ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দাবি মেহেদী হাসান মিরাজের, জিম্বাবুইয়ে কোচের আশা পুরো দিন ব্যাট করে ড্রয়ের

‘ম্যাচ বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণেই’

প্রকাশিত: ০৬:৫১, ১৫ নভেম্বর ২০১৮

‘ম্যাচ বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণেই’

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মিরপুরে সিরিজের চলমান দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্থদিন পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ নিজেদের দখলেই রেখেছে বাংলাদেশ দল। ৪৪৩ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেটে ৭৬ রান তুলেছে জিম্বাবুইয়ে। আজ পঞ্চম ও শেষদিনে বাকি ৭ উইকেটে (চাতারা ইনজুরিতে ব্যাট করতে পারবেন না) এই রান করতে হবে তাদের। সে কারণে এখনও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশের দখলে আছে এমনটাই দাবি করলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তিনি দাবি করলেন জিম্বাবুইয়েকে ফলোঅনে ফেলার সুযোগ থাকলেও সেটা নেয়া হয়নি পঞ্চম ও শেষদিনে ব্যাটিং করাটা কঠিন হবে তাই বাংলাদেশ আবার ব্যাট করেছে। অপরদিকে জিম্বাবুইয়ের কোচ লালচান রাজপুতের আশা তার ব্যাটসম্যানরা টেস্ট ক্রিকেট খেলার দৃঢ় মানসিকতা প্রদর্শন করে সারাদিন ব্যাট চালিয়ে ড্র করতে সক্ষম হবে। ম্যাচের চতুর্থদিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তারা। প্রথমবার কোন টেস্টে প্রতিপক্ষকে ফলোঅনে ফেলার সুযোগ এসেছিল। জিম্বাবুইয়ের প্রথম ইনিংস ৩০৪ রানে শেষ হয়ে যাওয়ার পর ২১৮ রানে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। চতুর্থদিন সকালে চাইলেই তাই জিম্বাবুইয়েকে আবার ব্যাটিংয়ে পাঠাতে পারতো তারা। কিন্তু সেটি না করে আবার ব্যাটিংয়ে নেমেছে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে মিরাজ বলেন, ‘আমাদের দুই দিন সময় ছিল। ওরা দুই শ’ রানে (২১৮) পিছিয়ে ছিল। আমরা সবসময় চিন্তা করেছি শেষ ইনিংসে যেন ওরা ব্যাট করে। আমরা ব্যাটিং না করি। দেখা যাবে ওরা ভাল ব্যাট করে আমাদের এক শ’-দেড় শ’ রানের টার্গেট দিয়ে দিল। আমরা কেন ওই ঝুঁকি নিতে যাব? আমরা চেষ্টা করেছি তাদের শেষ ইনিংসে ব্যাট করাতে। তাহলে উইকেটটা ভেঙ্গে যাবে, টার্ন করবে, অনেক কিছু হতে পারবে, দ্রুত উইকেটের পতন ঘটবে। ওই ঝুঁকিটা ওরা নিক, আমরা যেন না নেই।’ শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ২২৪ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণার মাধ্যমে জিম্বাবুইয়েকে ৪৪৩ রানের টার্গেট দিয়েছে বাংলাদেশ। দিনশেষে ২ উইকেটে ৭৬ রান তুলে আজ শেষদিনে বাকি ৭ উইকেটে আরও ৩৬৭ রান প্রয়োজন জিম্বাবুইয়ের জেতার জন্য। এ বিষয়ে মিরাজ বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ম্যাচ আমাদের দিকেই আছে। আমরা ৪৪৩ রান টার্গেট দিছি। ২ উইকেট পড়েছে। কালকের (আজ) একটা দিন আছে। তিনটা সেশন আছে। তাই আশাকরি বোলাররা যদি ভাল জায়গায় বল করতে পারে, আঁটসাট লেন্থে বল করতে পারে তাহলে ম্যাচটা আমাদের দিকেই আছে অবশ্যই। বোলারদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। আশা করছি বোলাররা যারা আছে তারা শতভাগ চেষ্টা করবে উইকেটের জন্য। জুটি হলে প্যানিক হওয়ার কিছু নেই। শুধু ভাল জায়গায় বল করে যেতে হবে, একটা ব্রেক থ্রু আসলেই ওরা ব্যাকফুটে চলে যাবে।’ অবশ্য আশা ছাড়ছে না জিম্বাবুইয়ে। এখনও ড্রয়ের চিন্তাতেই আছে তারা। এ বিষয়ে কোচ লালচান বলেন, ‘আমরা আশা করব কোন একজন দাঁড়িয়ে যাবে এবং একটি সেশন ব্যাট করবে। কারণ এটা শুধুই তিন সেশনের ব্যাপার। আমরা ইতিবাচক থাকব এবং আশা করছি ম্যাচটি বাঁচাতে পারব।’ এ জন্য দলের খেলোয়াড়দের মনোভাব কেমন হতে পারে সে বিষয়েও ভেবেছেন জিম্বাবুইয়ে কোচ। তিনি বলেন, ‘আমরা এখন পিচ নিয়ে ভাবছি না। পিচ কখনই আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই, এটা নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব। সুতরাং আসল ব্যাপার হচ্ছে নিজের ডিফেন্স, প্রবৃত্তির ওপর ভরসা করে বলের গুণ বিচার করে খেলা। বল যদি অসংলগ্ন আচরণ করে কিংবা অন্যরকম কিছু হয় সেটা হবে দুর্ভাগ্যের। কিন্তু আপনি সেখানে অন্তত চেষ্টা ও ডিফেন্ড করতে পারেন। প্রথম ঘণ্টাই বড় চাবিকাঠি। যদি ব্রেন্ডন ও শন উইলিয়ামস ব্যাট চালিয়ে যেতে পারে তাহলে চাপটা ফিল্ডিং করা দলের ওপর যাবে।’ দলের ড্রেসিং রুমের পরিবেশ হাল্কা রাখতেও বেশ তৎপর থাকবেন লালচান। কোনভাবেই শিষ্যদের কাঁধে বাড়তি চাপ আসতে দিতে নারাজ এ কোচ বলেন, ‘আমাদের ইতিবাচক থাকতে হবে এবং তাদের মনে গেঁথে দিতে হবে যে এটা শুধুই একটা খেলা। এই তকমা দেয়া যাবে না কোনভাবেই যে আমরা যদি ড্র করতে পারি তবে সিরিজ জিতব। না, কারণ এটা বাড়তি চাপ তৈরি করবে তাদের ওপর।’
×