ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির দায়িত্ব এখন ইসির ॥ কাদের

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ১৮ নভেম্বর ২০১৮

লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির দায়িত্ব এখন ইসির ॥ কাদের

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির দায়িত্ব এখন সরকারের হাতে নেই। এটা নির্বাচন কমিশনের হাতে চলে গেছে। এটা নিশ্চিত করবে নির্বাচন কমিশন। আর নির্বাচন নিয়ে বিএনপির যে সহিংস ভূমিকা, সেটাই বলে দিচ্ছে তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়টা কতটা সংশয়ের উর্ধে। শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সেমিনারে অংশগ্রহণের পর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে বাংলাদেশে সড়ক যোগাযোগ, রেলওয়ে, বিদ্যুত, বিমানবন্দরসহ কয়েকটি খাতে চীনা প্রতিষ্ঠান সিআইটিআইসি কনস্ট্রাকশন কোম্পানির বিনিয়োগের বিষয়ে আলোচনা করেন মন্ত্রী। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বিএনপি সংশয় সৃষ্টি করছে। অনেকগুলো দেশের সঙ্গে আলোচনা করলে একটা দুইটা দেশ প্রশ্ন তুলতেই পারে। আর বিএনপি তো প্রচুর টাকা পয়সা দিয়ে লবিং করাচ্ছে, এটা লবিংয়ের মাধ্যমেও হতে পারে। সম্পাদকদের সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন এমন প্রশ্নের জবাব মেলেনি- এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঐক্যফ্রন্টের প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নটা প্রথমে আমি তুলেছি। বলেছি, যদি আপনারা নির্বাচিত হন তাহলে সংসদীয় গণতন্ত্রে কে হবেন আপনাদের প্রধানমন্ত্রী? কিন্তু এই প্রশ্নটার এখন পর্যন্ত আমরা জবাব পাইনি। সুষ্ঠু পরিবেশ না পেলে যে কোন মুহূর্তে ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন থেকে সরে আসতে পারে- বিএনপির এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, পল্টনে যে ঘটনাটা তারা ঘটিয়েছে, এটাতে তারা কী সুষ্ঠু পরিবেশ চায়? তাদের আচরণে তো তার কোন প্রকাশ নেই। যেভাবে তারা পুলিশের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে, এটা তো প্রকাশ্য দিবালোকে ঘটেছে। তাদের ছবি আছে, এটা গোপন করার কোন সুযোগও নেই। তারা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে গিয়ে যে দানবীয় কা- ঘটাল, এখানেই তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সংশয় রয়ে গেছে। তিনি প্রশ্ন করে বলেন, তারা কী সংশয় করবে? নির্বাচন নিয়ে তাদের যে সহিংস ভূমিকা, সেটাই বলে দিচ্ছে তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়টি কতটা সংশয়ের উর্ধে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা (বিএনপি) যদি মনে করে সেই পরিবেশ অনুপস্থিত আছে, এখনও নির্বাচনের মনোনয়ন সাবমিট হয়নি। এই মুহূর্তে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কেন প্রয়োজন? এই প্রশ্ন আসে কেন? সেটা তো আমি জানি না। তবে এটা নিশ্চিত করবে নির্বাচন কমিশন। ইলেকশনের সিডিউল ঘোষণার পর থেকে এটা নির্বাচন কমিশনের হাতে চলে গেছে। যুক্তফ্রন্ট নৌকা মার্কা নিয়ে নির্বাচনে আসছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশনে নির্দিষ্ট সময়সীমা অনুযায়ী প্রার্থীরা কে কোন প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে আসবে সেটা ইতোমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে। এটা সবাই ইসিকে জানিয়ে দিয়েছে, আমরাও জানিয়ে দিয়েছি। এখন আর জানাতে পারব না কাউকে নৌকা মার্কা দিতে চাই। অসুবিধা তো নাই, জোট হলে যুক্তফ্রন্ট তাদের দলীয় মার্কা কুলা আর জাতীয় পার্টি লাঙ্গল মার্কায় নির্বাচন করবে। আমরা সেই মার্কাকে সাপোর্ট দেব। ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে একটি ‘সাম্প্রদায়িক জোট’ আখ্যায়িত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, দু’তিনদিনের মধ্যেই আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৩শ’ আসনে প্রার্থীর মনোনয়ন চূড়ান্ত করবে। শরিকদের ৬৫ থেকে ৭০টি আসন ছেড়ে দিয়ে বাকিগুলোতে দলের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে। এ সপ্তাহের মধ্যে কোন দলকে কত আসন দেয়া হবে তা চূড়ান্ত করা হবে। শরিক দলের প্রার্থী যদি বিজয় নিশ্চিত করতে পারে তাহলে সেসব আসনও ছেড়ে দেয়া হবে।
×