০১৮

 শেখ হাসিনার ছোট ছোট গল্পগুলো  এক সুতোয় বেঁধেছি ॥ পিপলু

বাংলানিউজ ॥ ‘হাসিনা: এ ডটার’স টেল’ নির্মাতা রেজাউর রহমান খান পিপলু যখন সাংবাদিকদের ব্রিফ্রিং করছিলেন তখন কখনও গম্ভীর আর কখনও মুখে হাত চেপে রেখে খানিক পরপর নিশ্বাস ফেলছিলেন। ৭০ মিনিট ১ সেকেন্ডের ব্যতিক্রমী এ ডকুড্রমা নির্মাণ করতে গিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক ও পারিবারিক জীবনের উত্থান-পতনের অনেক কিছু নতুনভাবে জেনেছেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যা যেভাবে একজন মা, একজন আদর্শ স্ত্রী, একজন দাদি-নানি আর একজন মমতাময়ী বাঙালী নারী হিসেবে গড়ে উঠেছেন, তা চিত্রায়িত হয়েছে এই ডকুড্রামায়। পিপলু বলেন, পক্ষ-বিপক্ষ নয়, শেখ হাসিনাকে নিয়ে নির্মিত এ ডকুড্রামাটি প্রত্যেক দর্শকের হৃদয়ে দাগ কাটবে। আমি শুধু প্রধানমন্ত্রীর ছোট ছোট গল্পগুলো এক সুতোয় বাঁধার চেষ্টা করেছি। সোমবার বেলা এগারোটায় চট্টগ্রাম নগরীর দুই নম্বর গেট এলাকার ফিনলে স্কয়ারের সিলভার সিনেপ্লেক্সে ছবিটি সম্পর্কে বলতে এসে পিপলু আরও বলেন, ‘তথ্যচিত্রটি নির্বাচনে বা রাজনীতিতে কোন প্রভাব পড়বে কি-না তা নিয়ে অতটা ভাবিনি। এ ধরনের ডকুড্রামা সব সময়ের। আমরা শুধু একজন সাধারণ কন্যার অসাধারণ হয়ে ওঠার গল্প বলার চেষ্টা করেছি।’ রেজাউর রহমান খান পিপলু বলেন, ইতিহাস আশ্রিত গল্প নিয়ে কাজ করতে আমি অনেক ভালবাসি। অনেকদিন ধরে এ ধরনের গল্প নিয়ে ছবি তৈরি করার আশা ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাস্তবধর্মী এ গল্পটি নিয়ে তাই কাজ শুরু করি। তিনি বলেন, সব মিলিয়ে আমাদের ৫ বছরের পরিশ্রমে এ ছবিটি বানাতে পেরেছি। আমরা প্রথমে চেয়েছি প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মগুলো ধারণ করে রাখব। পরে মনে হলো, এটা নিয়ে অসাধারণ কিছু করা যায়। কারণ, প্রধানমন্ত্রীর পুরো জীবন এত বেশি ড্রামাটিক, সেটা সবাই জানেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে দেখাতে চেয়েছি। সেটাই ডকুড্রামায় তুলে ধরা হয়েছে। শেখ হাসিনা নিউজের উপাদান নয়, তাকে একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পিপলু বলেন, প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন। সহযোগিতা করেছেন। ডকুড্রামাটির দর্শকপ্রিয়তা সম্পর্কে তিনি বলেন, শুক্রবার ঢাকার যমুনা ফিউচার পার্কের বিলাসবহুল ব্লকবাস্টার সিনেমাসে, বসুন্ধরা স্টার সিনেপ্লেক্স, মধুমিতা সিনেমা এবং চট্টগ্রামের সিলভার স্ক্রিনে এটি দেখতে আসছেন সব বয়সী দর্শক। ডকুড্রামাটি পরিচালনা করেছেন এ্যাপল বক্স ফিল্মস্ এর রেজাউর রহমান খান পিপলু। সেন্টার ফর রিসার্স এ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) পক্ষে প্রযোজনা করেছেন রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও নসরুল হামিদ বিপু। চিত্রগ্রহণ করেছেন সাদিক আহমেদ। সম্পাদনা করেছেন নবনীতা সেন এবং সঙ্গীতায়োজনে ছিলেন সঙ্গীত পরিচালক দেবজ্যোতি মিশ্র।
×