ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বগুড়ায় ছাত্রকে হত্যার পর লাশে আগুন

প্রকাশিত: ০৬:৫৮, ১৭ নভেম্বর ২০১৮

বগুড়ায় ছাত্রকে হত্যার পর লাশে আগুন

স্টাফ রিপোর্টার, অফিস ॥ সারিয়াকান্দি উপজেলায় নাঈম ইসলাম (২০) নামে এক কলেজ ছাত্র নৃশংসভাবে খুন হয়েছে। সে শহরের একটি বেসরকারী পলিটেকনিক কলেজের টেক্সটাইল বিভাগের শিক্ষার্থী। জবাই ও ছুরিকাঘাত করে হত্যার পর তার মুখমন্ডল পুড়িয়ে দেয় খুনীরা। শুক্রবার সকালে সারিয়াকান্দি উপজেলা সদরের কাঁচাবাজার সংলগ্ন একটি গলিতে তার লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নাঈমের ৫ বন্ধুকে আটক করেছে। পুলিশ জানায়, নাঈম গাবতলি উপজেলার গোলাবাড়ি এলাকায় মরিয়া গ্রামের ইন্তেজার রহমানের ছেলে। বৃহস্পতিবার সকালে সাব্বির নামে এক বন্ধুর সঙ্গে মোটরসাইকেল নিয়ে সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। এর পর সে আর বাড়ি ফিরেনি। মোটরসাইকেলটিও খোঁজ পাওয়া যায়নি। শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে সারিয়াকান্দি উপজেলা সদরের কাঁচাবাজার সংলগ্ন দুটি দোকানের মাঝে সরু একটি গলিতে তার লাশ পাওয়া যায়। ছুরিকাঘাত ও জবাই করে হত্যার পর হত্যাকারীরা তার মুখসহ শরীর পলিথিন দিয়ে মুড়িয়ে আগুন দেয়। এতে তার মুখমন্ডল সর্ম্পূন পুড়ে যায়। লাশ উদ্ধারের পর পরিবারের লোকজন তাকে শনাক্ত করে। পুলিশের ধারণা অন্য কোথাও হত্যার পর নাঈমকে সেখানে ফেলে দিয়ে মুখমন্ডল পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। যশোরে প্রতিবন্ধী দোকানি স্টাফ রিপোর্টার যশোর অফিস থেকে জানান, যশোর শহরের জামরুলতলা এলাকায় কামাল হোসেন বাবু (৪৫) নামের এক প্রতিবন্ধী দোকানিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ভেতর থেকে মুখ ও হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়। দোকান থেকে নগদ টাকা ও মালামাল নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত কামাল যশোর সদরের তরফ নওয়াপাড়া এলাকার মৃত শাহাদত ফকিরের ছেলে। নিহতের ভাই আব্দুর রহিম বলেন, ‘ভোরে ভাইকে হত্যা করা হয়েছে এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। পরে পুলিশকে খবর দেয়া হয়।’ তিনি জানান, কামাল হোসেন বাবুর জন্ম থেকেই পা দুটি বাঁকা। তিনি জামরুলতলা ‘স’ মিলের পাশে মুদি দোকানের পাশাপাশি চায়ের দোকান চালাতেন। এছাড়া স্থানীয় কয়েকজন মিলে টাকা জমা করে নির্দিষ্ট একটি দিনে লটারির মাধ্যমে সেই টাকা একজনকে দেয়ার দায়িত্বে ছিলেন। স্থানীয় ভাষায় একে ‘সিরিয়াল’ বলে। বৃহস্পতিবার সেই সিরিয়ালের লটারির দিন ছিল এবং তার কাছে এক লাখ টাকার মতো ছিল। স্থানীয় তালবাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই সাহাবুল আলম জানান, পুলিশ এসে কামালের মরদেহ দোকানের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে। তার মুখ স্কচটেপ দিয়ে আটকানো ছিল। এছাড়া হাত-পা বাঁধা ছিল। টেকনাফে ইয়াবা কারবারি সংবাদদাতা টেকনাফ থেকে জানান, টেকনাফে বেলাল উদ্দিন নামে শীর্ষ ইয়াবা কারবারির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোরে মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছরার বড় ডেইল এলাকায় এক ব্যক্তির লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসলে এটি হ্নীলা হোয়াকিয়া পাড়ার নূর আহমদের পুত্র শীর্ষ ইয়াবা কারবারি বেলাল বলে শনাক্ত করে প্রতিবেশীরা। স্থানীয় অনেকে জানায়, কয়েক বছর ধরে কক্সবাজার শহরে অবস্থান করে ফলের দোকানের আড়ালে ইয়াবা কারবার করে আসছিল ওই বেলাল। খাগড়াছড়িতে যুবক পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি খাগড়াছড়ি থেকে জানান, দীঘিনালায় নিখোঁজের পাঁচদিন পর এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত যুবকের নাম আজগর আলী। তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগর এলাকায়। শুক্রবার সকালে দীঘিনালার ছোট মেরুং বিবাড়িয়া পাড়ার জঙ্গল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানায়, নিহত যুবক গত রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে দীঘিনালায় খালার বাড়িতে বেড়াতে আসে। পরের দিন থেকে ওই যুবক নিখোঁজ হলেও স্বজনরা থানায় কোন অভিযোগ করেনি। শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা রাস্তার পাশের জঙ্গলে নিহতের লাশ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। কেরানীগঞ্জে যুবতী নিজস্ব সংবাদদাতা কেরানীগঞ্জ থেকে জানান, মায়ের সঙ্গে অভিমান করে স্বর্না আক্তার (২০) নামে এক যুবতী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে আমবাগিচা মালোপাড়ার একটি ভাড়া বাসা থেকে পুলিশ স্বর্নার লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার এসআই আশ্রাফুল আলম জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় স্বর্নার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছে। রাজশাহীতে বড়ভাই স্টাফ রিপোর্টার রাজশাহী থেকে জানান, ছোটভাইয়ের ধারালো হাঁসুয়ার কোপে বড়ভাই খুন হয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় নগরীর উপকণ্ঠ কাটাখালি থানার পূর্ব বেলঘরিয়া মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত তোয়াজ্জেম হোসেন ওরফে নান্টু (৩২) একই এলাকার তোতা মন্ডলের ছেলে। পুলিশ জানায়, সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে ছোটভাই তরিকুল ইসলাম ওরফে টেন্টু (২৮) বড়ভাই নান্টুকে ধারালো হাঁসুয়া দিয়ে কোপায়। এতে ঘটনাস্থলেই নান্টুর মৃত্যু হয়। নিহত নান্টুর বুক, পেট ও পিঠে গভীর আঘাত রয়েছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী ছোটভাই টেন্টুকে আটক করেন।
×