ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মমতাজ লতিফ

লোকজন নির্বাচনী পরিবেশ নেই বলতে কী বোঝাচ্ছে?

প্রকাশিত: ০৪:০২, ১৬ নভেম্বর ২০১৮

লোকজন নির্বাচনী পরিবেশ নেই বলতে কী বোঝাচ্ছে?

একটা কথা তো জনগণকে মানতে হবে যে, এদেশে রাজনীতির নামে হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট করে, ভোটকেন্দ্র ধ্বংস করে, ভুয়া ভোটার দিয়ে ভোটার তালিকা তৈরি করে, ভোটারদের নির্যাতন করে এলাকা ছাড়া করে ভোট দিতে বাধা দেয়া, ভোটারবিহীন ভোট গণনা করে নির্বাচনী ফল দেয়া, নির্বাচন বন্ধের লক্ষ্যে হরতাল দিয়ে নিজ দেশের নিরীহ নাগরিক বাস-ট্রাক-ট্রেন, সিএনজি চালক, যাত্রীকে পেট্রোল বোমা মেরে পুড়িয়ে হত্যা করে দেশে অশান্তি, সঙ্কট তৈরি করে মানুষকে কষ্ট দিয়েছে বিএনপি। আওয়ামী লীগ কখনও উপরোক্ত কোন একটি অপরাধ নিজ দেশের মানুষের বিরুদ্ধে কখনও করেনি। কারণ বঙ্গবন্ধু, তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, এম মনসুর আলী, এএইচএম কামরুজ্জামানসহ অসংখ্য দেশপ্রেমিক, ধর্মনিরপেক্ষ, বাঙালী জাতীয়তাবোধে উদ্দীপ্ত নেতা জনগণের কল্যাণে যে গণতান্ত্রিক রাজনীতি, সেটিই তারা অনুশীলন করেছেন এবং তাদের পরবর্তী প্রজন্মের রাজনীতিকদের মধ্যে এই ঐতিহ্য প্রবহমান আছে। এ যুগের নানা স্বার্থান্বেষী মহল নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়তে দেখা গেলেও বিরোধী রাজনীতিকদের ওপর হামলা, নির্যাতন কখনও করতে দেখা যায়নি। বিপরীতে খালেদা জিয়া, তারেক ২০০১-২০০৬-এ শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বহু নেতা-কর্মীর আত্মত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত নিরপেক্ষ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে গ্রাস করে ‘বিএনপির দলীয় নির্বাচনকালীন সরকারে’ পরিণত করে। অর্থাৎ গণতন্ত্রের মৌলিক ভিত্তি, সঠিক ভোটার তালিকা, ভোটারের পক্ষে ভয়-ভীতিহীনভাবে ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত থেকে নিজের পছন্দমতো দল ও প্রার্থীকে ভোট দিতে পারা, সুষ্ঠুভাবে পোলিং এজেন্টদের সামনে ভোট বাক্স খোলা ও ভোট গণনা, সঠিক ফল প্রকাশ ও কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনে সব কেন্দ্র থেকে আসা ফল প্রকাশে যোগ করে ইলেকট্রনিক চ্যানেলের মাধ্যমে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে শেষ ফল প্রকাশ; এর কোনটিই খালেদা-তারেকের হস্তক্ষেপে তাদের প্রভাব-চাপমুক্ত থাকতে পারেনি! উপরে বর্ণিত নির্বাচনের প্রতিটি ধাপকে ২০০১ ও ২০০৬-এ অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে ব্যবহার করা হয়েছিল, যার কারণে, শেষ পর্যন্ত ২০০৬-এর নবেম্বরে সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ করে নতুন নিরপেক্ষ। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও নির্বাচন কমিশন গঠন করে। ঐ এক এগারো সংঘটিত হয় পুরোপুরি খালেদা-তারেকের স্বেচ্ছাচারী, গণতন্ত্র দখলের পদক্ষেপই দায়ী। এটি ইতিহাসের নৈর্ব্যক্তিক নিরপেক্ষ বিশ্লেষণে অবশ্যই লেখা থাকবে। এটি আমরা কোনদিন ভুলব না। কারণ আমরা ২০০৬-এর বিএনপি-জামায়াত জোটের ক্ষমতা শেষ হবার পরদিন থেকে ১/১১ পর্যন্ত রাজপথে, শহীদ মিনারে, বিভিন্ন মার্কেটে, হাইকোর্টে, শেষদিকে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে লিফলেট বিতরণে ব্যস্ত ছিলাম। সেদিন সম্ভবত ৮টার খবর দেখতে গিয়ে তখনকার বিএনপি দলীয় প্রেসিডেন্ট ইয়াজউদ্দিন, যাকে আমরা ‘ইয়েস উদ্দীন’ নামে বক্তৃতায় নামকরণ করেছিলাম, তার একেবারে বিপরীত বক্তব্যে, তার ‘ভুল’-এর স্বীকারোক্তি আমাদের বিস্ময়ে হতবাক করেছিল। পরে অনেকের সঙ্গে কথা বলে ঐ ১/১১ সংঘটিত হওয়ার ঘটনাটি জেনেছিলাম। যদিও এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেনা সদস্যরা ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর হামলা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর হামলা, জাতিকে বিমূঢ় করে। তখনকার বিরোধী নেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা, এর আগে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরতে না দেয়াসহ অতি অস্বাভাবিক অদ্ভুত অদ্ভুত ঘটনা ঘটলে আমি লিখেছিলাম, ‘এটি মাইনাস-টু নয়, মাইনাস-ওয়ান’! যাহোক, ২০০৮-এ সোয়াকোটি ভুয়া ভোটারকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিয়ে ভোটারের ছবিসহ ভোটার তালিকা ও আইডি কার্ড তৈরি করে সুষ্ঠু নির্বাচন করেছিল সে সময়ের হুদা নির্বাচন কমিশন যাতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সবদলের মহাজোট বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে। এই পুরনো কাসুন্দি ঘাটলাম এ কারণে যে, দেখতে পাচ্ছি মানুষ, শিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত নির্বিশেষে বলে চলেছে বর্তমানে নাকি লেভেল প্লেইং ফিল্ড নেই, ভোটের স্বাধীনতা নেই এবং গণতন্ত্র ও ভোটের স্বাধীনতা ফেরাতে নাকি দলের নতুন একটি জোট কাজ করছে! জাতির প্রথম প্রশ্ন হচ্ছেÑ ১. আদালতে, আইনের মাধ্যমে প্রমাণিত দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত, বিরোধী প্রধান রাজনৈতিক দলের প্রধান নেতা-নেত্রীদের হত্যা মামলায় দ-িত এবং আদালতে দুর্নীতি অপ্রমাণিত বা সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি এমন ব্যক্তি, নেতা-নেত্রী কি এক সমান সুযোগ-সুবিধা পেতে পারেন? আমরা এই আইনের শাসনকে কি সুশাসন বলব না? প্রমাণিত দুর্নীতিবাজ, খুনী, খুনের পরিকল্পক এবং সম্ভাব্য হত্যাকা-কে ‘গো এহেড’ বলে হত্যা সংঘটিত হতে দেবার জন্য, মামলাকে গোয়েবলসীয় মিথ্যাচার করে, মিথ্যা মামলায় মিথ্যা খুনীকে বিচার করার ক্ষেত্রে সমর্থন দেয়া ব্যক্তি এবং কখনই কোনরকম হত্যা, খুন, নির্যাতনকে রাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার না করা ব্যক্তিকে কি একই নিক্তিতে পরিমাপ করা যাবে? তা হলে তো খুনী আর নিহত, অর্থলোপাটকারী আর অর্থসাহায্য পাওয়ার অধিকারীকে এক সমান গণ্য করতে হয়! এতে আইন ও আদালত মর্যাদা হারিয়ে মানবসভ্যতার শ্রেষ্ঠ অর্জনÑ সাক্ষ্য প্রমাণের সাহায্যে অপরাধীকে বিচার করে দ- প্রদান, সুবিচার যা সুশাসনের ভিত, সেটি ধ্বংস হয়ে যাবে। এটি কি গ্রহণযোগ্য? স্মর্তব্য, ২০০৬-এর ক্ষমতা ছাড়ার অল্পকিছু দিন আগে খালেদা জিয়া পরিবারের সব সদস্যকে নিয়ে কথিত আছে-৩০০ থেকে ৪০০ সুটকেস-ট্রাঙ্ক সঙ্গে নিয়ে সৌদি আরব গিয়ে এক সপ্তাহ পর সবাই ফেরত আসে। তখন বাতাসে গুজব রটেছিল যে, ওর মধ্যে ৫/৬টি কাপড়ের সুটকেস ছাড়া অন্যগুলোতে ডলার ভর্তি ছিল! এখন জেদ্দায় খালেদা জিয়ার বিশাল টাওয়ারসহ সম্পত্তি, অন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশেও আরও সম্পত্তি আছে বলে গুজব আছে। সেসব খবর ছবিসহ প্রকাশ করতে পারে সাংবাদিকরা যা তাদের দায়িত্বও। ২. বর্তমানে অনেক সুশীল, খালেদাপ্রেমী খালেদার প্যারোলে মুক্তি, জামিন ইত্যাদি দাবি জানাচ্ছেন। আইনজীবীরা জানেন, প্যারোল হয় একমাত্র রাজনৈতিক মামলায় যা কখনই দুর্নীতি, অর্থলোপাট, হত্যা, হত্যা পরিকল্পনা, হত্যাকে ধামাচাপা দিয়ে মূল আসামিকে রক্ষা করা, হত্যাকা- ঘটতে যাচ্ছে জেনেও নীরব থেকে সেটি বাস্তবায়নে যুক্ত থাকা ইত্যাদি ফৌজদারি অপরাধের ক্ষেত্রে হয় না। তাছাড়া, একবার দ-িত হলে তার জামিন হতে পারে না যদি না আদালত ঐ রায় স্থগিত করে। এসব জয়নুল আবেদীন সাহেব, মওদুদ সাহেবরা জানেন। সেজন্য রায় দেবার দিন খালেদা জেলে থাকার প্রস্তুতিমূলক সুটকেসসহ আদালতে গিয়েছিলেন। ৩. একটা কথা জনগণের এবং বিএনপি নেতা-কর্মীদের জানা দরকার- বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া বিগত ২০১৫ সালের নির্বাচন প্রতিরোধে শুধু পেট্রোল বোমা হামলা নয়, তার নির্দেশে আমার পরিচিতজনসহ বিএনপি-জামায়াতের খুনী-জঙ্গী-দুর্বৃত্ত গু-াদের দা-চাপাতির কোপে নিহত হয়েছিল কমপক্ষে তিন শতাধিক নারী-পুরুষ, শিশু-যুবক-তরুণী! ঐ ঘাতকদের অনেকেই দীর্ঘদিন পলাতক বা গ্রেফতার এড়িয়ে ছিল, তাদেরকে জনসভা বা জমায়েত শেষে পাওয়া গেলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গ্রেফতার করা তাদের ওপর ন্যস্ত পেশাগত দায়িত্ব যা তাদের পালন করার কথা সেটি তারা করছে। এক কথায় বলা চলে, ২০১৪-১৫ সালে শত শত নাশকতার ঘটনা ঘটিয়েছিল যেসব বিএনপি-জামায়াত সমর্থক, তাদের এমনিতেই নির্বাচনকালীন এই সময়ে নির্বাচনকে নাশকতা-মুক্ত রাখতে নির্বাচন কমিশনকে এদের তালিকা দিয়ে পুলিশকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেবার কথা। অবশ্যই নির্বাচন এগিয়ে এলে, দল, মত নির্বিশেষে যেসব গু-া-দুর্বত্ত-জঙ্গী-হিন্দু, আদিবাসীদের ওপর হামলাকারী, নির্যাতন করে পুলিশের তালিকায় আছে- তাদেরকেও দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে নির্বাচনকে কাক্সিক্ষত নাশকতা ও সংখ্যালঘুদের ওপর সম্ভাব্য নির্যাতন-ভয়ভীতি থেকে মুক্ত রাখতে। ৪. সুশীলদের একটি দল কথায় কথায় ২০১৫’র নির্বাচনকে ভোটারবিহীন, একদলীয় নির্বাচন হিসেবে গণ্য করে কিন্তু সমালোচনা করে সরকারকে। এ তো ‘উদরপি-ি বুধোর ঘাড়ে দেয়া’, জনগণ দেখেছে ২০১৪-১৫ সালে এদেশে নির্বাচন যাতে বিএনপি’র জন্য সন্তোষজনক হয়, সে লক্ষ্যে কমনওয়েলথ, জাতিসংঘ প্রতিনিধিরা কিভাবে দুই দলের মধ্যে মধ্যস্ততা করে একের পর এক সভা করেছেন। কত ফর্মুলা উদ্ভাবিত হলো, সর্বশেষ বিএনপির সব নেতা সম্মত হলেও লন্ডন থেকে তারেক, বিএনপির খুনী নেতার নির্দেশে বিএনপি নির্বাচন থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়। এর ফলে হয় নির্বাচন হবে বিএনপি হীন, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টির অংশগ্রহণে বেসামরিক রাজনৈতিক শাসন অব্যাহত রাখার জন্য, নতুবা একটি সামরিক অথবা সামরিক সহায়তায় অনির্বাচিত সরকার ভঙ্গুর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ক্ষমতা গ্রহণ করত। সুতরাং খালেদা যেমন ’৮৭ সালে আওয়ামী লীগ নেত্রীর সঙ্গে মতৈক্যে পৌঁছে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার কথা বলে নির্বাচনের আগের রাতে গোপনে আওয়ামী লীগকে বেকায়দায় ফেলার জন্য নির্বাচন থেকে নিজ দলকে প্রত্যাহার করে, ঠিক একই শঠতার খেলা খালেদা-তারেক ২০১৫ তে খেলেছিল যাতে ঐ নির্বাচনকে জাতি ও বিদেশীরা গ্রহণ না করে আওয়ামী লীগকে, সে সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাসী সব দল ও জনগণকে, উন্নয়নের পথে আগুয়ান বাংলাদেশকে বিপদে ফেলে পিছিয়ে দিতে নির্বাচন বর্জন করে। দোষ ছিল বিএনপির খালেদা, তারেকের এবং তাদের সব নেতার। এটি একেবারেই গোয়েবলসীয় উল্টো প্রচার। ফলে সুশীল ঐ দলটিকে মোহগ্রস্ত করে রেখেছে। বর্তমানে, যদিও এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে বিএনপির রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়ে যাবে, তবুও যেহেতু খালেদা-তারেকের মতামত এখনও বিএনপি নেতাদের নিতে দেখা যাচ্ছে। সুতরাং, বিএনপির এখনও নির্বাচনে অংশ না নেবার খেলাটি খেলবার সম্ভাবনা রয়ে গেছে। কেননা, খালেদা, তারেক দ-িত, অপরাধী, তাদের পক্ষে, গণতান্ত্রিক রাজনীতির মাঠে ফল পাওয়ার মানসিকতা থাকার কথা নয়। বিএনপির রেজিস্ট্রেশন না থাকলে ওদের দু’জনের কি কোন ক্ষতি হবে? দলের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য নয়; ওরা তিনজন চিরকালই নিজেদের অর্থবিত্তের স্বার্থে রাজনীতির নামে অপরাজনীতি করেছে। দলের অস্তিত্ব থাকা, না। থাকা খালেদা, তারেকের কাছে কোন বিষয় নয়, বাংলাদেশের উন্নয়ন তো বহুদূরের কথা। কথা হলো, আওয়ামী লীগ জিতলেও আক্রান্ত হয়, পরাজিত হলেও ভয়ঙ্কর নির্যাতনের শিকার হয়! ১৯৯৬-এ একুশ বছর পর বিজয়ী আওয়ামী লীগের মিছিলে বোমা হামলায় ১০-১২ কর্মী-সমর্থক লালবাগে নিহত হয়! ২০০১-২০০৬ পর্যন্ত পাঁচ বছরে আওয়ামী লীগ পরাজিত হলে এ দলের ২০ হাজারের বেশি নেতাকর্মী হত্যার শিকার হয়। ২০০৮-এ বিজয়ী হবার পর বিডিআর বিদ্রোহে অধিকাংশ আওয়ামী ঘরানার মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বীরসেনা ও জোয়ান নিহত হয় ১০০’র কাছাকাছি। ২০১৪-১৫ তে পেট্রোল বোমা, সাঈদীর মৃত্যুদ- নিয়ে যে তা-ব হয় জাতি নিশ্চয় উপলব্ধি করেছে কারা ঘটিয়েছে এসব নাশকতা। আওয়ামী লীগ জন্ম থেকে আজ পর্যন্ত কোন ধ্বংসাত্মক, জাতি বিরোধী, রাজনৈতিক কোন দল বিরোধী অপতৎপরতায় কখনও সম্পৃক্ত হয়নি- কিন্তু বার বার আক্রান্ত হয়েছে, এটাই সত্য। বর্তমানে দেশে কার্যত কোন সমস্যা, সঙ্কট নেই, তবুও একদল সুশীল সেটি তৈরি করতে উসকানি দিচ্ছে। বার বার বিএনপি মহাসচিবের নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়নি বলা বিএনপি নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ইঙ্গিত কিনা, তা সরকারকে বুঝে পদক্ষেপ নিতে হবে। কেননা বিএনপির অস্তিত্ব দ-িত খালেদা ও তারেকের কাছে এখন মূল্যহীন। লেখক : শিক্ষাবিদ ও গবেষক
×