ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

এশিয়ান ইয়ুথ থিয়েটার ফেস্টিভ্যালে প্রাচ্যনাটের ‘পলিথিন হাউজ’

প্রকাশিত: ০৭:২১, ১৮ নভেম্বর ২০১৮

এশিয়ান ইয়ুথ থিয়েটার ফেস্টিভ্যালে প্রাচ্যনাটের ‘পলিথিন হাউজ’

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ দেশের জনপ্রিয় নাট্য সংগঠন প্রাচ্যনাট দ্বিতীয়বারের মতো ‘এশিয়ান ইয়ুথ থিয়েটার ফেস্টিভ্যাল-২০১৮’তে অংশগ্রহণ করছে। সিঙ্গাপুরে গত ১৬ নবেম্বর থেকে ফেস্টিভ্যাল শুরু হয়েছে। আজ এ উৎসব শেষ হচ্ছে। সিঙ্গাপুরের তারুণ্যনির্ভর দল বাডস্ থিয়েটার এ উৎসবের আয়োজন করেছে। তিনদিনের এই আয়োজনে অভিনেতা, নাট্যকার, লেখক ও নির্দেশক আজাদ আবুল কালামের লেখা ‘পলিথিন হাউজ’ নাটকটি উপস্থাপন করবে। উৎসবের শেষদিন আজ প্রাচ্যনাটকের প্রযোজনা ‘পলিথিন হাউজ’ নাটকের প্রিমিয়ার শো হবে। সাতজন কুশীলবের এই ‘পলিথিন হাউজ’ প্রযোজনাটি নির্দেশনা দিয়েছেন প্রথিতযশা শিল্পনির্দেশক মোঃ সাইফুল ইসলাম। সহকারী নির্দেশনায় রয়েছেন মোঃ শওকত হোসেন সজিব। এদিকে উৎসবে অংশ নিতে গত ১৫ নবেম্বর প্রাচ্যনাটের ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদল সিঙ্গাপুর গেছে। দলে আছেন উৎসবের ইয়ুথ এ্যাম্বাসেডর ফজলে রাব্বি খান রকিসহ শর্মি, শাহীন, নিলয়, তাহাদিল, প্রিয়ম, শর্মীলা, সজিব ও সাইফুল ইসলাম। জানা গেছে উৎসবে মোট ১০টি দল অংশগ্রহণ করছে। যার মধ্যে সিঙ্গাপুরের স্থানীয় ৩টি দলসহ ইন্দোনেশিয়া, জাপান, বাংলাদেশ, ফিলিপিন্স, লাওস, ব্রুনি ও মালয়েশিয়া প্রত্যেকেই তাদের প্রযোজনা নিয়ে মঞ্চে অংশগ্রহণ করবে। অনুষ্ঠানে কর্মশালা, সেমিনার, শিল্প ও কারুশিল্প এবং অন্যান্য অনুষ্ঠান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আন্তর্জাতিক এই উৎসবে নাটক প্রদর্শনীর পাশাপাশি ‘ডেভেলপিং কোরাজ উইথ রিদম এ্যান্ড থিম’ নামে একটি কর্মশালা পরিচালনা করে প্রাচ্যনাট। এতে উৎসবে অংশগ্রহণকারী সকল দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেয়। শনিবার কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। প্রাচ্যনাটকের ‘পলিথিন হাউজ’ প্রযোজনার মূল আলোচ্য বিষয় বর্তমান বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীদের সঙ্কটময় জীবনযাপনের এক দৃষ্টান্তমূলক নিদর্শন। যা বিশ্ব বিবেকের কাছে এখন পর্যন্ত প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে রয়েছে। ‘পলিথিন হাউজ’ নাটকে দেখা যাবে বৌদ্ধপ্রধান দেশ মিয়ানমায়ের রাখাইন রাজ্যের সংখ্যালঘু মুসলিম জহিরুউদ্দীন জর্বস্ব হারিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে রিফিউজি হিসেবে। সে তার পরিবার নিয়ে পলিথিনের তাঁবুর ভিতর থেকে সচরাচর বের হয় না। শুধু তিনবেলা সময়মতো খাবারের জন্য হাত বাড়ায় বা হাত পাতে। একজন স্বেচ্ছাসেবক জহিরুউদ্দীন পরিবারের এমন আচরণের কারণ খুঁজে বের করার জন্য এক রাতে জহিরুদ্দীনের তাঁবুর জামনে এসে উপস্থিত হয়। সেখানে স্বেচ্ছাসেবক খুঁজে পায় সেই পরিবারের দুঃখ-দুর্দশার কথা, নিকট অতীতের কথা, বর্মী সৈনিকের নৃশংস হত্যাযজ্ঞের কথা, বৌদ্ধ ভিক্ষুর মুখের হাসির খোরাকের কথা, ইজ্জত লুটের কথা। এসব গল্প শুনে সীমিত সামর্থ্যরে এই স্বেচ্ছাসেবক কিছুটা ইমোশনাল হয়, অবস্থা ম্যানেজ করার চেষ্টা করে, কিন্তু এই সকল হিজিবিজি তথ্যের ভারে জে বিহ্বল হয়।
×