ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রসূূতিকাল

প্রকাশিত: ০৭:৫৭, ১৬ নভেম্বর ২০১৮

প্রসূূতিকাল

অনেক সময় বিভ্রমে নিজকে আবিষ্কার করি। ছায়া-মায়া-কায়া! কে সত্য কে বাস্তব...। অদ্ভুত জিজ্ঞাসা! পাগল, উন্মাদ, না বেঘোর। ছায়া তো ছায়াই! তাকে কি বাস্তবতায় ধরা যায়-স্থিতি আছে? কায়া কী তার মধ্যে বাস করে। জানি না বুঝি না..., ছায়া হয়তো অশরীরীয়, প্রেতাত্মা অদ্ভুত একটা কিছু। কায়া ধ্বংসশীল, তাইতো অরুন্ধতী কোন চিহ্ন রাখেনি। বরঞ্চ কলেজ স্ট্রিটের মোড়ে মায়া দিয়ে আমায় দাঁড় করে রেখেছিল। নিজেকে খুব পরাজিত মনে হয়েছে। কই তোমার কায়াতো দেখতে পারছি না। কই যাবে কায়া... ছায়ায় মিলিয়ে গেল না তো? ‘সুদূরের ফানুস!’... এ আবার কেমন ভ্রম... কোথায় হারিয়ে যায়! বলতে পার কেউ...? বিস্তৃত বন ছায়ার মতো শুয়ে আছে। যায়নি কোথাও। ওই যে দেখছ না? কে ধাবমান। রোদের খেলায় যুদ্ধ বিমানগুলো বনভূতিতে ছায়া নিয়ে দৌড়ে যায়। আমি বংশীবাদককে ‘শুয়োর’ গালি দিতে শুনি। কায়া ফিরে আসে না। কায়াই ছায়ায় ডুব মেরে, মোহের অতলস্পর্শী ভুমে পুতুল খেলে, না ছায়ায় লুকিয়ে দহনকাল যাপন করে একজন মারিয়ানোর কায়া! কোন আঁধারে ক্রমাগত সন্তরণে প্রভাতে ছায়া কায়ায় রূপান্তরিত হয়ে ডাক দেয়, আমি পদ্মপুরের লতিকা বেগম। আবার কায়া লুকালে ছায়া হয়। ছায়ার কায়ার খেলায়- মায়া। আমি খেলোয়াড় নই? সত্য গঞ্জের হরিপদ। রাধারাণী, অপেক্ষা করে। আমি তার কাছই ফিরতে চাই। নিজকে চেন। আলো কই যে খেলবে! আঁধারে কি খেলা যায়, চেনা যায়? যায় না। তো? বাঁধন যে রয়েছে, ছুটবে কি করে? বড় মজবুত বাঁধন। মায়া...। তাই নাকি? মায়া কি আলেয়ার আলো! আলোর সঙ্গে অন্ধকারের সঘনিষ্ঠ কথোপকথন। খেলায়-মেলায় ভালোবাসার খুনশুটি। তারও অধিক জায়া-পুত্র- কন্যার ঊর্ণনাভ। প্রেমে অসংখ্য বিস্তার জুড়ে বাস। ছুটতে পারে না। জড়িয়ে থাকে। এবং থাকলেই দেখবে, মনের সঙ্গে মুক্তোর মিল হয়েছে মায়ার ঝিনুকে। ঝিনুক, আমাকে দিয়ে প্রণয়পত্র লিখে নেয়, মুক্তোর প্রসূতিকালের গাথা।
×