ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

নির্বাচন বর্জন করে ভুগতে হয়েছে, আর নয়

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ১৮ নভেম্বর ২০১৮

নির্বাচন বর্জন করে ভুগতে হয়েছে, আর নয়

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, সংসদ নির্বাচন আমরা বয়কট করব না। একবার নির্বাচন বর্জন করে ভুগতে হয়েছে। তাই নির্বাচন বয়কট-টয়কট কিছু আমরা করব না। একথা আমরা কেউ বলবও না। ওরা যত ১০ নম্বরিই করুক, হাজারে হাজারে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে হবে। প্রতি ঘরে ঘরে গিয়ে জনগণকে বোঝাতে হবে। তাই কোন অবস্থাতেই এবার নির্বাচন বর্জন করবে না জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। আগামী নির্বাচন ঘিরে দেশের সকল ভোটারকে ভোটকেন্দ্র পাহাড়া দিতে হবে। সরকার সংবিধানের কথা বললে আমার হাসি পায়। এই সরকারের ক্ষমতায় থাকাই অসাংবিধানিক। দিনে-রাতে নিজেরা সংবিধান লঙ্ঘন করছে। আর আমাদের সংবিধান দেখাচ্ছে। শনিবার সুপ্রীমকোর্ট চত্বরে ‘জাতীয় আইনজীবী ঐক্যফ্রন্ট’ আয়োজিত আইনজীবীদের মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন। মহাজোট সরকারকে ভাঁওতাবাজির সরকার বলে অ্যাখায়িত করে ড. কামাল বলেন, সংবিধানের মূলমন্ত্র গণতন্ত্র। কিন্তু এই পাঁচ বছরে কি আমরা সে গণতন্ত্র দেখতে পেয়েছি? নির্বাচন দেবে বলে তারা ভাঁওতাবাজি করেছে। ভাঁওতাবাজিতে পুরস্কার পদ্ধতি থাকলে তারা গোল্ড মেডেল পাওয়ার যোগ্য হতো। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর সুপ্রীমকোর্টে এ নিয়ে একটা মামলা হয়েছিল। তখন তারা কোর্টে বলেছিল যে, এটা একটি নিয়ম রক্ষার নির্বাচন। দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা একটি নির্বাচন দেব। দ্রুত সময় মানে কি পাঁচ বছর! তাই অভিধান পরিবর্তন করা দরকার, দ্রুত সময়ের অর্থ কী? বেগম জিয়ার মুক্তি চাই। একজন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচন করবেন, অন্যজন জেলখানায় থাকবেন, এটা হতে পারে না। সারাদেশে হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলাম, অন্যায় গণগ্রেফতারের কথা বললাম। প্রধানমন্ত্রী বললেন, কাল থেকে আর গ্রেফতার হবে না। কিন্তু, এখনও এই গণগ্রেফতার থামেনি। হাজার কোটি টাকা খরচ করে ইভিএম করছে নির্বাচন কমিশন। খেয়াল-খুশি মতো বাস্তবায়ন করছে সরকার। ইভিএম করতে চাইলে সকলের সঙ্গে অবশ্যই আলোচনা করতে হবে। তা ছাড়া এটা ব্যবহার করতে দেয়া হবে না। গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন আরও বলেন, নির্বাচন ছাড়াই ১৫৪ জনকে সংসদ সদস্য করা হয়েছে। এ নিয়ে আবার গেজেট প্রকাশ করাও হয়েছে। আমি মনে করি এই গেজেট করে তারা প্রেসের কাগজ নষ্ট করেছে। হাজার হাজার মানুষ ভোট দিতে যাবে। দেশের সকল ভোটারকে আগামী নির্বাচনকে ঘিরে ভোটকেন্দ্র পাহারা দিতে হবে। কেউ যাতে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে প্রার্থী না হয়, টাকা দিয়ে ভোট কিনে মেম্বার হয়েছে কিনা, তা সংঘবদ্ধ হয়ে প্রতিহত করতে হবে। আমাদের জনগণকে বিশ্বাস করতে হবে আমরাই সকল ক্ষমতার উৎস, আমরাই দেশের প্রকৃত মালিক। এবার নির্বাচনে দুই কোটি তরুণ ভোটার। এরাই দেশের মালিক। নির্বাচনকে ঘিরে গু-াপা-া থাকবে, তবু আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। ঘরে ঘরে মানুষকে গিয়ে বোঝাতে হবে। এ সরকারের আমলে বিচার বিভাগের ওপর আঘাত এসেছে, বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপ হচ্ছে, নিম্ন আদালতের দায়িত্ব পালন অসম্ভব করে দেয়া হচ্ছে। সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে ষোড়শ সংশোধনীর রায় দেয়া নিয়ে শাস্তি পেতে হয়েছে। সাতজন বিচারপতি ওই রায়ের স্বাক্ষর করেছে, কিন্তু একজনকে শাস্তি পেতে হলো। মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট বার সমিতির সভাপতি ও জাতীয় আইনজীবী ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক জয়নুল আবেদীন। এতে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপি মহাসচিব ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট বার সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকনের সঞ্চালনায় মহাসমাবেশে বক্তৃতা করেন , ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, খন্দকার মাহবুব হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, মীর নাসির উদ্দিন, এম এ রকীব, সুব্রত চৌধুরী, জগলুল হায়দার আফ্রিক, মোহাম্মদ শাহজাহান, তৈমুর আলম খন্দকার, মজিবর রহমান সরোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বোরহানউদ্দিন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, গরীবে নেওয়াজ, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, খোরশেদ মিয়া, মহসিন মিয়া, গোলাম মোস্তফা খান, ফাহিমা নাসরিন মুন্নী, শফিউদ্দিন ভূঁইয়া, মনসুর রহমান, ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, কেএম জসিম, শাহ আহমেদ বাদল, এ্যাডভোকেট সানা উল্লাহ মিয়া প্রমুখ। সমাবেশে দেশের ৬৪টি জেলার বার কাউন্সিলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে কারাবন্দী খালেদা জিয়াকে নিয়ে লেখা ‘এসো ঐক্য, এসো ঐক্য, দেশমাতার ডাকে ঐক্য’ গান গেয়ে শোনান কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন। মহাসমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারী চাপে নতি স্বীকার করে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দেয়া হয়েছে। আমি খুব জোর গলায় বলতে পারি, সম্পূর্ণ সরকারী চাপের মুখে খালেদা জিয়াকে বেআইনীভাবে সাজা দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আমি দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই, এই ব্যবস্থার পরিবর্তন হতে হবে। বিচার বিচারের মতো হতে হবে। রাজনৈতিক বিবেচনায় যেন কোন ব্যক্তির বিচার না করা হয় সে জন্য আপনাদের এগিয়ে আসতে হবে। আমরা বিচার বিভাগের দিকে তাকিয়ে থাকি। যখন সরকার দ্বারা আক্রান্ত হই তখন এই মহান ভবনে আসি, একটু আশ্রয়ের আশায়। কিন্তু বিচার বিভাগে সেই আশ্রয়টকুও আমাদের আজ নেই। উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিম্ন আদালতে গেলে সেখানে বিচার পাওয়া যায় না। আমাদের বহু নেতাকর্মী এই অবস্থার সম্মুখীন। এর পরিবর্তন আনতে হবে। বৃহত্তর ঐক্যের লক্ষ্যে আমরা বি. চৌধুরীর কাছে গিয়েছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের, আমরা তাকে বুঝাতে পারি নি। কিন্তু ড. কামাল হোসেন, আ স ম আবদুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্না এসেছেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন , যখন আমরা কোথাও দাঁড়াতে পারি না, যখন আমাদের কথা বলতে দেয়া হয় না, যখন আমাদের নির্বাচনের জন্য ক্যাম্পেন করতে দেয় না, আমাদের নেতা-কর্মীদের মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে অথবা তারা পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে, তখন এই নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে আমরা এই দানবকে পরাজিত করব। আমাদের হাতে সময় খুব কম। যদি জাতিকে বাঁচাতে হয়, বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে যদি বাঁচাতে হয়, আমাদের মানুষকে যদি বাঁচাতে হয়, আমাদের স্বাধীনতাকে যদি রক্ষা করতে হয়, তাহলে এই উপযুক্ত সময়। আসুন সবাই মিলে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভোটযুদ্ধে নেমে পড়ি। এই যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা তাদেরকে পরাজিত করি। আইনজীবী মইনুল হোসেন, নিপুন রায় চৌধুরীর প্রসঙ্গ তুলে ফখরুল বলেন, ‘এমন রাষ্ট্রে বাস করছি যে আইনজীবীরা পর্যন্ত মিথ্যা মামলায় নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। ড. কামাল হোসেন এটা কোর্টে তুলেছেন, এখনও আমরা সুরাহা পাইনি। যেই তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে, তার পর থেকে এখন পর্যন্ত সাড়ে ৪শ’ গায়েবি মামলা হয়েছে। কীভাবে নির্বাচন করবেন? এভাবেই করতে হবে। এভাবেই মানুষকে নিয়ে এগিয়ে গিয়ে এদের এই নির্যাতন, এদের এই নিপীড়ন, এদের এই নীলনক্সা-চক্রান্তকে বানচাল করে দিয়ে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ভোট বিপ্লব ঘটিয়ে আমরা জয়লাভ করব। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন যে সকল সাম্প্রদায়িক শক্তি এখন ধানের শীষ। ড. কামাল হোসেন সাম্প্রদায়িক শক্তি? আ স ম আবদুর রব সাম্প্রদায়িক শক্তি? বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী সাম্প্রদায়িক শক্তি? মাহমুদুর রহমান মান্না সাম্প্রদায়িক শক্তি? আমাদের মওদুদ আহমদ, জমির উদ্দিন সাহেব সাম্প্রদায়িক শক্তি? অলি আহমেদ সাম্প্রদায়িক শক্তি? যারা মুক্তিযোদ্ধা তারা সাম্প্রদায়িক শক্তি? এই কথার আমি প্রতিবাদ করছি। একটা কথা আমি পরিষ্কার বলতে চাই, সাম্প্রদায়িক শক্তিকে আপনারাই প্রশ্রয় দিয়েছেন এবং দিচ্ছেন। কারা একসঙ্গে বসে যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে আন্দোলন করেছেন, সবাই আছে। এখন তাদের সঙ্গে বসে কওমি জননী হয়ে গেছেন, এটা সবাই জানে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করুন, সকলকে সমান সুযোগ দিতে হবে, অন্যথায় নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘নির্বাচনে আছি, থাকব। মানুষ ভোট দিতে চায়। কিন্তু ভোটকেন্দ্রে যেতে চাওয়া ও ভোট দিতে পারা নিয়ে মানুষের মনে শঙ্কা। সুষ্ঠু ভোট হলে ব্যাপক ব্যবধানে আওয়ামী লীগ হারবে। এবার লড়াই করেই ভোট দিতে হবে। ‘বিএনপি যাতে নির্বাচনে না থাকে সেজন্য অনেক ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমাদের দলীয় ফরম বিক্রির মধ্যে ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতাকর্মী ঢুকে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীকে নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করেছে। আওয়ামী লীগ বলে, তারা অনেক জরিপ করেছে। সেই জরিপে তারা না কি এগিয়ে আছে। আমি বলতে চাই, আমাদের কাছেও জরিপের ফলাফল আছে এবং তাদের করা জরিপের ফলাফলও আমাদের কাছে আছে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হবে আগামী নির্বাচনে। তিনি আরও বলেন, সেজন্য সকলকে বলছি, ভোট দিতে যেতে হবে। সাধারণ মানুষ, কৃষক, অশিক্ষিত, যারা মাঠে কাজ করেন, মহিলা এবার আমাদেরকে লড়াই করে ভোট দিতে যেতে হবে। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, যে কারণে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম, ৪৭ বছর পর স্বাধীনতার সে মূল চেতনা আর নেই। এই সময়ের মধ্যে বিচার বিভাগ, জনগণ, মানুষের স্বাধীনতা হারিয়েছে। শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও নির্বাচনে অংশ নেয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে মওদুদ বলেন, এ নির্বাচনে একটি ঐক্য প্রয়োজন। ড. কামাল হোসেনকে বলেছি আপনি এগিয়ে আসুন, ১৬ কোটি মানুষের নেতৃত্ব দিন। এরপর ড. কামাল আসলেন, নেতৃত্ব দিলেন। তাই নির্বাচনের অংশ হিসেবেই এই নির্বাচনে এলাম। অথচ সেই নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপির নেতা কর্মীরা যখন শোডাউন নিয়ে মনোনয়ন ফর্ম নিতে আসল তখন হেলমেট পরে ছাত্রলীগ-যুবলীগ দিয়ে তাদের ওপর হামলা চালানো হলো। তাদের এই হামলা নির্বাচনকে ঘিরে আমাদের যে গতি তা নিবারণের জন্য। তবুও আমরা নির্বাচনে আছি এবং থাকব। ধানের শীষের জোয়ারে নৌকা ভেসে যাবে। সমাবেশে উপস্থিত বক্তাদের আলোচনা থেকে গৃহীত ১১টি সিদ্ধান্ত তুলে ধরেন জাতীয় আইনজীবী ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক এ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। সিদ্ধান্তগুলো হলো, ১. বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ২. খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সকল ফরমায়েশি সাজা বাতিল ৩. বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সাজানো মিথ্যা মামলাসহ সকল রাজনৈতিক সাজা বাতিল ৪. জামিনযোগ্য অপরাধে আগত বিচারপ্রার্থীরা বিচার থেকে বঞ্চিত ৫. মাসদার হোসেন মামলার আলোকে গেজেট সংশোধন ৬. প্রভাবমুক্ত থেকে নির্বাচন কমিশনকে দায়িত্ব পালনের আহ্বান ৭. দেশের আইনজীবী ও বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি, ভুয়া এবং রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার ৮. দেশের আইনজীবী ও বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের মুক্তি ৯. বাক স্বাধীনতা হরণকারী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ সহ সকল কালো আইন বাতিল ১০. একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম-এর ব্যবহার স্থগিত, সংবাদকর্মীদের ভোটকেন্দ্রে সংবাদ পরিবেশনে বিধি নিষেধ আরোপ বাতিল এবং বিচারিক ক্ষমতাসহ সেনাবাহিনী মোতায়ন এবং ১১. মানবাধিকার সাংবিধানিক ‘অধিকার’ রক্ষা করতে হবে। বগুড়া আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘আমরা আপনাদের কাছ থেকে নির্দেশনা নিয়ে যেতে চাই শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে থাকার। অনেক ষড়যন্ত্র-নির্যাতন হবে, তবু নির্বাচনের মাঠ ছেড়ে দেব না। আমাদের শেষ পর্যন্ত প্রতিটি কেন্দ্র পাহারা দিতে হবে, যাতে আমাদের বিজয় কেউ কেড়ে নিতে না পারে। চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সভাপতি নিজাম উদ্দিন চৌধুরী নিজের মনোনয়নের দাবি তোলেন।
×