ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় খালেদার দন্ড স্থগিতের আবেদন

প্রকাশিত: ০৫:২০, ২০ নভেম্বর ২০১৮

 জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় খালেদার দন্ড স্থগিতের আবেদন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া ১০ বছরের কারাদন্ড স্থগিত চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। সোমবার আপীল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়। এদিকে মেডিক্যাল বোর্ডের পরামর্শ অনুয়ায়ী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে যথাযথ চিকিৎসা দিতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ এ আদেশ প্রদান করেছে। খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া ১০ বছরের কারাদন্ড স্থগিত চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। সোমবার আপীল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় খালেদার আইনজীবীরা এ আবেদন করেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, বেগম জিয়াকে হাইকোর্ট যে সাজা দিয়েছে তা স্থগিত চাওয়া হয়েছে এবং তার জামিন চাওয়া হয়েছে। এর আগে গত ৩০ অক্টোবর এই মামলায় খালেদার সাজা বৃদ্ধিতে দুদকের আবেদন গ্রহণ করে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ ১০ বছর কারাদন্ড দেয়। একইসঙ্গে ৫ বছরের দন্ড থেকে স্থগিত চেয়ে খালেদা জিয়ার করা আপীল খারিজ করে দেয় আদালত। এছাড়া ১০ বছরের দ- থেকে স্থগিত চেয়ে মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে কাজী কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের আপীল খারিজ করে আদালত। রায় ঘোষণার সময় আদালত বলে, আমরা শুধু রায়ের অপারেটিং অংশটুকু ঘোষণা করছি। এরপর আদালত তিন আসামির আপীল খারিজ করে। আর সাজা বাড়াতে দুদকের রুল যথাযথ ঘোষণা করে খালেদার জিয়ার সাজা বৃদ্ধি করে ১০ বছর কারাদন্ড দেয়। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদন্ড প্রদান করে রাজধানীর বকশীবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী পঞ্চম বিশেষ জজ আদালত। রায় ঘোষণার পরপরই তাকে ওই দিন বিকেলে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এ মামলায় ছয় আসামির মধ্যে খালেদা জিয়াসহ তিনজন কারাবন্দী। খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা দেয়ার নির্দেশ ॥ মেডিক্যাল বোর্ডের পরামর্শ অনুয়ায়ী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে যথাযথ চিকিৎসা দিতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন এ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী, এ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেসুর রহমান। এর আগে গত ১১ নবেম্বর বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউ হাসপাতাল থেকে কারাগারে পাঠানোর বৈধতা নিয়ে রিট আবেদন করা হয়। রিট আবেদনে খালেদা জিয়াকে বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা অব্যাহত রাখার কথা বলা হয়।এতে স্বরাষ্ট্র সচিব, কারা কর্তৃপক্ষ, বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষসহ নয়জনকে বিবাদী করা হয়। বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দিতে নির্দেশনা চেয়ে এর আগে খালেদা জিয়ার করা রিট আবেদনটি গত ৪ অক্টোবর নিষ্পত্তি করে কিছু নির্দেশনা ও পর্যবেক্ষণসহ আদেশ দেয় হাইকোর্ট। হাইকোর্টের আদেশের পর চিকিৎসার জন্য ৬ অক্টোবর তাকে বিএসএমএমইউতে নেয়া হয়। এরপর থেকে তিনি ওখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। প্রায় এক মাস চিকিৎসার পর ৮ নবেম্বর বিএসএমএমইউ থেকে তাকে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে ফিরিয়ে নেয়া হয়। এখন তিনি সেখানে রয়েছেন।
×