ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ফতেহ আলী সেতুতে যান চলাচল বন্ধ

প্রকাশিত: ০৬:৪৮, ১৮ নভেম্বর ২০১৮

ফতেহ আলী সেতুতে যান চলাচল বন্ধ

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ বগুড়া নগরীর সঙ্গে জেলার পূর্বাংশের সংযোগের করতোয়া নদীর ওপর শাহ ফতেহ আলী সেতুতে ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ। এর আগে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে ভারি যান চলাচল নিষেধাজ্ঞা নোটিস বোর্ড দেয়া হয়। তারপরও মেনে না চলায় সড়ক ও জনপথ (স ও জ) অধিদফতর সেতুর উভয় প্রান্তে প্রবেশ পথে চারটি করে সিমেন্টের পিলার বসিয়ে দিয়েছে। বগুড়া স ও জ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুজ্জামান জানিয়েছেন, সেতুর আয়ুষ্কাল শেষ হওয়ায় এই ব্যবস্থা। এরপর শীঘ্রই ওই সেতুর সংস্কার কাজ শুরু হবে। তারপর এ বছরের শেষের দিকে অথবা আগামী বছরের শুরুতে পুরাতন সেতু ভেঙ্গে উন্নত অবকাঠামোয় নতুন সেতু নির্মিত হবে। বগুড়ার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া করতোয়া নদীর ওপর গার্ডার কনস্ট্রাকশনের বড় একটি সেতু নির্মিত হয় গত শতকের ষাটের দশকের মধ্যভাগে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হানাদার পাকিস্তানী সেনাবাহিনী নদীর ওপর পাশাপাশি রেল ব্রিজ ও সড়ক সেতু স্যাবার জেটের বোমায় ধ্বংস করে দেয়। দেশ স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর ধ্বংস হওয়া যোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণের আওতায় করতোয়ার ওপর রেল ও সড়ক সেতু নির্মিত হয়। প্রায় ৪৭ বছরের সড়ক সেতুটি বর্তমানে যানবাহন পারাপারে অনুপযোগী হয়েছে। সেতুটির অবস্থা জানার জন্য স ও জ অধিদফতরের উর্ধতন কর্মকর্তা ও সেতু বিশেষজ্ঞগণ ইতোমধ্যে সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন। তারা এই সেতুর ওপর দিয়ে ট্রাক, বাস ও ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন। সীমিতভাবে শুধু রিক্সা ও ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়েছে। বিকল্প পথে ভারি যানবাহন চলাচল করতে বলা হয়েছে। স ও জ বিভাগ বলেছে ফতেহ আলী সেতুর সংস্কার কাজ শেষ হওয়ার পর সীমিতভাবে কম ওজনের মাঝারি যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। স ও জ’র নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুজ্জামান জানিয়েছেন, শাহ ফতেহ আলী সেতুর প্রয়োজনীয় সংস্কারের নক্সা হাতে পাওয়া গেছে। শীঘ্রই সেতুর সংস্কার কাজ শুরু করা হবে। সেতুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বগুড়ার মূল নগরীর সঙ্গে সড়ক সংযোগকারী। করতোয়ার নদীর পশ্চিমে। এই সেতু পূর্বাংশের চেলাপাড়া, নারুলী, সাবগ্রাম আকাশতারার বিশাল এলাকাকে নগরীতে সংযুক্ত করেছে। একই সঙ্গে বগুড়ার সঙ্গে পূর্বাংশের গাবতলি, সোনাতলা, সারিয়াকান্দি উপজেলার সড়ক সংযোগ করেছে। যে কারণে ফতেহ আলী সেতুটি সংস্কার করার পরও নড়বড়ে না রেখে নতুন করে নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। নতুন সেতু নির্মাণের লক্ষ্যে মাটি ভরাট কাজ শুরু হয়েছে। নক্সা প্রণয়ন হয়েছে। প্রয়োজনীয় বরাদ্দ পাওয়ার সঙ্গেই নতুন করে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হবে।
×