ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

হায়রে প্রেম ॥ গলাচিপায় দুই বোনেরই আত্মহনন

প্রকাশিত: ০৬:৫০, ১৮ নভেম্বর ২০১৮

হায়রে প্রেম ॥ গলাচিপায় দুই বোনেরই আত্মহনন

স্টাফ রিপোর্টার, গলাচিপা ॥ শোভা আখতার এবং রোজিনা আখতার। দু’জনেরই বয়স তেরোর কোটায়। একই ক্লাসের ছাত্রী। আবার একে অপরের চাচাত বোন। একই সঙ্গে নাওয়া-খাওয়া, ঘুম, আড্ডা। কিন্তু তারা দু’জনে যে একই যুবকের সঙ্গে প্রেম করছে, তা কেউ কাউকে জানায়নি। যুবকটিও গোপনে দু’জনের সঙ্গে সমানে প্রেমের নাটক করে চলছিল। যখন একে অপরের কাছে প্রেমের ঘটনা জানাজানি হয় তখন দু’জনের মনেই জন্মে খেদ। আর তা থেকে এক সঙ্গে আত্মহত্যার পরিকল্পনা। শেষ পর্যন্ত দু’জনেই এক সঙ্গে বিষের ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করে। শুক্রবার রাতে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের দাড়ভাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শোভা আখতার উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের দাড়ভাঙ্গা গ্রামের মোহসিন চৌকিদারের মেয়ে আর নিহত রোজিনা আখতার গলাচিপা উপজেলার পানপট্টি গ্রামের বিপুল মৃধার মেয়ে। তারা উভয়েই চরমোন্তাজ সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী। স্থানীয় লোকজনের দাবি, মাদ্রাসা ছাত্রী শোভার সঙ্গে একই গ্রামের তার আপন খালাত ভাই শামিম মোল্লার দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। শোভার বাড়িতে চাচাত বোন রোজিনা দীর্ঘদিন ধরে বেড়াতে এলে শামিম তার (রোজিনা) সঙ্গেও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। তবে খাওয়া-দাওয়া-ঘুম সব এক সঙ্গে হলেও দুই বোন যে এক খালাত ভাইয়ের সঙ্গেই প্রেম করছে, তা তাদের জানা ছিল না। এমনকি একে অপরের কাছে প্রেমের বিষয়টি গোপনও রাখে। একপর্যায় শামিমের এ প্রতারণার বিষয়টি শোভা ও রোজিনা জানতে পারে। এতে অভিমান করে শুক্রবার রাতে নিজ বাড়িতে শোভা ও রোজিনা এক সঙ্গে সকলের অগোচরে চালের পোকা মারার বিষ বা গ্যাস ট্যাবলেট খায়। গুরুতর অবস্থায় শোভা ও রোজিনাকে ভোলা সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে তারা মারা যায়। তবে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের দাবি, শোভা ও রোজিনার সঙ্গে শামিমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল কিনা, তা তাদের জানা নেই। নিহত শোভার বাবা মোহসিন চৌকিদার বলেন, আমি সাগরে মাছ ধরছিলাম। আমাকে খবর দিলে আমি বাড়িতে এসে শুনতে পাই মেয়ে গ্যাস ট্যাবলেট খেয়েছে। আমার মেয়ে এখনও নাবালিকা। প্রেম কি, সে বোঝে না। তবে এখন প্রেমের ঘটনাটি শুনেছি।
×