ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সম্ভাবনার ফটিকছড়ি

প্রকাশিত: ০৪:০৩, ১৬ নভেম্বর ২০১৮

সম্ভাবনার ফটিকছড়ি

পাহাড়ী ছড়া, ঝর্ণা, খাল, হালদা নদীর অববাহিকায় প্রাকৃতিক সৌর্ন্দযের লীলাভূমি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা। সবুজের সমারোহে প্রকৃতির অপরূপ সাজে সজ্জিত। পাহাড়ের বুক চিড়ে গড়ে উঠেছে রাশি রাশি চা বাগান, রাবার বাগান, এগ্রোবেইজড ফার্ম, এসব বহুমুখী কৃষিভিত্তিক ফার্ম ঘিরে তৈরি হয়েছে বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনার স্বপ্নদুয়ার। ১৬৬৬ খ্রিস্টাব্দে দিল্লীর বাদশা আওরঙ্গজেবের শাসনকালে বাংলার শাসনকর্তা সুবেদার শায়েস্তা খানের পুত্র বুজুর্গ উমেদ আলী খাঁ আরকান রাজাকে পরাজিত করে চট্টগ্রাম দখল করে এর নামকরণ করেছিলেন ইসলামাবাদ। শাসনকার্যে সুবিধা ও শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষাকল্পে সমগ্র চট্টগ্রামকে ৭টি চাকলায় বিভক্ত করে এক একটি পরগণার এক একটি নামকরণ করেছিলেন। বাংলার বার ভুঁইয়াদের অন্যতম স্বাধীনতাকামী ঈসা খাঁ এ অঞ্চলে অবস্থানকালে বাইশপুর সমন্বয়ে ঐতিহাসিক ‘ইছাপুর পরগণা গঠন করেছিলেন। বঙ্গশার্দুল ঈসা খাঁর নামানুসারেই সাবেক ইছাপুরের নামকরণ করা হয়েছিল। ইছাপুর পরগণার বর্ধিত রূপ বর্তমানের ফটিকছড়ি উপজেলা। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত ও স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে সূতিকাগারের ভূমিকা পালনকারী জেলা মেহেরপুরের চেয়ে আয়তনে বৃহত্তম চট্টগ্রামের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবেশদ্বার খ্যাত ফটিকছড়ি উপজেলা। যার মোট আয়তন ৭৭৩.৫৫ বর্গ কিলোমিটার এবং এটি চট্টগ্রাম জেলার সবচেয়ে বড় উপজেলা। উপজেলার পশ্চিমাংশে ফটিকছড়ি খাল নামক একটি স্বচ্ছ ঝর্ণা প্রবহমান। নৈসর্গিক সৌন্দর্যে ভরা খালটি সীতাকু- পাহাড়ী রেঞ্জ থেকে উৎপন্ন হয়ে যোগিনী ঘাটা নামক স্থানে হালদা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে। হারুয়ালছড়ির ফটিকছড়ি ছড়ার নামানুসারে ফটিকছড়ির নামকরণ করা হয়েছে বলে জনশ্রুতি রয়েছে। প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননের এক স্বর্গীয় ক্ষেত্র হালদার তীরে পাহাড় ঘেরা ফটিকছড়ি প্রকৃতির এক স্বর্গরাজ্য। ফটিকছড়ি পাহাড়, নদী বেষ্টিত একটি সুন্দর উপশহর শুধু নয়, উপজেলা শহরও। ছোট-বড় পাহাড়, টিলা নিয়ে গড়ে ওঠা এ উপশহর খুবই সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দন। পরিবেশবাদীদের মতে, ফটিকছড়ির প্রকৃতির অন্যতম উপাদান নদী-নালা, খাল-বিল জলাভূমি পাহাড়, বন বন্যপ্রাণী ও প্রাকৃতিক সম্পদ। হালদা নদী পার্বত্য অঞ্চল খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার পাতাছড়া ইউনিয়নের পাহাড়ী ক্রিক থেকে উৎপন্ন হয়ে পাহাড়ের বাঁক ধরে ফটিকছড়ি, হাটহাজারী, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, চাটগাঁও হয়ে কর্ণফুলীতে মিলিত হয়েছে। হালদা বাংলাদেশের জন্য সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত এক আশীর্বাদ। প্রতি বছর হালদা নদীতে বর্ষার ঘনবৃষ্টির অমাবস্যার রাতের একটি বিশেষ মুহূর্তে রুইজাতীয় মাতৃমাছ ডিম ছাড়ে। কার্পজাতীয় মাছের উৎকৃষ্ট প্রজনন ক্ষেত্র এ হালদা নদী। রুই, কাতলা, মৃগেল ও কালিবাউশ পোনার জন্য এ নদীর আলাদা বৈশিষ্ট্য থাকলেও সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাব, বাঁক কাটা, বালি উত্তোলন, ইটভাটায় নদীর মাটি ও পানি ব্যবহার, রাবার ড্যাম স্থাপন, নদীর তীরে তামাক চাষ ও যন্ত্রচালিত নৌযান থেকে তেল ছড়িয়ে পড়ার মতো দূষণসহ নানা কারণে প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা এখন চরম বিপর্যয়ের মুখে। বিকাশমান রফতানিমুখী চা শিল্প পাহাড়ের বুকছিড়ে গড়ে ওঠা রাশি রাশি চা বাগান সবুজের সমারোহে প্রকৃতিকে অপরূপ সাজে সজ্জিত করেছে। এসব চা বাগান ঘিরে গড়ে উঠতে পারে কর্মসংস্থান ও দেশের সম্ভাবনাময় পর্যটন শিল্পের বিকাশ। পর্যটকদের বিশেষ আকর্ষণ উপজেলার ১৭টি চা ও চারটি রাবার বাগান। ৭৭৩.৫৫ বর্গকিলোমিটারের এ উপজেলায় প্রায় ১৬ হাজার একর পাহাড়ী ভূমির বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে গড়ে উঠেছে এসব চা বাগান, যা আয়তনে এশিয়ার বৃহত্তম। চলতি বছর অনুকূল আবহাওয়ার কারণে চা-বাগানে কুঁড়ি ও পাতার সমাহার। ফলশ্রুতিতে এ বছর ফটিকছড়ির চা বাগানসমূহে বাম্পার ফলনের আশা করছেন পেড্রোলো গ্রুপের হালদা ভ্যালি ও রামগড় চা বাগানের সিনিয়র ব্যবস্থাপক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম। চা বাগানগুলোতে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা বৃদ্ধি নিয়মিত বিদ্যুত সরবরাহ এবং গ্যাস সংযোগ প্রদান করলে উৎপাদন খরচ কমার পাশাপাশি চায়ের গুণগতমান বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন চা যোদ্ধা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম। সম্প্রতি হালদা ভ্যালি চা বাগানের চা গাছে কচি পাতার সমাহার এবং সেখানে উৎসবের আমেজে চা উৎপাদিত হতে দেখেছি। আলাপচারিতায় হালদা ভ্যালি ও রামগড় চা বাগানের সিনিয়র ব্যবস্থাপক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত হালদা ভ্যালি ও রামগড় চা-বাগানে সর্বমোট ১৬ লাখ ৯৪ হাজার কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে। চলতি বছরে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯ লাখ কেজি। উষ্ণ আবহাওয়ায় উৎপাদনে কিছুটা বিঘœ ঘটলেও হালদা ভ্যালি ও রামগড় চা-বাগান কর্তৃপক্ষ বর্ষার সময় নিজস্ব রিজার্ভার কিংবা কৃত্রিম লেকে পানি সংরক্ষণ করে শুষ্ক মৌসুমে ব্যবহার এবং হালদা নদীর রাবার ড্যাম/বারমাসিয়া খাল থেকে সেচ ব্যবস্থার মাধ্যমে মৌসুমের শুরু ও শেষ সময়ে নিরবিচ্ছিন্ন পানির চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে। এ কারণে দুই বাগানে বছর শেষে প্রায় ১৯ লাখ ৫০ হাজার কেজি চা উৎপাদনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি মোকাবেলা করে উৎপাদনে এগিয়ে যাচ্ছে চা বাগানগুলো। বাংলাদেশটি এ্যাসোসিয়েশন চট্টগ্রাম শাখার তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, চট্টগ্রাম অঞ্চলে ২২টি বাগানের মধ্যে ১৪টিতে জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর সময়ে উৎপাদন গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। বাগানগুলো হলো : আছিয়া, দাঁতমারা, হালদাভ্যালি, খৈয়াছড়া, মা-জান, মোহাম্মদনগর, নাছেহা, নেপচুন, নিউদাঁতমারা, পঞ্চবটি, রামগড়, রাঙাপানি, ঠা-া এবং ওয়াগাছড়ি। এগুলোর মধ্যে পরিমাণের দিক থেকে শীর্ষে আছে হেক্টর প্রতি সর্বোচ্চ উৎপাদনের জন্য জাতীয় পদক পাওয়া হালদা ভ্যালি টি এস্টেট। চট্টগ্রাম চা সংসদের তথ্যানুযায়ী বৃহত্তর চট্টগ্রামের ২২টি বাগানে ২০১৭ সালে এক কোটি কেজি চা-উৎপাদিত হয়েছে। পর্যাপ্ত বৃষ্টি অনুকূল আবহাওয়ায় চলতি ২০১৮ সালে ১ কোটি ২০ লাখ কেজি চা-উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে উদ্যোক্তারা। তাই গত বছরের তুলনায় এ বছর ৩০ শতাংশ চা বেশি উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। হালদা ভ্যালি টি এস্টেট ও রামগড় টি এস্টেট হেক্টরপ্রতি চা উৎপাদনে আশাতীত সাফল্য অর্জন করে চলেছে। এরই মধ্যে ২০১৭ সালে জাতীয় পর্যায়ে হেক্টরপ্রতি উৎপাদনে ১ম স্থান লাভ করে পদক লাভ করেছে। চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সিটিতে আয়োজিত চা প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হালদা ভ্যালির স্বত্বাধিকারী লায়ন নাদের খানের হাতে পদক তুলে দিয়েছিলেন। একই সঙ্গে মেলায় দেশে প্রথমবারের মতো উৎকৃষ্টমানের দুটি গ্রিন টি ব্র্যান্ড, ড্রাগন ওয়েল গ্রিন টি ও হালদা ভ্যালি সিলভার নিডল হোয়াইট টি এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছিল। হালদা ভ্যালি স্বল্প সময়ের মধ্যেই নিজেদের অন্যতম একটি চা উৎপাদন এবং রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলে চা-শিল্পের ইতিহাসে উৎকৃষ্টতম চা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে এই প্রথমবার ড্রাগন ওয়েল ভ্যারাইটি গ্রিন টি ও সিলভার নিডল হোয়াইট টি নিয়ে এসেছে তারা, গত দুই বছর ধরেই উদ্ভাবিত চা চীনসহ বিশ্ববাজারে রফতানি করছে। তবে প্রথমবারের মতো দেশীয় বাজারে এই ড্রাগন ওয়েল ভ্যারাইটি গ্রিন টি ও সিলভার নিডল হোয়াইট টি উন্মুক্ত করল প্রতিষ্ঠানটি। অক্টোডক্স ব্লাক টি নামে নতুন প্রযুক্তির আরও এক ধরনের চায়ের মোড়ক উন্মোচনের অপেক্ষায় হালদা ভ্যালি কর্তৃপক্ষ। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত ও গ্যাস সংযোগ পেলে চট্টগ্রাম অঞ্চলে চা শিল্পের ব্যাপক প্রসার ঘটানোর ব্যাপারে আশাবাদী পেডরোলো এনকোর এমডি ও হালদা ভ্যালি টি কোম্পানির চেয়ারম্যান লায়ন নাদের খান। তার মতে ‘চট্টগ্রামের বাগানগুলোতে উচ্চ ফলনশীল বিটি-২ জাতের চারা থেকে ভাল ফলন পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়াও উন্নতমানের গ্রীন টি উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের লক্ষ্যে অতি সম্প্রতি চায়না থেকে দশ হাজার চারা আমদানি করা হয়েছে। বাংলাদেশ একটি কৃষিপ্রধান দেশ। কৃষিপ্রধান দেশ হিসেবে মাটি ও পানির গুরুত্ব অপরিসীম। মাটি ও পানির সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে হালদা ভ্যালি টি এস্টেট শতভাগ স্থায়ী সেচ ব্যবস্থার মাধ্যমে সারা বছর চা উৎপাদন করছে। এ বাগানটি ক্লোন চা বাগান হিসেবে ‘এ’ ক্যাটাগরির সার্থক মডেল। বিশ্বে বাংলাদেশকে দরিদ্র রাষ্ট্র হিসেবে চিনে। মাটি ও পানির যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে এদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করা যায় বলে তিনি মনে করেন। উল্লেখ্য যে, হালদা ভ্যালি টি এস্টেটটি প্রায় ২০ বছর ধরে পরিত্যক্ত ছিল ২০০৩ সালে নতুন ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন ও উৎপাদনের ধারাবাহিকতায় দেশের সব বাগানের শীর্ষ স্থান দখলের গৌরব অর্জন করল। বাংলাদেশীয় চা সংসদের ভাইস চেয়ারম্যান বাগানের সিনিয়র ব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নিরলস প্রচেষ্টা, কেচো সার ব্যবহার, রাসায়নিক সারের ব্যবহার একেবারে সীমিত করন, নিজস্ব স্থায়ী সেচব্যবস্থা গড়ে তোলা, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ, বিটিআরআই উদ্ভাবিত জাত ব্যবহার, নিবিড় পরিচর্যা, দক্ষ ব্যবস্থাপনা এবং সেই সঙ্গে শ্রমিকদের নানা সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার ফলে এই সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছে। ড্রাগন ফল বাগান পেডরোলো শিল্পগোষ্ঠী পরিচালিত হালদা ভ্যালি চা বাগানটি চায়ের পাশাপাশি বহুমুখী প্রকল্পের একটি উৎপাদনশীল বাগান। এ বাগানেই চাষ হচ্ছে বিদেশী ফল ড্রাগন। দুর্লভ ও সুস্বাদু বিদেশী এ ড্রাগন ফল শোভা পাচ্ছে গাছে গাছে। চলতি বছরে ভাল ফলন ও হয়েছে এ ফলের। বাগান সূত্রে জানা যায়, হালদা ভ্যালি চা বাগানের স্বত্বাধিকারী লায়ন নাদের খান ২০০৪-০৫ সালে থাইল্যান্ড সফরকালে এ ফলের চারা ক্রয় করে বাংলাদেশে এনেছিলেন। নিবিড় পরির্চযার মাধ্যমে বেড়ে ওঠা চারাগুলোতে এখন ফুল ফলে ভরপুর। শুরুতে ৮শ’ চারাগাছ রোপণ করা হয়েছিল বাগানের অনাবাদী জায়গায়। আবাদের ৩-৪ বছর পর ফুল ও ফল আসতে শুরু করেছিল। প্রথমদিকে ফলন কম হলেও এখন প্রতি বছরই উৎপাদন বাড়ছে। এছাড়া কাটিং প্রদ্ধতিতে চারা উৎপাদন করে বাগান ও সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। বর্তমানে বাগানে গাছের সংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজার। এপ্রিল মে মাসে গাছে ফুল আসে। ফুল ফোটে গভীর রাতে। অনেকটা নাইট কুইনের মতো। ২০-২৫ দিনে ফুল ফলে পরিণত হয়। অক্টোবর-নবেম্বর পর্যন্ত ফুল ফোটা ও ফল ধরা প্রক্রিয়া চলে। প্রতিটি ডালে ৫০-৬০টি ফল ধরে। প্রতিটি ফলের ওজন হয় ৪০০-৫০০ গ্রাম। এ বছর সাত টন ২০১৯ সালে চল্লিশ টন উৎপাদন এবং ড্রাগন ফল প্যাকেজিং ফ্যাক্টরি স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন উদোক্তারা। এ দেশের মাটি ও আবহাওয়া যে ড্রাগন ফল চাষের উপযোগী তা প্রমাণ করেছে হালদা ভ্যালি চা বাগান। এছাড়া চা পাতার মতো এ ফল ও একদিন দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন বাগান কর্তৃপক্ষ। (চলবে) [email protected]
×