ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

খাশোগি হত্যার টেপ শুনতে অস্বীকৃতি ট্রাম্পের

প্রকাশিত: ০৪:২৬, ২০ নভেম্বর ২০১৮

 খাশোগি হত্যার টেপ শুনতে অস্বীকৃতি ট্রাম্পের

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরবের ভিন্নমতাবলম্বী সাংবাদিক ও ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট জামাল খাশোগি হত্যার অডিও টেপ শুনতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। ফক্স নিউজ সানডে অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ক্রিস ওয়ালেসকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা জানিয়েছেন। খবর গার্ডিয়ানের। ট্রাম্প বলেন, আমি টেপটি শুনতে চাই না। কোন কারণ নেই যে টেপটি আমাকে শুনতে হবে। খাশোগি হত্যা নিয়ে সিআইএর মূল্যায়নের খবর প্রকাশের পর ট্রাম্প এ কথা জানালেন। সিআইএ তার মূল্যায়নে জানিয়েছে, খাশোগি হত্যার নির্দেশ দিয়েছে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। যা মার্কিন ও সৌদি সম্পর্ককে আরও বিপন্ন করে তুলেছে। সৌদি নেতৃত্বকে বিশ্বে তাদের স্থায়ী অবস্থানকেও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। আগে ধারণকরা সাক্ষাতকারে ট্রাম্প ফক্স টিভি চ্যানেলকে বলেন যে, গত মাসে ইস্তানবুলে অবস্থিত সৌদি কনস্যুলেট ভবনের ভেতরে খাশোগির হত্যাকান্ডটি খুবই হিংসাত্মক, খুব কষ্টদায়ক ও ভয়ানক। খাশোগি নিখোঁজ হওয়ার পর তুর্কী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, তার হত্যাকান্ড নিয়ে একটি অডিও টেপ তাদের কাছে আছে। যদিও হোয়াইট হাউস এই বিষয়টি স্বীকার করতে অনেকটা সময় পার করে। শনিবার ট্রাম্প সিআইএর মূল্যায়নকে অসম্পূর্ণ উল্লেখ করে মঙ্গলবার সম্পূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের কথা জানান। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডে গত সপ্তাহে প্রথম পশ্চিমা দেশের প্রধান হিসেবে খাশোগির মৃত্যু সম্পর্কিত রেকর্ডিং শোনেন। হোয়াইট হাউসে ফক্স চ্যানেলের উপস্থাপক ওয়ালেসকে প্রেসিডেন্ট টেপটি শুনত চান না জানানোর পর উপস্থাপক তাকে প্রশ্ন করেন, আপনি কেন এটা শুনতে চান না স্যার? ট্রাম্প বলেন, এটি একটি যন্ত্রণাদায়ক টেপ। এটি একটি ভয়ানক টেপ। বিষয়টি সম্পর্কে আমি পুরোপুরি অবগত হয়েছি। ট্রাম্প ঘোষণা করেন যে, সম্ভাব্য বিকল্পগুলো সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া ও হত্যাকা-ের প্রভাব এবং বিস্তারিত বিবরণসহ সরকারী প্রতিবেদন মঙ্গলবার প্রকাশ করা হবে। রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম রবিবার সকালে এনবিসি চ্যানেলেল মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে বলেন, যদি যুবরাজ বিন সালমান দায়ী হয় তাহলে বিশ্ব পর্যায়ে দেশটি কঠিন সময়ের মুখোমুখি হচ্ছে। যখন যুবরাজ তার অবস্থান অযৌক্তিক, বিপর্যস্ত করে তুলছেন তখন আমি মনে করি তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদির মধ্যে সম্পর্কে অনেক ক্ষতি করে ফেলেছেন। তার সঙ্গে কাজ করার কোন ইচ্ছা আমাদের নেই। বিন সালমানের ভূমিকা ও সৌদি আরবের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া কিভাবে শক্তিশালী হওয়া উচিত তা নিয়ে ট্রাম্প উভয়দিকের হয়ে কথা বলেছেন। মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার ও সহযোগী হচ্ছে সৌদি আরব। এদিকে তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকার সিএনএন তুর্ককে বলেন, খাশোগির হত্যাকারীরা সম্ভবত তার মৃতদেহটি লাগেজে ভরে তুরস্ক থেকে নিয়ে গেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে সেচ্ছায় নির্বাসিত জীবন কাটানো ভিন্নমতাবলম্বী সাংবাদিক খাশোগিকে দুই অক্টোবর ইস্তানবুলে সৌদি কনস্যুলেট ভবনের অভ্যান্তরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
×