ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ছোটনের ব্যাখ্যা ও আশা...

প্রকাশিত: ০৭:১৬, ১৭ নভেম্বর ২০১৮

ছোটনের ব্যাখ্যা ও আশা...

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অলিম্পিক বাছাইপর্ব খেলে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। দুই ম্যাচে হার ও ১টিতে ড্র, এই ছিল লাল-সবুজদের পারফর্মেন্স। এই নৈপুণ্যে আর যাই হোক, বেশিদূর এগোনো যায় না। বাংলাদেশের বেলাতেও তাই হয়েছে, তারা ছিটকে পড়েছে প্রথম রাউন্ড থেকেই। এই আসরে প্রথম দুই ম্যাচে বড় ব্যবধানে হারের পর বাংলাদেশ দলের সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এর যৌক্তিক ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করেছেন দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। জনকণ্ঠের সঙ্গে একান্ত আলাপনে তিনি জানান, ‘আমাকে নিয়ে ঢাকার গুটিকয়েক গণমাধ্যমে যে সমালোচনা করছে, অপসারণ চাচ্ছে, তারা কি জানে না আমার দলের ৯৯ শতাংশ খেলোয়াড়ই জুনিয়র বা অল্প বয়সের (১৮’র মধ্যে)? এক সাবিনা ছাড়া আমাদের দ্বিতীয় কোন সিনিয়র খেলোয়াড় নেই। অথচ প্রতিপক্ষ দলগুলোর খেলোয়াড়দের বয়স ২৬ থেকে ৩৬-এর মধ্যে। শারীরিক অবয়ব, শক্তিমত্তা এবং অভিজ্ঞতায় তারা আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে। মিয়ানমার, ভারতের ফিফা র‌্যাঙ্কিং আছে। আমাদের কোন র‌্যাঙ্কিংই নেই। তাহলে বলুন আমাদের দলের কাছ থেকে কিভাবে জয়ের আশা করেন? তাছাড়া দেশ ছাড়ার আগে আমি কিন্তু মোটেও বলিনি আমরা চ্যাম্পিয়ন হব বা কোয়ালিফাই করব। বরং বলেছিলাম আমরা মিয়ানমার যাচ্ছি শিখতে, অভিজ্ঞতা অর্জন করতে।’ ছোটন আরও যোগ করেন, ‘আমাদের এই মেয়েরাও অবশ্যই জিতবে, ভাল ফল করবে। তবে এখনই নয়। এ জন্য সিনিয়র লেভেলে ওদের ৩-৪ বছরের সময় দিতে হবে পরিপক্ব ও অভিজ্ঞ হওয়ার জন্য। এখনই তাদের কাছ থেকে রেজাল্ট আশা করা বোকামি ও অন্যায় হবে। এই ব্যাপারটা সবার বোঝা উচিত।’ ছোটন আরও জানিয়েছেন ছোট ছোট ভুল আর বয়সের পার্থক্যেই ছিল বড় হারের কারণ। কিন্তু শেষ ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে ড্র’টি নতুন ইতিহাস বাংলাদেশের জন্য। সেই উদ্যমে আসন্ন টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে শনিবার থেকে আবারও ক্যাম্প শুরু হতে যাচ্ছে মেয়েদের। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল মিয়ানমার। ওই ম্যাচ প্রসঙ্গে ছোটন বলেন, ‘ওই ম্যাচে মেয়েরা অনেক ভাল খেললেও ছোট ছোট অনেক ভুল করেছে। রূপনা চাকমা সারাক্ষণ ভাল খেলে ৩৯ মিনিটে বাজে একটা কর্নার থেকে গোল রিসিভ করেছে। আঁখি দুই মিনিট বাকি ওয়ান টু ওয়ান কাটাতে গিয়ে গোল রিসিভ করেছে।’ পরের ম্যাচ ছিল ভারতের বিরুদ্ধে। ‘ভারতের ম্যাচে শুরুটা ছিল খুব ভাল। ১৫ মিনিটে মাসুরার ভুলে পেনাল্টি হওয়াতে এরপরই খাপছাড়া হয়ে গেছে। তাদের বালা আর কমলা দু’জনেই ম্যাচটা ঘুরিয়ে দিয়েছিল।’ ছোটনের ভাষ্য। তৃতীয় ম্যাচ ছিল নেপালের বিরুদ্ধে। ‘মাত্র একদিন রিকভারি করেই নেপালের সঙ্গে সমানতালে খেলেছে আমাদের মেয়েরা। আমরা ড্র করেছি। ওই ম্যাচে মনিকার শট ক্রসবারে না লাগলে আমরা জিততেও পারতাম। আমরা এই প্রথম তাদের বিপক্ষে ড্র করেছি। এর আগে সবই হার ছিল। আমি বলব মেয়েরা এখানে উন্নতির ছাপ রেখেছে।’ সবশেষে ছোটন জানান, ফেব্রæয়ারিতে মিয়ানমারে এএফসি অনুর্ধ-১৬ আসরের বাছাইপর্ব আছে। এছাড়া সিনিয়র সাফ ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারিতে হতে পারে। এই টুর্নামেন্টকে সামনে রেখেই আবারও প্রস্তুতি শুরু করে দেবে বাংলাদেশের মেয়েরা। ইতোমধ্যে ক্যাম্পে চলেও এসেছে মেয়েরা। শুক্রবার বিশ্রাম নিয়ে শনিবার থেকে আবারও নতুন উদ্যমে প্রস্তুতি শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশের মেয়েরা।
×