ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আওয়ামী লীগের আস্থা জরিপের ওপর ;###;বিএনপিতে এলাকা ধরে রাখা নেতার সঙ্গে নতুন আসা ও পলাতক নেতার দ্বন্দ্ব

নির্বাচনে নতুন রেকর্ড ॥ ১২ হাজারের বেশি মনোনয়ন পত্র বিক্রি

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ১৮ নভেম্বর ২০১৮

নির্বাচনে নতুন রেকর্ড ॥ ১২ হাজারের বেশি মনোনয়ন পত্র বিক্রি

উত্তম চক্রবর্তী/শরীফুল ইসলাম ॥ আজকাল সবকিছুতেই রেকর্ড হয়। আবার রেকর্ড গড়ে ইতিহাসে নাম লেখাতে কতই না চেষ্টা-কসরত চলে দেশে-বিদেশে। কিন্তু নির্বাচনে মনোনয়ন নিয়ে ইতিহাস বা রেকর্ড সৃষ্টি বাংলাদেশে এই প্রথম। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পর এবারই প্রথম ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। দীর্ঘদিন মানি না, মানব না বললেও সব শঙ্কা-উদ্বেগ-অনিশ্চয়তা কাটিয়ে সব রাজনৈতিক দলই দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন মেনে নিয়েই নেমে পড়েছে নির্বাচনীযুদ্ধে। সেই সঙ্গে গড়েছে দেশের ইতিহাসে দলগুলোর মনোনয়নপত্র বিক্রির নতুন রেকর্ড। সঠিক কোন পরিসংখ্যান না থাকলেও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ইতিহাসবিদদের মতে, বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে মাত্র তিনশ’ আসনের বিপরীতে রাজনৈতিক দলগুলোর মনোনয়নপ্রত্যাশীর সংখ্যা প্রায় ১২ হাজারের কাছাকাছি যাওয়ার ঘটনা দেশের ইতিহাসে অবশ্যই রেকর্ড। তবে অন্যান্য দেশের পরিসংখ্যান না থাকায় নির্বাচনের ক্ষেত্রে এটিই বিশ্ব রেকর্ড কিনা তা বলা সম্ভব হচ্ছে না। তবে দেশের স্বাধীনতার ৪৭ বছরের ইতিহাসে মনোনয়ন বিক্রিতে রেকর্ড গড়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। অঙ্কের হিসাবে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রতিটি আসনে প্রায় ৪০ জন। স্বাধীনতার পর অনুষ্ঠিত গত ১০টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এত মনোনয়নপ্রত্যাশীর ছড়াছড়ি অতীতে কখনও দেখা যায়নি। নির্বাচনে দাঁড়ানো গণতান্ত্রিক অধিকার বলা হলেও এমন রেকর্ডসংখ্যক মনোনয়নপ্রত্যাশী হওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ও দুর্বলতারই বহিঃপ্রকাশ বলেও মনে করছেন রাজনীতির সংশ্লিষ্টরা। সব দলের অংশগ্রহণে একাদশ জাতীয় নির্বাচন হবে কিনা, মাত্র ক’দিন আগেও এ নিয়ে ছিল নানা শঙ্কা, প্রশ্ন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সংলাপের পর উবে গেছে সব শঙ্কা। একাদশ জাতীয় নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলই এখন নির্বাচনমুখী। সবশেষ হিসাব অনুযায়ী, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মোট মনোনয়নপ্রত্যাশীর সংখ্যা ৪ হাজার ২৩ জন। অর্থাৎ প্রতি আসনে দলটির মনোনয়নপ্রত্যাশীর সংখ্যা ১৩ জন। শনিবারের রাতের হিসাব অনুযায়ী, দশম জাতীয় নির্বাচন বর্জনকারী বিএনপিতে তিনশ’ আসনের বিপরীতে মনোনয়নসংগ্রহ করেছেন ৪ হাজার ৫৮০। এ দলটির প্রতি আসনে প্রার্থীর সংখ্যা ১৫ জন। বর্তমান সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টিও মনোনয়ন বিক্রিতে রেকর্ড করেছে। দলটি তিনশ’ আসনের বিপরীতে মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছে ২ হাজার ৮৬৫টি। এ দলটিরও প্রতি আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ১০ জন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির বাইরেও জোট-মহাজোট-ঐক্যফ্রন্ট-যুক্তফ্রন্টসহ নানা নামে নির্বাচনে অংশ নেয়া অন্যান্য দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীর সংখ্যাও অবাক করার মতো। হাতেগোনা ১০-১৫ আসনেও বিজয়ী হওয়ার মতো যোগ্য প্রার্থী না থাকলেও এসব দল মনোনয়ন বিক্রি করেছে শত শত। জানা গেছে, বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে আসা ঐক্যফ্রন্টের অন্য দলগুলোতে মনোনয়নপ্রত্যাশীর সংখ্যা দেড় শতাধিক ছাড়িয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটে আসা যুক্তফ্রন্ট, ইসলামী ঐক্যজোটসহ অন্য দলগুলোও দলীয়ভাবে এক থেকে দেড়শ’ মনোনয়নপ্রত্যাশীর কাছে মনোনয়ন ফরম বিতরণ করেছে বলে জানা গেছে। এছাড়া বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, সাম্যবাদী দল, কমিউনিস্ট কেন্দ্রসহ বাম রাজনৈতিক দলগুলো এবং জাতীয় পার্টি জেপিসহ অন্যান্য দল মিলিয়ে প্রায় শতাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছে বলে তাদের দাবি। সব রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন ফরম বিক্রির হিসাবগুলো মিলিয়ে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি শুধু বড় এই তিন রাজনৈতিক দলেরই মনোনয়নপ্রত্যাশীর সংখ্যা ১১ হাজার ৪৬৭ জন। এ ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ থেকে এগিয়ে রয়েছে আগে নির্বাচন বর্জনকারী দল বিএনপি। আওয়ামী লীগ ৪ হাজার ২৩ জন মনোনয়নপ্রত্যাশীর বিপরীতে বিএনপি মনোনয়ন বিক্রি করেছে ৪ হাজার ৫৮০টি। এছাড়া ঐক্যফ্রন্ট, যুক্তফ্রন্ট, বাম গণতান্ত্রিক জোট, ১৪ দল, জাতীয় পার্টি জেপি, ইসলামী দলগুলো এবং নিবন্ধন হারানো জামায়াতসহ নির্বাচনে আসা সব রাজনৈতিক দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীর সংখ্যাও কম-বেশি ৫শ’র কাছাকাছি। সব রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন ফরম বিক্রির হিসাব যোগ করলে তা প্রায় ১২ হাজারের কাছাকাছি গিয়ে পৌঁছায়। স্বাধীনতার ৪৭ বছরের ইতিহাসে এটি একটি বিরল ঘটনা বলেই মনে করা হচ্ছে। নিজ দল আওয়ামী লীগের বিপুল সংখ্যেক মনোনয়নপ্রত্যাশী এবং একেকটি আসনে ৫২ থেকে শুরু করে ৩০ জন পর্যন্ত প্রার্থী থাকার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। গত বুধবার সকল মনোনয়নপ্রত্যাশীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী আক্ষেপ করে বলেন, একটি আসনে দল থেকে ৫২ জন প্রার্থী হয়েছেন। আবার কোথাও ৩০, কোথাও ২০ আবারও কোথাও কোথাও ১০-১৫ জনও প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছেন। এটি একটি অশুভ লক্ষণ। এটা নিশ্চয়ই ওইসব এলাকার নেতৃত্বের ব্যর্থতা। ওই এলাকার নেতৃত্বে থাকা নেতা-এমপিরা সবাইকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন। নাহলে এতজন প্রার্থী হন কীভাবে? এসব আসনে যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে উঠছে না। তাই আপনারা যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে তুলুন, বিভেদে জড়াবেন না। আর এত বিপুলসংখ্যক মনোনয়নপ্রত্যাশীর মধ্যে থেকে একজনকে বাছাই করাও বেশ কঠিন। এ ব্যাপারে তিনি স্পষ্ট করেই বলে দিয়েছেন, জনপ্রিয় ও জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিরাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবেন। আমি একটা জিনিস লক্ষ্য করেছি, ইতোমধ্যে দেখা যায় কেউ কেউ স্বপ্রণোদিত হয়ে প্রার্থী হয়ে গেছেন। আর প্রার্থী হয়ে তারা বক্তব্যে রাখতে গিয়ে বিএনপি যে লুট করেছে, সেসব কথা বলছেন না। সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ-অগ্নিসন্ত্রাস-নাশকতা বিএনপি সৃষ্টি করেছে সে কথাও বলছেন না। তাদের বক্তব্যে এসে যায় আওয়ামী লীগের এমপির বিরুদ্ধে, সংগঠনের বিরুদ্ধে। এটি সহ্য করা হবে না। দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষেই ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে কাজ করতে হবে। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্যকারীদের আওয়ামী লীগের ঠাঁই হবে না। অন্যদিকে বিপুল সংখ্যক মনোনয়নপ্রত্যাশী সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক সেনা প্রধান লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে সবচেয়ে বেশি মনোনয়ন ফরম ক্রয় করেছেন বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। আর এতেই প্রমাণ হয় বিএনপি দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল। মুখে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুললেও বাস্তবে বিএনপির হাইকমান্ডেও এত বিপুলসংখ্যক মনোনয়নপ্রত্যাশী দেখে তাদের কপালে ফুটে উঠছে চিন্তার বলিরেখা। দলটির অনেক সিনিয়র নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘ প্রায় ১০টি বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে। আর গত নির্বাচন বর্জনের পর দলের নেতাকর্মীরা এখন অনেকটাই কোণঠাসা। দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকার কারণেই আগামী নির্বাচনে কেউ কাউকে ছাড় দিতে চাইছেন না। অন্যদিকে ‘গোদের ওপর বিষফোঁড়া’ হিসেবে দেখা দিয়েছে ঐক্যফ্রন্টের বিপুলসংখ্যক নেতাকে আসন ছেড়ে দেয়ার চাপ। এ নিয়েও বেশ বেকায়দাতেই রয়েছে বিএনপি। তাদের মতে, দলের দুঃসময়ে দলের যেসব সাবেক মন্ত্রী-এমপিরা এলাকার নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়াননি, কেউ বিদেশে পালিয়ে গেছেন, আবার কেউবা পাঁচটি বছর এলাকাতেই যাননি। নির্বাচন আসায় তারা আবার সরব হয়েছেন, প্রার্থিতার দাবি করছেন। আর ওই দুঃসময়ে এলাকায় থেকে যেসব প্রার্থী নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, দলকে টিকে রেখেছেন তারা কোনভাবেই দুঃসময়ে পালিয়ে থাকা মন্ত্রী-নেতাদের এমপি পদে ছাড় দিতে চান না। এ নিয়ে নির্বাচনের আগেই দলটির মধ্যে নানা দ্বন্দ্ব-বিবাদ ও বিভেদের সৃষ্টি হয়েছে। ঐক্যফ্রন্ট ও জোটের শরিকদের বিপুলসংখ্যক আসন ছেড়ে দিতে গেলে দলেই অনেক যোগ্য ও জনপ্রিয় নেতা মনোনয়ন থেকে বাদ পড়ে যাবেন। বাদ পড়া নেতারা শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মেনে নেবে কি না, এ নিয়েও বিএনপির নীতিনির্ধারকরা পড়েছেন অস্বস্তিতে। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগেও রয়েছে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের ছড়াছড়ি। মাত্র একটি আসনে অর্থাৎ বরগুনা-১ আসনে ৫২ জনের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের ঘটনাও দেশের ইতিহাসে রেকর্ড গড়েছে। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে ৪০টি, কক্সবাজার-২ আসনে ২৬টি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে ২০টি, ঝিনাইদহ-২ আসনে ২৬টি, কুড়িগ্রাম-৪ আসনে ৩০টি, সুনামগঞ্জ-১ আসনে ১৫টি এবং নেত্রকোনা আসনে ২৬টি মনোনয়নপ্রত্যাশী দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। প্রতিটি আসনে প্রার্থিতার ছড়াছড়ির বিষয়টিও ভাল চোখে দেখছেন না আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা। ইতোমধ্যে দলের পক্ষ থেকে প্রার্থীদের স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, নৌকা যার, সবাই তার। কেউ দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করলে রক্ষা নেই। তাৎক্ষণিক আওয়ামী লীগ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে, আর কোনদিন দলে ফিরিয়ে নেয়া হবে না। আর মনোনয়ন ফরমের অঙ্গীকারনামাতেও এ বিষয়টি স্পষ্টভাবে উল্লেখ ছিল। এই কঠোর অঙ্গীকারনামা মেনেই আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা স্বাক্ষর করে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার কাছে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। বিপুলসংখ্যক মনোনয়নপ্রত্যাশীর মধ্যে থেকে একক প্রার্থী বাছাই করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড প্রায় প্রতিদিনই বৈঠকে বসছে। ইতোমধ্যে বেশকিছু আসনে একক প্রার্থিতা চূড়ান্তও করেছে দলটি। জানা গেছে, প্রথম দিকে তিনশ’ আসনেই দলের মনোনয়ন চূড়ান্ত করবে দলটি। এরপর জোট-মহাজোটের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির পর যেসব আসন শরিকদের ছেড়ে দেয়া হবে, সেসব আসনে দলের প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয়া হবে। এ ব্যাপারে শনিবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকালের মধ্যেই আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের তিনশ’ আসনে প্রার্থীদের চূড়ান্ত হবে। শরিকদের ৬৫ থেকে ৭০টি আসন দেবে আওয়ামী লীগ। এক সপ্তাহের মধ্যে কোন দলকে কত আসন দেয়া হবে তা চূড়ান্ত করা হবে। তবে শরিক দলের প্রার্থী যদি বিজয় নিশ্চিত করতে পারে তাহলে সেসব আসনও ছেড়ে দেবে আওয়ামী লীগ। প্রসঙ্গত, গত ৮ নবেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন দলের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার সন্ধ্যায় পুনঃনির্ধারিত তফসিল প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পুনঃতফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২৮ নবেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন ২ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ ডিসেম্বর এবং ভোটের দিন ৩০ ডিসেম্বর।
×