ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ট্রাম্পকে পররাষ্ট্র বিষয়ক হাউস কমিটির পরবর্তী চেয়ারম্যান

নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ তদন্তে বাধা সৃষ্টি করবেন না

প্রকাশিত: ০৬:৪৪, ১৭ নভেম্বর ২০১৮

 নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ তদন্তে বাধা সৃষ্টি করবেন না

মার্কিন হাউস ফরেন এ্যাফেয়ার্স কমিটির পরবর্তী চেয়ারম্যান ইলিয়ট এ্যাঞ্জেল বৃহস্পতিবার সতর্ক করেছেন, নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কূটনীতিতে ভুল ধরিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। ট্রাম্পের ভুল কূটনৈতিক পদক্ষেপের কারণে যুক্তরাষ্ট্র সারাবিশ্বের কাছে হাসির খোরাকে পরিণত হয়েছে। খবর এএফপির। ২০১৬ সালের নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ নিয়ে ইলিয়ট ক্ষোভ প্রকাশ করেন। যদি ট্রাম্প নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের বিষয়ে তদন্ত প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করে তা বন্ধ করার চেষ্টা করেন তবে ডেমোক্র্যাটিক নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি পরিষদ রাশিয়াকে শাস্তি দিতে প্রস্তুত রয়েছে। আমার মনে হয় যদি আমরা নিশ্চিত হই যে, আমাদের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করা হয়েছিল তাহলে আমি মনে করি একেবারে নিষেধাজ্ঞা দেয়া উচিত। আমি মনে করি এটি একটি সম্পূর্ণ নতুন কার্যক্ষেত্র। কেননা আমরা যে কংগ্রেসকে ছাড়ছি সেটি এমনই ছিল সংখ্যাগরিষ্ঠ রিপাবলিকানরা প্রেসিডেন্ট ছাড় দিতেন। তারা কোন প্রশ্ন করত না। এমনকি জিজ্ঞাসাও করত না। আমার মনোভাব যে, আমার দেশ ও আমার দলের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। হেলসিংকিতে রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পেছনে কি হয়েছে সে বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনকে জবাব দিতে হবে। অন্যান্য কূটনৈতিক বৈঠকের ব্যাপারেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। মুক্তবিশ্বে যুক্তরাষ্টকে অবশ্যই নেতৃস্থানীয় হতে হবে এবং এমন একটি দেশ হতে হবে যা মানুষ প্রত্যাশা করে। এখন তারা আমাদের দিকে তাকিয়ে নেই। আমরা এখন হাসির উদ্রেগ সৃষ্টি করি। আমরা এখানে, আমরা সেখানে, আমরা সবখানেই রয়েছি। সম্প্রতি ট্রাম্প টুইটারে ফরাসী প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেন সে সম্পর্কে ইলিয়ট বলেন, পুতিন আমাদের বন্ধু হয়ে উঠেছেন। অন্যদিকে ব্রিটেন, জার্মানি ও ফ্রান্স আমাদের প্রতিপক্ষ হয়েছেন। কানাডাও প্রতিপক্ষ হয়ে গেছে। মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণে আমরা যতœশীল হয়ে উঠেছি। এ ধরনের বোকামির জন্য সব বিষয়কেই আমরা এক করে ফেলছি। আমাদের এটি পরিবর্তন করতে হবে। তিনি একটি আরও মানবিক অভিবাসন নীতির জন্য চাপ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। কোন প্রকার অনুমতি ছাড়া ট্রাম্প প্রশাসনের নীতিমালায় অভিবাসী মা-বাবার কাছ থেকে যেভাবে শিশুদের আলাদা করা হচ্ছে তার বিরুদ্ধাচারণ করেন। প্রেসিডেন্ট পুরোপুরি ঘোরের মধ্যে আছেন যে ল্যাটিন আমেরিকার জনগণ এদেশে আসছে শুধু বিশ্বাসের জোরে। ইলিয়ট আরও বলেন, তিনি চেষ্টা করবেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দীর্ঘ সময়ের কর্মীদের মনোবল বাড়াতে যাতে তারা চাকরি ছেড়ে না দেন। এজন্য প্রয়োজন হলে তিনি তার ক্ষমতারও প্রয়োগ করবেন। অনেক ডেমোক্র্যাটের বিপরীতে ইলিয়ট ইসরাইলের একনিষ্ঠ সমর্থক। তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে ইরানের সঙ্গে পরমাণু সমঝোতার বিরোধিতা করেছিলেন। তবে এখন তিনি চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় ট্রাম্পের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ট্রাম্প চুক্তি থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিজেকে ইরানের চেয়ে একা করে ফেলেছে। ইউরোপ এখনও চুক্তির পক্ষে রয়েছে। ট্রাম্প মার্কিন পররাষ্ট্র নীতির ধারাবাহিকতা রক্ষা না করে বরং তাকে বিশৃঙ্খল করে ফেলছেন। যদি কোন দেশ আমাদের সঙ্গে চুক্তি করে তা ছেড়ে যায় ও পরবর্তী প্রেসিডেন্ট আসল এবং বিষয়টি উত্থাপিত হলো তাহলে কোন দেশগুলো আমাদের সঙ্গে এসব চুক্তি স্বাক্ষর করতে যাবে? কেননা তাদের জন্য কোন নিশ্চয়তা নেই।
×