ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন উন

নতুন অত্যাধুনিক অস্ত্রের পরীক্ষা উত্তর কোরিয়ার

প্রকাশিত: ০৬:৪৫, ১৭ নভেম্বর ২০১৮

 নতুন অত্যাধুনিক অস্ত্রের পরীক্ষা উত্তর কোরিয়ার

সর্বাধুনিক প্রযুক্তির নতুন একটি যুদ্ধাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালানোর কথা জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির শীর্ষ নেতা কিম জং উন ওই পরীক্ষা কার্যক্রম পরিদর্শনও করেছেন। অস্ত্রটির খুঁটিনাটি না জানালেও রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ বলছে, এটি অনেকদিন আগেই মোতায়েন করা হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া নতুন এ অত্যাধুনিক অস্ত্রের বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছে। এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র বা অন্য কোন পশ্চিমা দেশের মন্তব্য জানা যায়নি। -খবর বিবিসির চলতি বছরের শুরুর দিকেই উত্তর কোরিয়া তাদের পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ কর্মসূচী স্থগিত করেছিল। ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ কোরিয়ার পিয়ংচ্যাংয়ে শীতকালীন অলিম্পিক থেকেই দুই কোরিয়ার সম্পর্কে উষ্ণতা ফেরতে শুরু করে। যার ধারাবাহিকতায় জুনে সিঙ্গাপুরে এক ঐতিহাসিক বৈঠকে ট্রাম্প ও কিম কোরীয় উপদ্বীপকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করারও ঘোষণা দেন। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ওয়াশিংটন ও পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে আলোচনায় স্থবিরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ট্রাম্প ও কিমের মধ্যে দ্বিতীয় আরেকটি শীর্ষ বৈঠক আয়োজনের বিষয়ে চলতি সপ্তাহে দুই দেশের মধ্যে একটি বৈঠকের পরিকল্পনা থাকলেও সেটি হয়নি বলে জানিয়েছে বিবিসি। সিঙ্গাপুরের বৈঠকের পর উত্তর কোরিয়া তাদের একটি পারমাণবিক পরীক্ষা কেন্দ্র ও রকেট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র ধ্বংস করে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র তাদের ওপর থেকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে এ ধরনের আরও কেন্দ্র ভেঙ্গে ফেলারও ইঙ্গিত দিয়েছে তারা। জুনের ওই ঐতিহাসিক বৈঠকের পর উত্তর কোরিয়া ও তাদের নেতাকে নিয়ে মার্কিন কর্মকর্তাদের প্রশংসা শোনা গেলেও ওয়াশিংটন আগের নিষেধাজ্ঞাগুলো বহালই রেখেছে। পিয়ংইয়ং গোপনে অন্তত ২০টি ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটির কাজ চালাচ্ছে বলেও চলতি মাসে ওয়াশিংটন ডিসিভিত্তিক একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক দাবি করেছে। ওই গোপন ঘাঁটিগুলোর মধ্যে ১৩টিকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলেও দাবি তাদের। সিউল ও ওয়াশিংটনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা ওই ঘাঁটিগুলোর বিষয়ে আগে থেকেই জানতেন। এগুলোকে ট্রাম্প-কিম চুক্তির বরখেলাপ হিসেবে দেখা হচ্ছে না বলেও ইঙ্গিত দেন তারা। সর্বাধুনিক প্রযুক্তির নতুন এ অস্ত্র উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ‘দুর্ভেদ্য’ করে তুলবে ও সেনাবাহিনীর যুদ্ধ ক্ষমতা অনেকগুণ বাড়িয়ে দেবে, পরিদর্শন শেষে কিম এমনটা বলেছেন বলেও জানিয়েছে কেসিএনএ। এক বছর আগে ২০১৭ সালের নবেম্বরে হোয়াসং-১৫ আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা সময় এর উৎক্ষেপণ কেন্দ্রে ছিলেন কিম। এরপর এটাই তার কোন অস্ত্র পরিদর্শনের আনুষ্ঠানিক খবর, বলছে দক্ষিণ কোরিয়ার পুনরেকত্রীকরণ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। নতুন এ ‘অত্যাধুনিক অস্ত্র’ ক্ষেপণাস্ত্র বা বড় কোন মারণাস্ত্র না হয়ে সাধারণ কোন অস্ত্র হতে পারে বলেও ধারণা তাদের। ক্ষেপণাস্ত্রের বেলায় উত্তর কোরিয়া সাধারণত ‘কৌশলগত অস্ত্র’ পরিভাষাটি ব্যবহার করে, এবার কেসিএনএ-র ভাষ্যে তা ছিল না, বলছে দক্ষিণের এ পুনরেকত্রীকরণ মন্ত্রণালয়।
×