ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

রোমাঞ্চের অপেক্ষায় ক্যান্ডি টেস্ট

প্রকাশিত: ০৭:১৯, ১৭ নভেম্বর ২০১৮

 রোমাঞ্চের অপেক্ষায় ক্যান্ডি টেস্ট

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ক্যান্ডি টেস্টে দু’দল এগোচ্ছে সমানে সমান। ইংল্যান্ডের ২৯০’র জবাবে প্রথম ইনিংসে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ছিল ৩৩৬। শুক্রবার তৃতীয়দিন শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ইংলিশরা করেছে ৩২৪। সবমিলিয়ে সফরকারীদের লিড ২৭৮ রান। ক্যান্ডির পিচে বল যেভাবে ঘুরছে তাতে চতুর্থ ইনিংসে তিন শ’র কাছাকাছি রান করা সবসময়ই কঠিন। কারণ দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের পতন হওয়া ৯ উইকেটের ৬টিই নিয়েছেন ডানহাতি অফস্পিনার আকিলা দনঞ্জয়া। ব্যতিক্রম কিছু না ঘটলে শেষ দু’দিনে ক্যান্ডি টেস্টের ফয়সালা হতে পারে রোমাঞ্চ ছড়িয়ে। গলে গ্রেট রঙ্গনা হেরাথের বিদায়ী টেস্টে বিশাল হারে তিন ম্যাচের সিরিজে পিছিয়ে লঙ্কানরা। তার ওপর ইনজুরিতে ছিটকে গেছেন নিয়মিত অধিনায়ক দীনেশ চান্দিমাল। সুতরাং সিরিজে টিকে থাকতে সুরাঙ্গা লাকমলের নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কাকে এখানে জিততেই হবে। ৪৬ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছিল সিরিজে ১-০তে এগিয়ে থাকা ইংল্যান্ড। সেটি শোধ দিয়ে ২৭৮ রানের লিড। হাতে আরও একটি উইকেট। শেষ উইকেটে আর কত রান যোগ করতে পারবে সেটা শনিবার সকালেই জানা যাবে। তবে দিনশেষে অপরাজিত থাকা ফোকস-এ্যান্ডারসন জুটি চতুর্থ দিনে যদি আর কোন রান যোগ করতে নাও পারে তাহলেও জয় স্বপ্ন দেখতে পারবে ইংল্যান্ড। কারণ শ্রীলঙ্কা দলের যে নড়বড়ে অবস্থা তাতে ম্যাচের চতুর্থ ইনিংসে ২৭৮ রান করে জেতাটা তাদের জন্য কঠিনই হবে। ইংলিশদের এই জয়স্বপ্ন তৈরি করে দেয়ার নায়ক অধিনায়ক জো রুট। একপ্রান্ত আগলে রেখে তিনি তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ১৫তম টেস্ট সেঞ্চুরি। আউট হয়েছেন ১২৪ রান করে। সঙ্গে ওপেনার রয় বার্নস ও ফোকসের অপরাজিত হাফ সেঞ্চুরি ইংল্যান্ডকে এই ভরসার জায়গায় নিয়ে এসেছে। বার্নস করেছেন ৫৯ রান। ফোকস অপরাজিত আছেন ৫১ রান করে। শুরুতেই অবশ্য উইটেক হারিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড। দলকে ৪ রানে রেখে বিদায় নেন জ্যাক লিচ। বার্নস ও জেনিংস শুরুর সেই ধাক্কা সামলান দ্বিতীয় উইকেটে ৭৩ রানের জুটি গড়ে। কিন্তু এরপরই মোড়ক লাগে ইংল্যান্ড ইনিংসে। ৭৭ থেকে ১০৯- ৩২ রানের মধ্যেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে। একে একে ফিরে যান জেনিংস, বার্নস ও বেন স্টোকস। জেনিংস করেন ২৬ রান। বেন স্টোকস ফেরেন ডাক মেরে। ১০৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ড তখন রীতিমতো কাঁপছে। ঠিক তখনই দলের হাল ধরেন ‘নেতা’ রুট। সঙ্গী হিসেবে পান বান ও ফোকসকে। ধীরে ধীরে খাদ থেকে টেনে তোলেন দলকে। আলোর স্বল্পতায় প্রায় একঘণ্টা আগে দিনের খেলা শেষ হয়। স্কোর \ ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংস \ ২৯০/১০ (৭৫.৪ ওভার; বার্নস ৪৩, জেনিংস ১, স্টোকস ১৯, রুট ১৪, বাটলার ৬৩, মঈন ১০, ফোকস ১৯, কুরান ৬৪, রশিদ ৩১, লিচ ৭, এ্যান্ডারসন ৭*; লাকমল ১/৪৪, দিলরুয়ান ৪/৬১, পুষ্পকুমারা ৩/৮৯, ধনঞ্জয়া ০/৪, দনঞ্জয়া ২/৮০) ও দ্বিতীয় ইনিংস \ ৩২৪/৯ (৭৬ ওভার; লিচ ১, বার্নস ৫৯, জেনিংস ২৬, রুট ১২৪, স্টোকস ০, বাটলার ৩৪, মঈন ১০, ফোকস ৫১*, কুরান ০, রশিদ ২, এ্যান্ডারসন ৪*; দিলরুয়ান ২/৮৭, পুষ্পকুমারা ১/৯৭, দনঞ্জয়া ৬/১০৬, ধনঞ্জয়া ০/৬, লাকমল ০/১৪)। শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংস: ৩৩৬/১০ (১০৩ ওভার; করুনারতেœ ৬৩, পুষ্পকুমারা ৪, ধনঞ্জয়া ৫৯, কুসল মেন্ডিস ১, ম্যাথুস ২০, রোশেন ৮৫, দিকওয়েলা ২৬, দিলরুয়ান ১৫, দনঞ্জয়া ৩১, লাকমল ১৫*; এ্যান্ডারসন ০/৪০, কুরান ০/১৯, লিচ ৩/৭০, মঈন ২/৮৫, রশিদ ৩/৭৬, রুট ১/২৬, স্টোকস ০/৯)। ** তৃতীয়দিন শেষে
×